শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের ওয়েস্ট বেঙ্গল হেল্থ স্কিমের অধীনে আনতেই হবে! নেওয়া হল বড় পদক্ষেপ, চাপ বাড়বে মমতার?

শিক্ষকমলের একাংশের অভিযোগ, স্বাস্থ্য স্কিমের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকার দ্বিচারিতা করে শিক্ষক মহলকে ছোট করার চেষ্টা করছেন। অন্যান্য যে কোনও সরকারি কর্মচারীর থেকে পদমর্যাদায় শিক্ষকরা...

1239
নবান্ন ছুটি ঘোষণা

নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সমন্ত বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, লাইব্রেরিয়ানদের সরকারি কর্মচারীদের ন্যায় ওয়েস্ট বেঙ্গল হেল্থ স্কিম-২০১৪-এর আওতায় আনার দাবিতে আগামী ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবন এবং শিক্ষা দপ্তরে ডেপুটেশনের ডাক দিল শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ (SUA)। 

এরাজ্যের সরকারি কর্মী, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, সর্বোপরি পঞ্চায়েত কর্মীদেরও হেল্থ স্কিমের আওতায় আনা হয়েছে। তবে স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষা কর্মীদের জন্য তা নেই। এই অবস্থায় অবিলম্বে হেলথ স্কিম সকল স্কুলশিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের জন্য চালু হোক– এই দাবিতে সরব হতে শুরু করেছে শিক্ষক সংগঠনগুলি। শিক্ষক-শিক্ষা কর্মীদের ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ স্কিমের অধীনে আনার দাবিতে আগামী ১৭ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য ভবন এবং স্কুল শিক্ষা দপ্তরে বিক্ষোভ এবং ডেপুটেশন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ স্কিম থেকে বঞ্চিত রাজ্যের স্কুলশিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। যা নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে শিক্ষক মহলে। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক মহলের একাংশ এবং শিক্ষক সংগঠনগুলির তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, বিদ্যালয় স্তরে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের পশ্চিমবঙ্গ হেলথ স্কিমের আওতায় আনা হোক।

শিক্ষকমলের একাংশের অভিযোগ, স্বাস্থ্য স্কিমের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকার দ্বিচারিতা করে শিক্ষক মহলকে ছোট করার চেষ্টা করছেন। অন্যান্য যে কোনও সরকারি কর্মচারীর থেকে পদমর্যাদায় শিক্ষকরা অনেক উচ্চস্থানে। তারপরেও চলছে এক প্রকার বঞ্চনা।

পড়ুন:  শিক্ষকদের ১০:৩৫-এর মধ্যে স্কুলে প্রবেশ করতে হবে, মোবাইল ব্যবহারেও কড়াকড়ি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের

এই নিয়ে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, “সরকারি কর্মচারী, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওয়েস্ট বেঙ্গল হেল্থ স্কিমের অধীনে আনা হলেও স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষা কর্মীদের জন্য তা নেই। সমস্ত স্তরের স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষা কর্মীদের ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ স্কিমের অধীনে আনার দাবিতে আগামী ১৭ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য ভবন এবং স্কুল শিক্ষা দপ্তরে বিক্ষোভ এবং ডেপুটেশন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এরপরে আমরা নবান্নতে মুখ্যমন্ত্রীর নিকট ডেপুটেশন কর্মসূচি গ্রহণ করব।”

পড়ুন:  সবচেয়ে বাড়ির কাছের বিদ্যালয় গুলিতে সুযোগ দিতে হবে! শিক্ষকদের সারপ্লাস বদলি শুরু হতেই...