SSC: “চাকরিহারাদেরও বুঝতে হবে….”, শিক্ষকদের আন্দোলন এবং পদক্ষেপ নিয়ে বড় মন্তব্য ব্রাত্য বসুর

3203
শিক্ষকদের পেনশনে
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, ফাইল চিত্র

নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সদ্যই ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের চাকরি বাতিল হয়েছে। চাকরি হারানোর প্রতিবাদে আন্দোলন করছেন চাকরিহারারা। তবে তা করতে গিয়ে মার খেতে হয়েছে চাকরিহারাদের! এরই মধ্যে সাংবাদিক বৈঠক করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শিক্ষামন্ত্রী প্রশ্ন তুলে দিলেন চাকরিপ্রার্থীদের ধৈর্য নিয়ে। ব্রাত্যর প্রশ্ন, রাজ্য সরকার যখন সবরকমভাবে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে, যখন কোনও শিক্ষকের বেতন বন্ধ হয়নি, বা কাউকে বরখাস্তের চিঠি দেওয়া হয়নি, তখন ডিআই অফিস অভিযান কেন?

ব্রাত্য বলছেন, “এখনও পর্যন্ত কারও বেতন বন্ধ করা হয়নি। কোনও শিক্ষককে টার্মিনেশন লেটার দেওয়া হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন জানিয়েছেন সর্বতভাবে চাকরিহারাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন, তখন ডিআই অফিসে যাওয়ার প্রয়োজনটা কী?”

ব্রাত্য বসু বলেন, “২৪ ঘণ্টা উসকানি থাকবে। ক্ষেপিয়ে তোলার চেষ্টা হবে। কিন্তু শিক্ষকদের ঠিক করতে হবে, তাঁরা সরকারের সঙ্গে থাকবে নাকি যারা উসকানি দিচ্ছে তাঁদের সঙ্গে থাকবে। ধ্বংসাত্মক আন্দোলন এবং আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না। রাজ্য সরকার এবং শিক্ষা দপ্তর পুরোপুরি চাকরিহারাদের পাশে রয়েছে। সেটা চাকরিহারাদেরও বুঝতে হবে।”

পড়ুন:  দিতে হবে বেতন ফেরত! নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি, 24000 শিক্ষক-শিক্ষিকা চাকরি হারাতে পারেন

চাকরিহারাদের লাঠিচার্জ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বললেন, “পুলিশ-প্রশাসন কী করেছে বলতে পারব না। কিছু ঘটে থাকলে তা নিন্দনীয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস সত্ত্বেও ডিআই অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন কী ছিল? কটা দিন আন্দোলন স্থগিত করা যেত না?” 

এদিন বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার প্রস্তাব দেওয়ার পরেও ব্রাত্যর সঙ্গে দেখা করেননি। তাঁর বক্তব্য, রাজ্য সরকার যেভাবে শিক্ষকদের উপর লাঠি চালাল তার পর আর সদিচ্ছা দেখানোর জায়গা নেই। এরপর অন্যরকম আন্দোলনের পথ দেখতে হবে। 

পড়ুন:  BIG NEWS: বেতন বৃদ্ধির ঘোষনা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! কাদের জন্য?

অভিজিতের সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত বদল নিয়ে ব্রাত্য বসু বললেন, “আমরা অপেক্ষা করেছিলাম। কেন এলেন না জানি না, দল বারণ করেছে কি না আমি জানি না। দপ্তরে উনি জানিয়েছেন। প্রতিবাদই যদি করতে হয়, তাহলে এসএসসি দপ্তরে গেলেন কেন? সেটাও তো সরকারি দপ্তর। সেখানেও না গেলে পারতেন।উনি নিজেই আসতে চেয়েছিলেন। তিনি দলীয় পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বার্তা দিতে চেয়েছিলেন। আমি বলেছিলাম, মিডিয়াকে না বলে তিনি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকেই লিখিতভাবে আবেদন করতে পারেন। সেই অনুসারে তাঁরই চিঠি দিতে আসার কথা ছিল। কিন্তু তিনি এলেন না। এ বিষয়ে একটি কবিতার লাইন মনে পড়ে যাচ্ছে…সর্প হইয়া দংশন কর ওঝা হইয়া ঝাড়।” ব্রাত্য বসু এটাকে রাজনীতি করার কৌশল হিসাবে দেখছেন।

পড়ুন:  SSC: ২৫৯৫ জন প্রার্থীর মধ্যে চাকরি নিলেন না ৬২৪ জন, শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে করা হল এই দাবি

পুলিশের লাঠিচার্জ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, “প্রমাণ ছাড়াই যোগ্যদের বাতিলের প্রতিবাদে এবং যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করে অসম্মানে পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনে পুলিশের ব্যাপক লাঠিচার্জের প্রতিবাদে ধিক্কার জানাচ্ছি। দাবি না মেটা পর্যন্ত কর্মক্ষেত্র এবং আন্দোলন ময়দানে কালো ব্যাজ পরে প্রতিবাদে সামিল থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। যোগ্যদের এই আন্দোলনে সবাই সামিল হোন। শুক্রবার থেকে এসএসসি দপ্তর ঘেরাও অভিযানে আমরা সবাই সামিল হচ্ছি।”