নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টের বড় সিদ্ধান্ত বেরিয়েছে। হাইস্কুল শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে শুক্রবার গুরুত্বপূর্ণ আদেশ দেয় আদালত। যোগ্যতা পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগের মানদণ্ডে হাইকোর্ট রায় দিয়েছে। ৪৫ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশ নম্বর প্রাপ্ত প্রার্থীদের দ্বিতীয় বিভাগ হিসেবে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সংরক্ষিত ক্যাটাগরির জন্য নম্বর শিথিল করার বিষয়ে সরকারের কাছে উত্তর চেয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বিভাগ সংক্রান্ত বিভিন্ন মান রয়েছে। এর জেরে স্কুল শিক্ষা দফতরের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় দ্বন্দ্বের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যেখানে 45 শতাংশ নম্বর প্রাপ্ত প্রার্থীদের দ্বিতীয় বিভাগের হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল এবং নির্বাচিত করা হয়েছিল, যারা 49 শতাংশ নম্বর পেয়েছে তাদের তৃতীয় বিভাগের হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল এবং বাতিল করা হয়েছিল।
শিক্ষা দফতরের এই মানকে চ্যালেঞ্জ করে অনেক প্রার্থী হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। এ বিষয়ে শুনানি করে হাইকোর্ট বলেছেন, শিক্ষক নিয়োগে বিভাজনের পরিবর্তে শতাংশ নম্বর মান করতে হবে। আদালত ৪৫ থেকে ৬০ শতাংশকে দ্বিতীয় বিভাগ হিসেবে বিবেচনা করতে বলেছেন।
শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় সংরক্ষিত ক্যাটাগরির প্রার্থীদের ৫ শতাংশ ছাড় না দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে রাজ্য সরকার ও স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে জবাব চেয়েছে হাইকোর্ট।
অ্যাডভোকেট রামেশ্বর সিং আদালতকে বলেছিলেন যে কিছু প্রার্থীর মার্কশিটে 47, 48, 49 শতাংশ নম্বর ছিল, কিন্তু তাদের তৃতীয় বিভাগ দেখানো হয়েছিল এবং নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছিল। যেখানে ৪৫, ৪৬ শতাংশ নম্বর থাকা সত্ত্বেও কিছু প্রার্থীকে দ্বিতীয় বিভাগ হিসেবে বিবেচনা করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারামিটারের কারণেও দেখা দেয় দ্বন্দ্ব।
আমরা আপনাকে জানিয়ে রাখি যে হাইস্কুল শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক চলছে। শিক্ষকের মোট ১৮ হাজার পদের মধ্যে ৬ হাজার পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও অসম্পূর্ণ।