প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্ট: স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। একাদশ-দ্বাদশ, নবম-দশম, গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি নিয়োগের ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়াই বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে ফেরত দিতে বলা হয়েছিল বেতন।
যদিও কলকাতা হাইকোর্টের চাকরি বাতিলের নির্দেশের বিরূদ্ধে মামলাটিও সুপ্রিম কোর্টে যায়। হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। পৃথক ভাবে মামলা করে রাজ্যের শিক্ষা দফতর, এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনও শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়। সুপ্রিম কোর্টে দফায় দফায় মামলা করেন হাই কোর্টের নির্দেশে চাকরিহারাদের কয়েক জন।
গত ২৪ জুলাই এই মামলার প্রথম শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে। শীর্ষ আদালত এ ক্ষেত্রে হাই কোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। আদলত পর্যবেক্ষণে মন্তব্য করেছিল একই সঙ্গে এতজনের চাকরি বাতিল হতে পারেনা। তবে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, আগামী দিনে শীর্ষ আদালতের রায়ের উপরেই ২৬ হাজার চাকরির ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে।
এরপর মামলাটি বারেবারে পিছিয়ে গেছে। এখনও সেই মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। সময়ের অভাব দেখিয়ে বারেবারে শুনানি পিছিয়ে গেছে। যাঁরা ওই চাকরি করছেন, তাঁরা নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন। পাশাপশি বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরাও আশাহত হয়েছেন। আগামী ১৯ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হতে পারে শীর্ষ আদালতে। এই মামলার দিকে তাকিয়ে আছেন সবাই। শুক্রবার শীর্ষ আদালতে ছিল চন্দ্রচূড়ের কর্মজীবনের শেষ এজলাস। ফলে এখন এই মামলা কোন দিকে গড়ায়, সেই দিকেই তাকিয়ে থাকবেন সবাই।