SSC: এসএসসি বলছে অবৈধ নিয়োগ ৫১০০, বিকাশ ভট্টাচার্য জানাচ্ছেন ১০ হাজার ৭৫০, এরপর…

23831
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য

নিউজ ডেস্ক: SSC ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার রায় স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট। এসএসসি ২০১৬ মামলার শুনানি শেষ হল। CJI জাজমেন্ট রিজার্ভ রাখলেন। অর্থাৎ এবার মামলার রায় দেওয়া হবে। ২৬ হাজার চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলায় আসল ওএমআর শিট না থাকার সমস্যার কথা তুলে ধরেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না।

চার্জশিট অনুযায়ী কতজনকে অবৈধ নিয়োগ করা হয়েছিল। প্রধান বিচারপতির সেই প্রশ্নের উত্তরে কমিশন জানায়, ৫১০০। অথচ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানাচ্ছেন সংখ্যাটা ১০ হাজার ৭৫০।

কতজন যোগ্য এবং কতজন অযোগ্য আছেন, তা নিয়েও কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন তথ্য উঠে আসছে সুপ্রিম কোর্টের কাছে। আজ কমিশনকে জিজ্ঞাসা করা হয়, চার্জশিট অনুযায়ী কতজনকে অবৈধ নিয়োগ করা হয়েছিল। প্রধান বিচারপতির সেই প্রশ্নের উত্তরে কমিশন জানায়, ৫১০০। যদিও বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানাচ্ছেন, সংখ্যাটা ১০ হাজার ৭৫০। অর্থাৎ, কতজন অবৈধ সেটা চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। তার পরে তো পৃথকীকরণ। সেই পৃথকীকরণের প্রক্রিয়া নিয়েও কোনও ঐকমত্যে পৌঁছানো যাচ্ছে না। 

পড়ুন:  Teacher Recruitment: রাজ্যের স্কুলে শিক্ষক ও শিক্ষিকা নিয়োগের পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা হল, দেখেনিন এক ক্লিকেই

আইনজীবী মনিন্দর সিং বলেন, “এসএসসি বারবার বলেছে তারা যোগ্য-অযোগ্য পৃথকীকরণ করতে পারছে না। এসএসসি, বোর্ড, রাজ্য সরকার কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি। যোগ্য ও অযোগ্যের সংখ্যা কত, তা বলতে পারেনি।” তিনি সওয়াল করেন, “পুরনো প্যানেল বাতিল করে ফের নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া উচিত।”

অন্যদিকে, সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, “নায়সা আমাদের জানায় যে কোনও ডেটা নেই। তারপর আমরা ডেটা স্ক‍্যানটেক থেকে ডেটা সংগ্রহ করি। এরপর আমরা পঙ্কজ বনশলের (নায়সার প্রাক্তন কর্তা) কাছ থেকে ডেটা সংগ্রহ করি। দুটো ডেটাকে মিলিয়ে দেখি।”

পড়ুন:  শিক্ষক নিয়োগ: রাজ্যের স্কুলে স্থায়ী শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে, আবেদন করুন এইভাবে

সিবিআইয়ের আইনজীবী দাবি করেন, “ডেটা স্ক্যানটেক থেকে পাওয়া তথ্য ও পঙ্কজ বনশলের তথ্য মিলেছে। পঙ্কজ বনশলের কাছ থেকে পাওয়া ডেটা নির্ভুল।” সিবিআইয়ের আইনজীবী আরও বলেন, “এসএসসির কাছে যে ডেটা ছিল, তাতে কারসাজি হয়েছিল। আমাদের তদন্তে স্পষ্ট, পঙ্কজ বনশলের কাছে যে ডেটা রয়েছে, তাতে কারসাজি হয়নি।”

যে প্রার্থীরা সিলেক্ট হননি, তাঁদের পক্ষের আইনজীবী বিভা মাখিজা নিজের সওয়ালে বলেন, “চাকরিপ্রার্থীরা কত নম্বর পেয়েছেন, সেই সংক্রান্ত মেরিট লিস্ট কখনও প্রকাশ করা হয়নি। কলকাতা হাইকোর্ট এই মেরিট লিস্ট প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু তা মানা হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী, লিখিত পরীক্ষার পর মেরিট লিস্ট প্রকাশ করতে হয়। কারা ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাক পেলেন, তাঁদের তালিকা প্রকাশ করতে হয়। মোট শূন্য পদের চার গুণ বেশি প্রার্থীদের নিয়ে প্যানেল তৈরি করতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে একাধিক অনিয়ম হয়েছে।”

পড়ুন:  SSC: তবে কি কয়েক হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হচ্ছে? সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে তেমন সম্ভাবনায় উঠে আসছে, জেনেনিন

আইনজীবী বিভা মাখিজা আরও বলেন, “পঙ্কজ বনশলের ডেটার ভিত্তিতে নতুন মেধাতালিকা তৈরি হোক। সাদা ওএমআর যাঁদের, তাঁদের প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হোক।”

প্রধান বিচারপতি তখন বলেন, “সিবিআই বলছে, বনশলের ডেটা প্রকৃত সত্য। কিন্তু এক্ষেত্রে আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি না এটাই প্রকৃত ডেটা। কারণ আমাদের হাতে অরিজিনাল মার্কসিট নেই। আমরা পঙ্কজ বনশলের ডেটাকেও সন্দেহ করছি।”