এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন সরকারি অ্যাপ আনছেন, জব্দ হবেন বহু অফিসার থেকে আমলারা

জেলা ও মহকুমা পর্যায়ের মাসিক পর্যালোচনা সভায় সমস্যাগুলিকে ‘সবুজ’, ‘হলুদ’, এবং ‘লাল’ হিসাবে শ্রেণীবিন্যাস করা হবে। পরিদর্শনের সময় আধিকারিকদের ওই সরকারি সম্পত্তির ছবি আপলোড করতে হবে। প্রধান সচিব, অর্থ সচিব এবং বিভিন্ন বিভাগের...

711
ভাতা বৃদ্ধি Lakshmir Bhandar লক্ষীর ভান্ডার

নিউজ ডেস্ক: এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন সরকারি অ্যাপ আনছেন, বহু অফিসার জব্দ হবেন মনে করছেন আমলারা। প্রশাসনিক ব্যবস্থায় সংস্কার আনতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার সাহসী পদক্ষেপ করতে চলেছেন। সরকারি অফিসারদের জন্য এমন একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন (Mamata Banerjee – APP) তৈরি করেছে নবান্ন, যাতে কর্মচারীদের একটা বড় অংশ বেশ জব্দ হতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে। ১০ ডিসেম্বর অর্থ দফতরের অডিট ব্রাঞ্চ থেকে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি (৪৯৪১-এফ – ওয়াই) হয়েছে।

নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, অফিসারদের জব্দ করাটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাথমিক উদ্দেশ্য নয়। প্রাথমিক উদ্দেশ্য সরকারি অর্থের যথাযথ ব্যবহার ও অপচয় বন্ধ করা। তা ঠিকমতো করার চেষ্টা মানেই চুরি ও লিকেজ বন্ধ করা।

বিজ্ঞপ্তি অনুসারে জানা গিয়েছে, সরকারি অর্থের যথাযথ ব্যবহার ও অপচয় বন্ধ করতে এবং দুর্নীতি ও লিকেজ বন্ধ করতে নিয়ে আসা হয়েছে এই নতুন সরকারি অ্যাপ। যার নাম ফিল্ড ইনস্পেকশন- মনিটরিং অ্যান্ড সুপারভিশন মোবাইল অ্যাপ। এর মাধ্যমে জেলা স্তর থেকে সরকারি হাসপাতাল, স্কুল, আইসিডিএস সেন্টার এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কাজ ও পরিকাঠামো নিয়মিত মনিটরিং এবং আপগ্রেডেশন করা সম্ভব হবে। জানা গিয়েছে এই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে অফিসাররা ফিল্ড ইন্সপেকশন করে তথ্য সংগ্রহ করবেন। এতে সংস্থার নাম, অবস্থান, পরিদর্শনের তারিখ ও সময়, এবং প্রয়োজনীয় কাজের শ্রেণীবিন্যাস স্পষ্ট করে চিহ্নিত করা থাকবে।

পড়ুন:  WBSSC SLST Mathematics: পূর্ববর্তী প্রশ্নপত্র, সহকারী শিক্ষক নবম-দশম শ্রেণী এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর প্রশ্নপত্র PDF

প্রতিটি তথ্য জিও-ট্যাগিংয়ের মাধ্যমে সঠিক স্থানের তথ্য সরবরাহ করবে। জেলা ও মহকুমা পর্যায়ের মাসিক পর্যালোচনা সভায় সমস্যাগুলিকে ‘সবুজ’, ‘হলুদ’, এবং ‘লাল’ হিসাবে শ্রেণীবিন্যাস করা হবে। পরিদর্শনের সময় আধিকারিকদের ওই সরকারি সম্পত্তির ছবি আপলোড করতে হবে। প্রধান সচিব, অর্থ সচিব এবং বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা একটি লাইভ ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। আর এর ফলে রাজ্যের স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রের পরিষেবা আরও কার্যকর এবং স্বচ্ছ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পড়ুন:  আর হবে না প্রশ্নফাঁস! ক্লার্কশিপ পরীক্ষা স্বচ্ছ ভাবে নিতে বিরাট পদক্ষেপ নিচ্ছে পিএসসি, ইউনিক QR কোডেই হবে বাজিমাত

অর্থাৎ সামাজিক প্রকল্পে সরকারি সমীক্ষার নামেও ফাঁকিবাজি করা যাবে না। ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার কোনও প্রকল্পের জন্য তাঁর এলাকায় ঠিকমতো পরিদর্শনে যাচ্ছেন কিনা তারও জিপিএস ম্যাপিং হবে। অর্থাৎ কেউ দায় এড়াতে পারবেন না।