শিক্ষক পদে স্কুলে যোগ দিতে হয়রানি, এবার ডিআইদের বার্তা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু

সম্প্রতি উচ্চ প্রাথমিকের বহু চাকরিপ্রার্থী সুপারিশপত্র নিয়ে স্কুলে যোগদান করতে গিয়ে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে অভিযোগ সামনে আসছে। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এই নিয়োগে যাতে কোন‌ও...

892
শিক্ষকদের পেনশনে
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, ফাইল চিত্র

নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশের পরে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সম্প্রতি উচ্চ প্রাথমিকের বহু চাকরিপ্রার্থী সুপারিশপত্র নিয়ে স্কুলে যোগদান করতে গিয়ে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে অভিযোগ সামনে আসছে। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এই নিয়োগে যাতে কোন‌ও বাধা না পড়ে, তা দূর করতে স্কুল পরিদর্শক ও জেলা স্কুল পরিদর্শকদের বললেন।

পড়ুন:  শিক্ষক নিয়োগ: প্রাথমিক-সহ অন্যান্য স্তরে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, জানালেন এই কথা

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “আমরা জেলা স্কুল পরিদর্শক এবং স্কুল পরিদর্শকদের স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই। যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থী সুপারিশপত্র নিয়ে স্কুলে যোগদান করতে আসছেন, তাঁদের যেন হয়রানির শিকার না হতে হয়। প্রয়োজনে ওঁরা চাইলে গাইডলাইন পাঠিয়ে দেওয়া হবে দফতরের তরফে।”

কিন্তু কেমন সমস্যায় পড়ছেন হবু শিক্ষকরা? চাকরিপ্রার্থীরা জানাচ্ছেন, বিভিন্ন দিক দিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। যেমন, অনেক স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি বা পরিচালন কমিটির মেয়াদ ফুরিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, সেই সব স্কুলে চাকরিপ্রার্থীরা স্কুল সার্ভিস কমিশনের সুপারিশপত্র নিয়ে এলে তাঁদের নিয়োগপত্র দেবে কে? এ দিকে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগপত্র দেওয়ার কথা ম্যানেজিং কমিটির। আর এর ফলে চাকরিতে যোগ দিতে পারছেন না যোগ্য প্রার্থীরা।

পড়ুন:  এসএসসিকে সাজা না দিয়ে কেন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের চাকরি বাতিল? তবে কি সর্বাত্মক তীব্র থেকে তীব্রতর আন্দোলন?

এই নিয়ে এ প্রসঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের এক কর্তা বলেন, “প্রার্থীদের এবং বিদ্যালয়গুলির কাছ থেকে যোগদানের ক্ষেত্রে যে অসুবিধের কথা জানা যাচ্ছে, তা ইতিমধ্যেই দফতরের কাছে জানানো হয়েছে। যাতে সমস্যার সমাধানে দফতর দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেই আশা করা হচ্ছে।”