Homeপশ্চিমবঙ্গঅন ডিউটি' প্রদান ও রেমুনারেশন বৃদ্ধি করতেই হবে! মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের...

অন ডিউটি’ প্রদান ও রেমুনারেশন বৃদ্ধি করতেই হবে! মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখার ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানে এই আর্জি শিক্ষকদের

শিক্ষক বা শিক্ষিকাদের প্রধান পরীক্ষকের কাছ থেকে খাতা নেওয়া এবং জমা দিতে যাওয়া, পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন সব ক্ষেত্রেই যে রেমুনারেশন দেওয়া হয় তা অত্যন্ত কম। প্রতিটি পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের জন্য মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে নূন্যতম ১০ টাকা...

নিউজ ডেস্ক: মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা দেখার নিয়ে প্রতি বছরই বেশ কিছু সমস্যা সামনে আসে। এবার আগেভাগেই উদ্ভূত এই সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য শিক্ষকদের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হল। এই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সভাপতির কাছে সমাধানের আর্জি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হল।

এই বিষয়ে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, “একই পরিক্ষককে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার উভয় খাতা দেখার দায়িত্ব না দিয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সমস্ত শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া, খাতা দেখার সময় বৃদ্ধি (তিন দফা), ছুটির দিনে খাতা জমা দেওয়ার দিন ধার্য হলে অন্য একদিন ‘অন ডিউটি’ প্রদান ও রেমুনারেশন বৃদ্ধির দাবি জানানো হলো পর্ষদ সভাপতি এবং সংসদ সভাপতিকে। এ নিয়ে প্রতিবছর জটিলতা তৈরি হয়। তাই আগে থেকে আমরা এই আবেদন জানালাম।”

তিনি বলেন, বিগত বছরগুলির অভিজ্ঞতা থেকে আমরা দেখেছি যে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের জন্য যে পদক্ষেপ নেওয়া হয় তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। এবারে যাতে সেই সমস্যার সমাধান হয় তার জন্য অনেক আগে থেকে আমরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের কাছে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি সমাধানের জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এখন থেকে উদ্যোগ নিলে বোর্ড এবং কাউন্সিলের সমন্বয়ের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।

১. যেহেতু প্রায় একই সময়ে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করা হয় তাই একই শিক্ষক বা শিক্ষিকাকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের দুটি খাতা মূল্যায়নের জন্য যাতে না দেওয়া হয় সে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হোক। কেননা, বহু শিক্ষককে একটিও পরীক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয় না, আবার দু এক বছর জয়েন করার পর থেকেই অনেককেই এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় দুটি (মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক) পরীক্ষার খাতা দেখার জন্য দেওয়া হয়। এরকম অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে। সবাইকে এই প্রক্রিয়ার মধ্যে যুক্ত করলে একজনকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক দুটো খাতা দেখার চাপ সামলাতে হয় না। তা না হলে পরীক্ষার খাতা যথাযথ মূল্যায়নে অসুবিধে হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

পড়ুন:  ডিসেম্বরেই দেওয়া হবে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা! এই প্রকল্পে টাকা দেবে রাজ্য সরকার! কাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে টাকা? জেনেনিন

২. মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা দেখার সময়সীমা বৃদ্ধি করা হোক। অল্প সময়ের মধ্যে চাপ সৃষ্টি করলে খাতা দেখার ক্ষেত্রে যথাযথ মূল্যায়নে সমস্যা হতে পারে। এখন যেহেতু অনলাইনে নম্বর পুট করে দেওয়ার বিষয়টি প্রধান পরীক্ষকের দায়িত্বে চলে এসেছে (হয়তো মাধ্যমিকের ক্ষেত্রেও আগামীতে হবে) তাই সময় দিয়ে তিনটি ধাপে পরীক্ষার খাতা জমা নেওয়ার দিন ধার্য করা হোক। তাতে অল্প অল্প করে খাতা দেখার এবং জমা দেওয়ার ফলে প্রধান পরীক্ষক।এবং সাধারণ পরীক্ষক দুজনের ক্ষেত্রেই সুবিধে হবে।

পড়ুন:  পাবেন ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা! পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবাস যোজনায় নতুন আবেদন কীভাবে করবেন? আপনিও পাবেন টাকা, জেনেনিন উপায়

৩. পরীক্ষার খাতা জমা দেওয়ার তারিখ গুলি কোন ভাবেই যেন ছুটির দিন না হয়। স্কুলের ক্লাস, পরীক্ষার খাতা দেখা সব মিলিয়ে পুরো সপ্তাহ চাপ থাকে। তার উপর ছুটির দিনগুলি এভাবে ডিউটি দেওয়া অত্যন্ত অমানবিক। কোন ক্ষেত্রে যদি ছুটির দিনে ডিউটি দেওয়া হয় তাহলে পূর্বের মতো তার পরিবর্তে অন্য একদিন অন ডিউটি দেওয়ার স্পষ্ট নির্দেশিকা যেন দেওয়া থাকে।

৪. শিক্ষক বা শিক্ষিকাদের প্রধান পরীক্ষকের কাছ থেকে খাতা নেওয়া এবং জমা দিতে যাওয়া, পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন সব ক্ষেত্রেই যে রেমুনারেশন দেওয়া হয় তা অত্যন্ত কম। প্রতিটি পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের জন্য মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে নূন্যতম ১০ টাকা এবং উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে নূন্যতম ১৫ টাকা করে বৃদ্ধি করার আবেদন জানাচ্ছি। আশা করি, আমাদের এই আবেদনের যৌক্তিকতা বিচার করে কার্যকরীব পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments