‘আসি, আমি মাঝে মধ্যে স্কুলে আসি’, ছাত্র-ছাত্রীরা না চিনতেই একি জবাব শিক্ষকের

দীর্ঘ চার থেকে পাঁচ বছর ধরে স্কুলে আসেন না স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ফলে স্কুলের বিভিন্ন নথিপত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাক্ষরের ক্ষেত্রেও সমস্যার পড়তে হয়। পড়াশোনাও ঠিক মতো হয় না বলে অভিযোগ।

1443

নিউজ ডেস্ক: স্কুলে প্রধান শিক্ষক না থাকলেও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আছেন। কিন্তু সেই হেডস্যারকে ভাল করে চেনেই না স্কুলের পড়ুয়ারা। স্কুলে মাত্র ২ জন শিক্ষক আছেন। কোনও রকমে জোড়াতালি দিয়ে চলছে পঠন-পাঠন। স্কুলে আসা নিয়ে প্রশ্ন করলেই অবাক জবাব শিক্ষকের। এমনই অবস্থা পুরুলিয়ার একটি সরকারি প্রাথমিক স্কুলে।

এই অবস্থায় স্কুলে তালা পড়ল। পুরুলিয়ার বোরো থানার পুড়দোহা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সোমবার তালা দিলেন স্থানীয়রা। দীর্ঘক্ষণ তালা দিয়ে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকেরা।

অভিভাবকদের অভিযোগ, দীর্ঘ চার থেকে পাঁচ বছর ধরে স্কুলে আসেন না স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ফলে স্কুলের বিভিন্ন নথিপত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাক্ষরের ক্ষেত্রেও সমস্যার পড়তে হয়। পড়াশোনাও ঠিক মতো হয় না বলে অভিযোগ। গ্রামবাসী থেকে শুরু করে ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকে জানেই না যে কে স্কুলের প্রধান শিক্ষক?

পড়ুন:  শিক্ষক নিয়োগ: রাজ্যের এই কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ, আজই ইন্টার্ভিউ

স্কুলে তালা পড়ার পর সোমবার দেখা মিলল সেই প্রধান শিক্ষক বিনয় মাহাতোর। স্কুলে আসেন না? এই নিয়ে প্রশ্ন করা হতেই তিনি বললেন, ‘আসি। মাঝে মধ্যে আসি।’ কেন নিয়মিত আসেন না স্কুলে? প্রধান শিক্ষকের জবাব, ‘আমার শরীরটা ভাল না।’ তাঁর দাবি, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও এই কথা জানিয়েছেন তিনি। তাঁকে নাকি মাঝে মধ্যেই আসতে বলা হয়েছে।

পড়ুন:  অতিরিক্ত ট্রেনিংয়ের জন্য নির্ধারিত রেমুনারেশন দিতে হবে! ভোট প্রশিক্ষণ নিয়ে পর্যবেক্ষকের নির্দেশ ঘিরে ক্ষুদ্ধ ভোট কর্মীরা

স্থানীয় অভিভাবক গোপীনাথ দাস বলেন, “কে হেডমাস্টার, পডুয়ারাও চেনে না। ৫-৬ বছর ধরে যদি কেউ আসা যাওয়া না করে তাহলে চিনবে কী করে? তাঁদের দাবি, পড়াশোনা হয় না বললেই চলে। দ্রুত এই পরিস্থিতির সমাধান চাইছেন তাঁরা।”