নিউজ ডেস্ক: এসএসসি ২৬ হাজার চাকরি বাতিল সংক্রান্ত বহু প্রতীক্ষিত মামলার শুনানি ফের পিছিয়ে গেল দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে মামলাটি আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ওঠার কথা ছিল। তবে ওই দিন শুনানি হচ্ছে না। পিছিয়ে গেল মামলাটি। আসলে প্রধান বিচারপতি কাল এজলাসে উপস্থিত থাকবেন না। ফলে ওই বেঞ্চ বসবে না। আগামীকাল ১নং কোর্টের কোনো শুনানি হবেনা বলে নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলাটির দিকে তাকিয়ে আছে গোটা রাজ্য।
সুপ্রিম কোর্টে SSC 2016 নিয়োগ মামলার শুনানির সম্ভাব্য তারিখ ছিল 05/09/2024। যদিও শুনানি পিছিয়ে গেল। সুপ্রিম কোর্টে SSC মামলার তারিখ আবার পিছিয়ে গেল। নোটিশ দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, প্রধান বিচারপতির আগামীকাল বসবেন না বলে ওই বেঞ্চে কোনো শুনানি হবে না।
আগেই স্ক্রুটিনি করে অযোগ্যদের তালিকা তৈরি করে আদালতে জমা করেছে এসএসসি। এই তালিকা অনুযায়ী, চারটি ক্যাটাগরির মোট অযোগ্য চাকরি ১৪৬১। এই ১৪৬১ চাকরির কোনওটাই সুপারিশ করেনি SSC। ১৪৬১ জনের নাম, রোল নম্বর সুপ্রিম কোর্টে জমা করে অযোগ্যদের তালিকা সুপ্রিম কোর্টকে গ্রহণ করার আবেদন জানিয়েছে এসএসসি। এর পাশাপাশি OMR কারচুপি / বিকৃতি করার তথ্যও আছে।
সুপ্রিম কোর্টে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ লিখিতভাবে জানিয়েছে, নিয়োগ ও সুপারিশের মধ্যে যে গরমিল, তার কারণ নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া না থাকা। পর্ষদ জানিয়েছিল, সঠিক শূন্যপদের তথ্য না থাকার জন্যই বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। তাতেই একই ভ্যাকান্সিতে একাধিক নিয়োগের সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছে। একাধিক নিয়োগ হয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্টে আদৌ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এই যুক্তি ধোপে টেকে কিনা, সেদিকে নজর রাখতে হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মঙ্গলবার এসএসসিতে চাকরি বাতিল মামলার শুনানি রয়েছে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চে। তার আগেই সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট জমা দেয় পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ৩ অগাস্ট মধ্য শিক্ষা পর্ষদ ৬ পাতার রিপোর্ট জমা দিয়ে দাবি করেছে, মোট ২৫,৮৪৪ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে নবম-দশমে ১৩০৫৬। একাদশ-দ্বাদশে সহকারি শিক্ষক পদে চাকরি ৫৭৫৭ দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও গ্রুপ-ডি পদে ৪৫৪৭ ও গ্রুপ-সি পদে ২৪৮৪ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল।