নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সদ্যই চাকরি বাতিল হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার জনের। চাকরিহারিয়ে ইতিমধ্যেই আন্দোলনে নেমেছেন যোগ্য চাকরিহারারা। চাপ আরও বাড়াতে এবার দিল্লিতে ধরনায় বসতে চলেছেন চাকরিহারারা। এ বার কলকাতার পথে নামলেন ‘অযোগ্য’ বলে চিহ্নিত চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের একাংশ। সিবিআইয়ের দেওয়া তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যোগ দেওয়া এই প্রার্থীদের ‘অযোগ্য’ বলে চিহ্নিত করেছে দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার তাঁরা মিছিলে দাবি করলেন, সামাজিক সম্মান ‘নষ্ট’ হচ্ছে তাঁদের।
চাকরিহারা রীতেশ ঘোষ বলেন, ‘‘এই শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের ওএমআর শিটে গন্ডগোল রয়েছে বলে কোর্টে তথ্য দিয়েছিল সিবিআই। তাদের অভিযোগ যে, ওই ওএমআর শিট ম্যানুপুলেট করা হয়েছে। সিবিআই তথ্য দিয়েছে মানেই সেই তথ্য যে সঠিক, তা নয়। যথাযথ তদন্ত না-করেই সিবিআই আদালতে তথ্য দিয়েছে।
অন্য এক চাকরিহারা বিপ্লব বিবার বলেন, ‘‘সাড়ে ছ’বছর কাজ করেছি। ভুয়ো তথ্যের উপর ভিত্তি করে আমাদের ‘অযোগ্য’ বলা হচ্ছে। যদিও আমাদের নিয়োগে কোনও অনিয়ম হয়নি। আমাদের লড়াই চলবে।’’
আরও এক চাকরিহারা বলেন, “আমরা যোগ্যদের থেকেও যোগ্য। আমাদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমান নেই। আমরা রাজনীতির স্বীকার হয়েছি। ২০১৬ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে পরীক্ষা নেওয়া হয়। ২০১৯ সালে আমরা নিয়োগ পাই। আমরা সঠিক নিয়ম মেনেই নিয়োগ পাই। আমাদের আসল OMR নেই। আমাদের লড়াই চলবে। আমরা সঠিক বিচার চাই।” মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ জানিয়েছেন, তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন করতে পারেন।
সিবিআইয়ের যে তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তাঁদের ‘অযোগ্য’ বলে জানিয়েছিল হাই কোর্ট, তার সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন তাঁরা। ‘অযোগ্য’ প্রার্থীরা সোমবার পথে নেমে গাজিয়াবাদ থেকে পাওয়া সেই হার্ডডিস্কের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। তাঁদের বিরূদ্ধে কোনও প্রমাণ নেই বলেই দাবি “অযোগ্য” বলে চিহ্নিত চাকরিহারাদের।
সোমবার কলেজ স্কোয়্যার থেকে সুবোধ মল্লিক স্কোয়্যার পর্যন্ত মিছিল করেন ‘অযোগ্য’রা। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ রায়ে জানায়, ২০১৬ সালের নিয়োগপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের যাঁরা ‘অযোগ্য হিসাবে চিহ্নিত’ (টেন্টেড), তাঁদের চাকরি বাতিলের সঙ্গে বেতনও ফেরত দিতে হবে। এ রকম প্রার্থীর সংখ্যা প্রায় সাত হাজার। এ বার সেই ‘অযোগ্য’রাই পথে নামলেন।