নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর। স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এই নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। যদিও মধ্য শিক্ষা পর্ষদের আবেদনের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যোগ্য শিক্ষকরা স্কুলে কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন, তবে এর মধ্যেই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।
এবার আন্দোলনে নেমেছেন অযোগ্য শিক্ষকরা। মঙ্গলবার এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের সঙ্গে দেখা করেন ‘অযোগ্য’ চাকরিহারা শিক্ষকদের ১২ জনের একটি প্রতিনিধি দল। তাদের সব দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন এসএসসি চেয়ারম্যান। বেশ কিছু অংশে আমাদের সঙ্গে সহমতও হয়েছেন তিনি। বৈঠক শেষে এমনটাই জানিয়েছেন ‘অযোগ্য’ চাকরিহারারা।
বৈঠক শেষে চাকরিহারা এক শিক্ষক বিপ্লব বিভাস বলেন, “আমরা আমাদের দাবিগুলি লিখিত আকারে আজ এসএসসি চেয়ারম্যানের কাছে তুলে ধরেছি। তিনি সবটা শুনে বেশ কিছু অংশে আমাদের সঙ্গে সহমতও হয়েছেন।” বিপ্লব আরও বলেন, “এসএসসি চেয়ারম্যান আমাদের দাবিগুলি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর আইনজীবীরা বিষয়গুলি দেখবেন।”
আন্দোলনকারী কমলেশ কাপাট বলেন, ‘‘আমাদের সদর্থক বৈঠক হয়েছে। তিনি (চেয়ারম্যান) দিল্লি যাবেন। আইনজীবীদের সঙ্গে আমাদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন। তবে আমরা আন্দোলন থেকে সরছি না।’’ এ প্রসঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ বলেন, ‘‘ওঁরা ওঁদের দাবি নিয়ে এসেছিলেন। আমরা দাবি শুনেছি। আইনি পরামর্শ গ্রহণ করা হবে। এর বাইরে আমি এই বৈঠক নিয়ে আর কিছু বলব না।’’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের দাবিতে সোমবার কালীঘাট অভিযানের ডাক দেন এই ‘অযোগ্য’ চাকরিহারারা। বেলা সাড়ে বারোটায় কিছু সময় পরই এসএসসি ভবনের সামনে থেকে শুরু হয় মিছিল। এরপরে শুরু হয় বিক্ষোভ আন্দোলন।