HomeকলকাতাSSC: ইস্তফা দিয়েও কাটছে না গেরো! শিক্ষকতায় যোগ দিতে গিয়ে বাড়ছে সমস্যা

SSC: ইস্তফা দিয়েও কাটছে না গেরো! শিক্ষকতায় যোগ দিতে গিয়ে বাড়ছে সমস্যা

উচ্চ প্রাথমিকে আমার কাউন্সেলিং সম্পন্ন হয়েছে ১৪ নভেম্বর। স্কুলের তরফে নিয়োগপত্র পেয়েছি ৯ ডিসেম্বর। সেখানে লেখা রয়েছে, ৭ দিনের মধ্যে স্কুলে যোগ দিতে হবে। সেই সময়সীমা ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। আবার এসএসসি–র সুপারিশপত্রে....

নিউজ ডেস্ক: আদলতের নির্দেশের পর উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। তবে শিক্ষক পড়ে চাকরি পেয়েও সমস্যায় পড়ছেন বেশ কিছু চাকরি প্রার্থী। শিক্ষাকর্মী পদে ইস্তফা দিয়ে শিক্ষকতায় যোগ দিতে গিয়ে সমস্যা বাড়ছে।

আসলে পুরোনো চাকরি থেকে রিলিজ না পাওয়ায় শিক্ষকতার নতুন পদে জয়েনও করতে পারছেন না তাঁরা।

এই প্রার্থীরা এতদিন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে গ্রুপ–সি এবং গ্রুপ–ডি পদে কর্মরত ছিলেন। কাউন্সেলিংয়ের পর নভেম্বর মাসে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) থেকে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষকতার চাকরির সুপারিশপত্র পেয়ে তাঁদের অনেকে ইতিমধ্যে শিক্ষাকর্মী পদে ইস্তফা দিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের ইস্তফাপত্র এখনও গৃহীত হয়নি। ফলে রিলিজ না পাওয়ায় শিক্ষকতার নতুন পদে জয়েনও করতে পারছেন না তাঁরা। এ দিকে, এই সব শিক্ষক–শিক্ষিকাদের স্কুলে যোগদানের ক্ষেত্রে কমিশনের নির্ধারিত ছ’সপ্তাহের সময়সীমা শেষ হওয়ার মুখে। দু’টি চাকরি নিয়ে প্রবল টানাটানিতে প্রবল উদ্বেগে কয়েকশো তরুণ–তরুণী।

আসলে কর্মরত শিক্ষাকর্মীদের ইস্তফা দিতে হবে পর্ষদের কাছেই। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষাকর্মীদের সল্টলেকে এসে ইস্তফা দেওয়াটা সময়সাপেক্ষ।

এই নিয়ে উচ্চ প্রাথমিকের এক চাকরিপ্রার্থীর মন্তব্য, ‘উচ্চ প্রাথমিকে আমার কাউন্সেলিং সম্পন্ন হয়েছে ১৪ নভেম্বর। স্কুলের তরফে নিয়োগপত্র পেয়েছি ৯ ডিসেম্বর। সেখানে লেখা রয়েছে, ৭ দিনের মধ্যে স্কুলে যোগ দিতে হবে। সেই সময়সীমা ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। আবার এসএসসি–র সুপারিশপত্রে লেখা আছে, সুপারিশ পাওয়ার ৪২ দিনের মধ্যে জয়েনিং রিপোর্ট জমা দিতে হবে। আজ, বৃহস্পতিবারই সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে। ফলে জানি না, ভবিষ্যৎ কী হবে!’

পড়ুন:  SSC: 'সবে দু'সপ্তাহ পেরিয়েছে...', শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে যা জানালেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের কর্তা

তবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বুধবার অবশ্য চাকরিপ্রার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘ইস্তফার পদ্ধতি ও কাগজপত্র খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাকর্মীদের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করে তাঁদের রিলিজ অর্ডার দিতে আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

RELATED ARTICLES
- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments