এ যেন স্বপ্নের উড়ান! চতুর্থ শ্রেণির কর্মী থেকে WBCS অফিসার হলেন প্রত্যন্ত এলাকার এই যুবকের

1054

কলকাতা, ০৮ জুন ২০২৫: প্রকাশিত হয়েছে WBCS গ্রূপ A পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল। WBCS পরীক্ষায় সফল হয়ে গ্রুপ A অফিসার হলেন বছর বত্রিশের কবীন্দ্র হাঁসদা। এ যেনএক স্বপ্নের উড়ান! স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী থেকে সোজা রাজ্যের আমলা পদে চাকরি। জানা গিয়েছে আর্থিক অনটনের সাথেই বড় হয়েছেন কবীন্দ্রবাবু। 

পিএসসির WBCS গ্রুপ A ফল ঘোষণা: 

পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের তরফে জারি করা A-51-P.S.C.(A) নম্বরের বিজ্ঞপ্তিতে (০৫ জুন, ২০২৫) নামসহ মোট ১৫৩ জন প্রার্থীর নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। আদিবাসী যুবক ডব্লুবিসিএস (এক্সিকিউটিভ) পদে চাকরি পেলেন। বেলপাহাড়ি গাড়পাহাড় এলাকার বাসিন্দা বছর বত্রিশের কবীন্দ্র হাঁসদা এমন অসাধ্য সাধন করে দেখালেন। বেলপাহাড়ির ব্লকের ওদলচুয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী এহেন সাফল্যে খুশি সবাই। 

পড়ুন:  WBPSC MVI: খুব ভালো খবর চাকরি প্রার্থীদের জন্য, মোটর ভেহিকেল ইন্সপেক্টর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ!

পড়াশোনা: 

গাড়পাহাড় গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা কবীন্দ্রর। ২০০৮ সালে বেলপাহাড়ি এসসি হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। ২০১০ সালে শিলদা রাধাচরণ ইনস্টিটিউশন থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। ২০১৬ সালে কলকাতা নিউ আলিপুর কলেজে ইংরেজি অনার্স নিয়ে স্নাতক হন । পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী উন্নয়ন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে স্ক্রিনিং পরীক্ষায় সুযোগ পান কবীন্দ্র। সেখানে থাকা-খাওয়া ও বিনামূল্যে বেসরকারি কোচিংয়ে ব্যবস্থা ছিল। এক বছর কোচিং নেওয়ার পর ২০১৯ সালে স্বাস্থ্য দফতরে গ্রুপ-ডি পদে চাকরিতে যোগ দেন। চাকরি করার পাশাপাশি বাড়িতে থেকে নিজেই প্রস্তুতি চালিয়ে গিয়েছেন। ২০২২ সালে ডব্লুবিসিএস পরীক্ষা দেন কবীন্দ্র। সেই পরীক্ষার ফল সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। তাতে ডব্লুবিসিএস এক্সিকিউটিভ পদে চাকরি পান তিনি।

পড়ুন:  BIG NEWS: শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য মিউচ্যুয়াল ট্রান্সফার চালু, জেনারেল ট্রান্সফারে কি হবে?

প্রেক্ষাপট:  

পশ্চিমবঙ্গ সিভিল সার্ভিস (এক্সিকিউটিভ) ইত্যাদি পরীক্ষা, ২০২২ (WBCS Gr ‘A’ services – Advt. No.02/2022)-এর মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপ ‘এ’ পরিষেবায় চাকরির সুপারিশ করে থাকে। রাজস্ব পরিষেবা WBCS পরীক্ষার মাধ্যমেই নিয়োগপ্রাপ্ত একটি মর্যাদাপূর্ণ গ্রুপ ‘এ’ ক্যাডার।

কবীন্দ্র হাঁসদার এই সাফল্যে দারুন খুশি তাঁর পরিবার। রাজ্য প্রশাসনে তাঁর নতুন ভূমিকায় সাফল্য ও দায়িত্বশীলতা কামনা করছেন সহকর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।