SSC মামলায় বিচারপতির সঙ্গে ‘আঁতাঁত’! বিকাশ-ফিরদৌসকে ঘিরে তীব্র বিক্ষোভ, মুখ খুললেন আইনজীবি

3334
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ফিরদৌস শামিম
ফাইল চিত্র

নিউজ ডেস্ক: বিচারপতির সঙ্গে ‘আঁতাঁত’! এবার আইনজীবি বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে ঘিরে বিক্ষোভ উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের। আইনজীবীর দিকে উড়ে এল প্লাস্টিকের বোতল। কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান ভবনের বাইরে বিকাশের চেম্বারের সামনে বিক্ষোভ দেখান ওই প্রার্থীরা। সেখান থেকে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দিলে পরে বিকাশের সহকারীদের চেম্বারের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন তাঁরা।

বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ফিরদৌস শামিম
ফাইল চিত্র

চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের সুপারনিউমেরারি পদ নিয়ে নির্দেশের পরেও উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ মামলার কোনও অগ্রগতি হয়নি কলকাতা হাই কোর্টে। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এবং বিকাশকেই দায়ী করেছেন শারীরশিক্ষা এবং কর্মশিক্ষা বিষয়ের প্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, বিচারপতির সঙ্গে বিকাশের আঁতাঁতের জেরেই এই মামলার অগ্রগতি হচ্ছে না। 

বিকাশের দুই জুনিয়র ফিরদৌস শামিম এবং সুদীপ্ত দাশগুপ্তের চেম্বারের নীচে অবস্থান শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। অভিযোগ, আইনজীবীদের জুতো দেখিয়েছেন তাঁরা। 

এই বিষয়ে এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, ‘‘বিচারপতি বিকাশের সঙ্গে টাইআপ করেছেন। তিন বছর আমাদের যন্ত্রণায় রেখে দিয়েছেন। বিকাশ একটা ফেল করা প্রার্থীকে দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করিয়ে আটকে রেখেছেন। তাঁর হলফনামা জমা দিচ্ছেন আদালতে। বিচারপতি তা গ্রহণ করছেন। তিনি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কী ভাবে লঙ্ঘন করলেন, সেই প্রশ্ন তুলছি। বিচারপতি বসুর বেঞ্চ থেকে এই মামলা সরানো হোক।’’

পড়ুন:  Big News: বাম আমলের শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল দেখতে চাইল কলকাতা হাই কোর্ট, সময় বেঁধে দিলেন বিচারপতি

শুক্রবার রাতে বিক্ষোভস্থলে পৌঁছালে বিকাশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁর দিকে প্লাস্টিকের জলের বোতল, চায়ের ভাঁড় ধেয়ে আসে।

বিকাশবাবু বলেন, ‘‘আইনজীবীরা লড়াই করছেন, আইন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির পক্ষে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের লেলিয়ে দিচ্ছে শাসকদল। আমি বাড়ি চলে গিয়েছিলাম। শুনলাম জুনিয়রেরা বার হতে পারছেন না চেম্বার থেকে । ফিরে এলাম। মুক্ত করে নিয়ে যাচ্ছি। পরে আইনি পদক্ষেপ করব। এর থেকে প্রমাণিত, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে।’’ আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাঠিয়েছেন। আইনজীবী-সমাজকে বলব এক হয়ে গর্জে উঠুন। ৬ তারিখ মামলার পরবর্তী শুনানি। ক্ষমতা থাকে, ওই দিন আসুন।’’

পড়ুন:  অবসরের মাত্র ১৫ ঘণ্টা আগে শিক্ষকের মৃত্যু, ছেলেকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের