নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে জুনিয়র ডাক্তার ছাত্রীর ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে সঞ্জয় রাই। তারপর থেকে তাঁকে রাখা হয় প্রেসিডেন্সি জেলের পয়লা বাইশের তিন নম্বর সেলে। পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় এখন সারা দেশের সামনে একজন নৃশংস ধর্ষক ও খুনি। শনিবারই শিয়ালদহ আদালত ঘটনার ৫ মাস পর তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। সোমবার তাঁর সাজা ঘোষণা করলেন শিয়ালদহ আদালতের বিচারক। তবে ফাঁসি নয়, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সঞ্জয়ের। আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সিবিআই প্রথম থেকেই অভিষুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারের ফাঁসির আবেদন করেছিল। চার্জশিটেও তাঁকে একা দোষী হিসেবে দাবি করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ (ধর্ষণ) ধারা, ৬৬ ধারা (ধর্ষণের এমন আঘাত করা, যে কারণে মৃত্যু হতে পারে) এবং ১০৩ (১) ধারায় (খুন) তথ্য প্রমাণ এনেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় সঞ্জয়ের ফাঁসির পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদলত মনে করেছে এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম নয়।
শনিবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনায় নিম্ন আদালতের তরফে একমাত্র দোষী সাব্যস্ত হয়েছে সঞ্জয় রাই। এরপর শনিবার জেলে ফিরে কিছুটা হতাশ হয়ে পড়ে সে। জেল সূত্রে খবর, শনিবার কারারক্ষীরা বারংবার কথা বলার চেষ্টা করলেও কোনও কথা বলেননি সঞ্জয়, কারও সঙ্গেই। শনিবার রাতে ঠিক করে খাবার বা জলও খাননি সঞ্জয়।
প্রেসিডেন্সি জেল সূত্রে খবর, শনিবার জেলে ঢোকানোর পর থেকে চুপ করে বসেছিল সঞ্জয়। কারারক্ষীরা কথা বলার চেষ্টা করলেও কোনও কথা বলেনি। সিসিটিভি মনিটরিংয়ের আওতায় রাখা হয়েছিল সঞ্জয়কে। সেখানে শনি ও রবিবার একেবারে অন্য মেজাজে দেখা যায় তাকে।
শনিবার মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাইকে দোষী সাব্যস্ত করে শিয়ালদহ আদালত। তবে সাজা ঘোষণা করা হল আজ, সোমবার, ২০ জানুয়ারি।