নিউজ ডেস্ক: স্কুল ও মাদ্রাসার হাজার হাজার ফাইলের স্টেটাস জানতে শিক্ষা ভবনে হন্যে হয়ে ঘুরতে হতো প্রধান শিক্ষক সহ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের। সেই সমস্যা সমাধানের জন্য হাইস্কুল শিক্ষক সংগঠন “অল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন” এর মালদা জেলা কমিটির পক্ষ থেকে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছিল অনলাইনে ফাইল ট্রেকিং চালু করার জন্য। সংগঠনকে জেলার বহু সংখ্যক শিক্ষক অভিযোগ জানিয়ে আসছিল ফাইল খুঁজে না পাওয়ার কথা। মালদা ডিআই অফিসে বহু পরিকাঠামোগত সমস্যার মধ্যে এই সমস্যা সমাধান করলো ডিআই বাণীব্রত দাস।
পশ্চিমবঙ্গে প্রথম মালদায় এই সিস্টেম শুক্রবার চালু হলো। উদ্বোধন করেন স্কুল শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মন মহাশয়। মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলার এসআইরা আরও অনেক আধিকারিক সহ বিশিষ্টজন। এপ্রুভাল, এরিয়ার, পেনশন, হায়ার স্কেলের অনুমোদন, এসিআর সহ বিভিন্ন ধরনের ফাইলের অবস্থান খুব সহজেই দেখতে পাবে স্কুলগুলি। ফাইলের ডকেট নং দিয়ে ফাইল কোন টেবিলে কোন অফিসারের কাছে কি কারণে আটকে আছে, কোন অবজেকশন আছে কিনা, ওয়ান্টিং ডকুমেন্টস সহ সমস্ত তথ্য দেখা যাবে। হাইস্কুল শিক্ষক সংগঠনটির মালদা জেলা সম্পাদক পঙ্কজ রায় বলেন, মালদা ডিআই এর এই উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়, আরও বাকি সমস্যা নিয়ে আমরা পরবর্তীতে পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।”
সংগঠনের রাজ্য সভাপতি মনোজ কুমার মন্ডল বলেন, গোটা রাজ্যেই সকল ডিআই ও এডিআই অফিসে ফাইল ট্র্যাকিং সিস্টেম বিকাশ ভবন থেকে সেন্ট্রালি চালু করা দরকার, এর ফলে কয়েক লাখ ফাইলের স্টেটাস সহজেই জানা যাবে ও দুর্নীতির বিলোপ হবে।”