নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। চাকরি ফেরানোর দাবিতে লাগাতার আন্দোলনের আবহে পথেই রয়েছেন তাঁরা। রাজ্য সরকারের ভূমিকায় কার্যত হতাশ চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকরা এবার দিল্লির দরবারে সমর্থনের আশায় ছুঁটছেন চাকরিহারারা। রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিচ্ছেন তাঁরা। পাশাপাশি এবার এই নিয়ে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও চিঠি লিখলেন চাকরিহারারা। দিল্লিতে কংগ্রেস এবং জেডিইউ সদর দফতরেও যান তাঁরা।
সোমবার সকালে দিল্লি যান চাকরিহারা শিক্ষকদের পক্ষ থেকে সুমন বিশ্বাস-সহ তিনজন। এ বিষয়ে সুমন বিশ্বাস জানিয়েছিলেন, ‘আমরা দিল্লি যাচ্ছি। রাজ্যে অযোগ্যদের বাঁচানোর জন্য এসএসসি প্যানেল বাতিল হল, যোগ্যদের চাকরি চলে গেল। সুপ্রিম কোর্টের গত ৩ এপ্রিল ২০২৫-এর যে-রায়, তাকে অগ্রাহ্য করে স্কুল সার্ভিস কমিশন একটি বেআইনি নোটিস বেআইনি গেজেট প্রকাশ করেছে, এটা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য আমরা যাচ্ছি। চাকরি ফেরত পাওয়ার জন্য যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার, তাই আইনের কোন কৌশলে এই চাকরি ফেরত পাওয়া যায়, বাংলার সমস্ত যোগ্যজনদের জন্য অনশনকারীদের পক্ষ থেকে সেটা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বলার জন্য দিল্লি যাচ্ছি। এই যে বেআইনি নোটিস এবং বেআইনি গেজেট, যেটা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে অগ্রাহ্য করে রাজ্য সরকার করেছে, সুপ্রিম কোর্টে এটা বলব। ২২ লক্ষ ওএমআর প্রকাশের মামলা করেছে, সেই মামলার কী হবে-সবাই জানতে পেরে যাবেন।’
চাকরিহারাশিক্ষকদের পক্ষ থেকে সুমন বিশ্বাস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে ওএমআরের মিরর ইমেজের কপি প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন। শিক্ষকদের মতে, ওতেই রয়েছে ‘যোগ্য’, ‘অযোগ্যদের’ তালিকা। পাশাপাশি নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যা ও জীবন হুমকির ভয়ের কথাও অমিত শাহকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন সুমন।
যোগ্য শিক্ষকরা এ-ও জানিয়েছেন, যদি বিচার করা সম্ভব না হয়, তা হলে যেন তাঁদের স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে, ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ’-এর তরফে এসএসসি অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। আগামী ১২ জুন, বৃহস্পতিবার সল্টলেক থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দফতর পর্যন্ত কয়েক দফার দাবি নিয়ে মিছিল করবেন শিক্ষকেরা। তার মধ্যে রয়েছে এসএসসি’র জারি করা ফর্ম ফিলআপের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করা, রায় পুনর্বিবেচনার আর্জির (রিভিউ পিটিশন) দাবিও।
এদিকে, বেআইনি গেজেট এবং নোটিফিকেশন এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দাখিল করেছেন শিক্ষক সুমন বিশ্বাস। ডায়রি নাম্বার 32408/2025।