Homeপশ্চিমবঙ্গ"বাম এবং বিজেপির চক্রান্ত খারিজ হয়ে গেল” SSC শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম...

“বাম এবং বিজেপির চক্রান্ত খারিজ হয়ে গেল” SSC শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগে সিলমোহর আসতেই একি বললেন আইনজীবী!

উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে আর কোনও বাধা রইল না। নিয়োগে সিলমোহর দিল দেশের সর্বোচ্চ আদলত সুপ্রিম কোর্ট। উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুতই শেষ করা হবে।

আপার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ: উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আর কোনও বাধা রইল না। নিয়োগে সিলমোহর দিল দেশের সর্বোচ্চ আদলত সুপ্রিম কোর্ট। উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুতই শেষ করা হবে। সব ঠিক থাকলে দ্রুত নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে স্কুলে যোগ দেবেন হবু শিক্ষকরা।

রাজীব ব্রহ্ম-সহ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, হাই কোর্টের নির্দেশ সংরক্ষণ নীতির বিরোধী। এর সঙ্গে আরও বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরা হয়। যদিও আদালত সেদিকে কর্ণপাত করেনি। মামলা খারিজ করে দিল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী নিয়োগ হবে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করল না শীর্ষ আদালত।

শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, “নিয়োগপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করবে না শীর্ষ আদালত।”

আজ শুক্রবার উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে শুনানির জন্য উঠল আদালত স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেয়, ১৪ হাজার শূন্যপদে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী নিয়োগ হবে। নিয়োগপত্র দিতে বাধা নেই। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করবে না।

পড়ুন:  প্রথমেই হবে শুনানি! SSC ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার "সুপ্রিম" শুনানি নিয়ে আপডেট সামনে এল

উচ্চ প্রাথমিক মামলায় নিয়োগের পক্ষে থাকা হবু শিক্ষকদের আইনজীবী ছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতেও তিনি ছিলেন। এই বিষয়ে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের মৌখিক পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ২০১৬ সাল থেকে একটি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বার বার হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। এর ফলে বাম এবং বিজেপির চক্রান্ত খারিজ হয়ে গেল।”

২০১৫ সাল থেকে উচ্চ প্রাথমিকের এই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝুলে রয়েছে। হাই কোর্টের নির্দেশে বার বার ১৪ হাজার পদে নিয়োগ স্থগিত হয়ে গিয়েছে।অভিযোগ ছিল, কাউন্সেলিংয়ের সময় এখানে সংরক্ষণ নীতি মানা হয়নি। তফসিলি জাতি এবং জনজাতিদের সংরক্ষণ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন ওঠে। এমনকি, সেখানে মহিলাদের সংরক্ষণ নিয়েও ত্রুটি ছিল বলে আদালতে জানান মামলাকারীদের আইনজীবী। ওএমআর শিটেও গোলমালের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল। তবে সেই সব অভিযোগ কর্ণপাত না করে আদালত নিয়োগ চালিয়ে যেতে বলেছে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments