নিউজ ডেস্ক: ‘ধর্মের ভিত্তিতে কোনও সংরক্ষণ নয়’, বিধানসভায় OBC ইস্যুতে স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘সিপিএমের আমলে কোনও সমীক্ষা হয়নি’, প্রাক্তন বাম সরকারকেও তোপ মমতার।
মঙ্গলবার বিধানসভা অধিবেশনে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি সংরক্ষণ সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, ”ওবিসি তালিকা নির্ধারণের সঙ্গে ধর্মের কোনও সম্পর্ক নেই।আর্থিক অনগ্রসর শ্রেণির ভিত্তিতে সার্ভে হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে আমরা করে ফেলব।”
মমতা বলেন, ‘‘অত্যন্ত সিরিয়াস ব্যাপার। নানা রকম ভ্রান্তিমূলক কথা বলা হচ্ছে। আদার ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস নিয়ে হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ একটা নির্দেশ দেয়। ১১৩ কাস্টকে বাদ দেওয়া হয়। ৬৬ শ্রেণী থেকে যায়। এর ফলে ছাত্র ছাত্রী ও চাকরি প্রার্থীদের অসুবিধা হয়। এই জন্যে রাজ্য সিদ্ধান্ত নেয় আদালতে যাওয়ায়। ২০২৫ সালে ১৭ ফেব্রুয়ারিতে রাজ্য সরকারের অধীনস্থ সংস্থা রিপোর্ট পেশ করে। এর পর পাবলিক নোটিফিকেশন করে রাজ্য সরকার।’’
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘এর সঙ্গে ধর্মের কোনও সম্পর্ক নেই। (৪৯+৯১) ক্যাটাগরি রয়েছে। বর্তমানে আমাদের রাজ্যে ১৪০ টি ক্যাটাগরি রয়েছে। এর মধ্যে ৪৯ ওবিসি-এ, ৯১ ওবিসি-বি। আরও ৫০ টি ক্যাটাগরির জন্য সার্ভে করার কাজ চলছে। সিপিএমের আমলে কোনও সার্ভে করা হয়নি। আমাদের সময়ে, ২০১২ সাল থেকে এই সার্ভে করা হচ্ছে।” বাম আমলে সমীক্ষা হয়নি। ২০১২-২০২৪ অবধি সমীক্ষার ব্যাপারে কথা বলা হয়। সম্ভবত সেই সময়ে উপেন বিশ্বাস ছিলেন কমিশনের মাথায়। যথাযথ পদ্ধতি মেনেই কাজ করা হচ্ছে। এখানে হাইকোর্টের নির্দেশ প্লেস করলাম, যাতে কারও সন্দেহ না থাকে। হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ বিধানসভায় পেশ করছি।’’
ফেক নিউজ বা ভুয়ো খবর নিয়েও সতর্ক করে মমতা বলেন, ‘‘কমিশন রেকমেন্ডশন জানিয়ে দিলাম। অনেকে ভুল প্রচার করছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আজকাল ফেক নিউজ, ভেক নিউজ ভরে গেছে। তাই সঠিক তথ্য আমরা বিধানসভায় পেশ করলাম। আশা করি বিভ্রান্ত ছড়ালে, বা ভাগাভাগি মানুষের মধ্যে করবেন না। আমরা সমীক্ষা করে, আদালতের নির্দেশ মেনেই গত দুই মাসে কাজ হয়েছে। বাকি কাজ শেষ করব যথা সময়ে।’’
ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ধর্মীয় উসকানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন। তার জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”ওরা কিছুই জানে না। মানুষকে শুধু বিভ্রান্ত করতে এসব কথা বলে। সার্ভেতে দেখা গিয়েছে, এর মধ্যে ৬১% হিন্দু, ৭৯% মুসলিম।”