নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের স্কুলগুলিতে বুধবার থেকে গরমের ছুটি পড়ে গেছে। গরমের ছুটির পরে কবে ফের ক্লাস শুরু হবে, সেই সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। এদিকে সেপ্টেম্বর মাসে উচ্চমাধ্যমিকের তৃতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা হবে। পড়ুয়াদের পরীক্ষা প্রস্তুতিতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেই জন্য উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে অনলাইন ক্লাসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
আসলে সেপ্টেম্বর মাসে উচ্চমাধ্যমিকে তৃতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা হবে। তৃতীয় এবং চতুর্থ সেমেস্টার মিলিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের মূল্যায়ন করা হবে। গরমের ছুটি পড়ে যাওয়ায় সিলেবাস শেষ করা নিয়ে সমস্যায় পরতে হবে। এই অবস্থায় তৃতীয় সেমেস্টারের জন্য অনলাইন ক্লাসের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেই গরমের ছুটিতে ক্লাস করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
গরমের ছুটিতে ৩য় সেমিস্টার ( Class-XII)-এর পঠনপাঠন শিক্ষক -ছাত্রছাত্রীর মধ্যে Mutual Understanding Basis অনলাইনে করানোর জন্য HOI দেরকে অনুরোধ জানিয়ে নোটিফিকেশন করেছে উচ্চ মাধ্যমিক কাউন্সিল। কিন্তু সময়ের আগেই গরমের ছুটি দেওয়া হল কেন? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষক মহলের একাংশ।
এই বিষয়ে শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “পড়ুয়া ও শিক্ষকেরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ছুটির দিনে অনলাইন ক্লাসের সময় ঠিক করে নেবেন। পরীক্ষার প্রস্তুতিতে যাতে পড়ুয়ারা পিছিয়ে না পড়ে।”
শিক্ষক সংগঠন “অল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন” এর সাধারণ সম্পাদক চন্দন গরাই বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সিলেবাস সঠিকভাবে প্রদান করা ও পাঠ্যপুস্তকগুলি আগে দেওয়া উচিত ছিল, গরমের ছুটিতে অনলাইন ক্লাসের আগে ছাত্র ছাত্রীদের বই দেওয়া বেশি জরুরি ছিল।
শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, “অনলাইনে ক্লাস করার কথা বলা হচ্ছে অথচ সংসদের বই আজ পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা পেল না! বৈদিক যুগের মত শুনে শুনে মনে রাখবে (শ্রুতি) ছাত্রছাত্রীরা। সংসদের নোটিশ দেওয়ার অনেক আগেই বিশেষ একটি পাবলিশার্স খবর পেয়ে সে অনুযায়ী আগাম সংস্কৃত বই বের করে ফেলল অথচ ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অন্যান্য পাবলিশার্স তা জানতে পারেনা। এ কিসের ইঙ্গিত? ছাত্র-ছাত্রীরা আগের ঘোষিত সিলেবাস অনুযায়ী বই কিনে নেওয়ার পর আবার নতুন বই কিনবে। কাউন্সিল এর দায়িত্ব নেবে?”