নিউজ ডেস্ক: এবার এক অবাক করা ঘটনা সামনে এল। উত্তরপ্রদেশের মিরাট জেলার একটি স্কুলের চমকপ্রদ ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে এক শিক্ষিকা স্কুলে না এসেও বেতন পাচ্ছেন। মিরাটের সাহনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সুজাতা যাদব 2920 দিনের মধ্যে মাত্র 759 দিন স্কুলে গিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও, তাঁর উপস্থিতি রেকর্ড করা অব্যাহত ছিল এবং তিনি সময়মতো বেতন পাচ্ছেন।
এই বিষয়ে অভিযোগের পরে, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তদন্তের নির্দেশ দেন, যেখানে দেখা যায় যে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ধরম সিং তার অনুপস্থিতি সত্ত্বেও প্রতিদিন উপস্থিত দেখাচ্ছিলেন। তদন্তের পরে, সুজাতা যাদবকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং অবিলম্বে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনা শিক্ষাব্যবস্থার গুরুতর ত্রুটি তুলে ধরে।
অভিযোগের পর তদন্ত শুরু হয়
বিষয়টি জানাজানি হলে, মিরাট বেসিক শিক্ষা অধিকারী (বিএসএ) তদন্তের নির্দেশ দেয়। তদন্তে জানা গেছে, দীর্ঘদিন স্কুলে অনুপস্থিত থাকার পরও শিক্ষক সুজাতা যাদব বেতন নেন। তদন্তে আরও জানা গেছে যে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ধরম সিং তার অনুপস্থিতি সত্ত্বেও প্রতিদিন তার উপস্থিতি বজায় রাখতেন। যখন এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে, সুজাতা যাদবকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং তাকে অবিলম্বে বরখাস্ত করা হয়।
প্রধান শিক্ষককেও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে
এই ঘটনায় শুধু ওই শিক্ষিকা নয়, স্কুলের প্রধান শিক্ষক ধরম সিংকেও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। সুজাতা যাদবের অনুপস্থিতি লুকানোর জন্য তিনি মিথ্যা উপস্থিতি দেখিয়েছেন, যার কারণে তাকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে। বিএসএ আশা চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে তিন স্তরের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার উপর প্রভাব
স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরা জানিয়েছেন যে সুজাতা যাদবের ক্রমাগত অনুপস্থিতি স্কুলের কার্যক্রম এবং শিশুদের শিক্ষার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। প্রধান শিক্ষক ধরম সিং বিষয়টিকে কখনোই গুরুত্বের সঙ্গে নেননি, যার কারণে শিশুদের লেখাপড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে এ ধরনের ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বিএসএ জানিয়েছে।
বিএসএ আশা চৌধুরী স্পষ্ট করেছেন যে এই জাতীয় বিষয়ে কোনও ধরণের অবহেলা সহ্য করা হবে না। তিনি বলেন, শিক্ষা একটি গুরুতর বিষয় এবং এ বিষয়ে সবাইকে দায়িত্বশীলভাবে কাজ করতে হবে।