আরজিকর সুপ্রিম কোর্ট: সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে শুনানি হল আরজিকর কাণ্ডের। সোমবার বেলা পৌনে ১১টার কিছু আগে বেঞ্চ বসে। আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলার দ্বিতীয় দিনের শুনানি হল শীর্ষ আদালতে। সোমবার প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি পর্বের শুরুতেই স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। মুখবন্ধ খামে জমা পড়া স্টেটাস রিপোর্ট খতিয়ে দেখল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
বিচারপতির এজলাসে এডুলজি বলেন, “দুপুর আড়াইটা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত শুধুমাত্র ১০ বার জিডি এন্ট্রি করা হয়েছে। পুরোটা পরে তৈরি করা হয়নি তো? অনেক রহস্য রয়েছে।”
ফিরোজ এডুলজি মন্তব্য করেন, “রাত পৌনে ১২টায় এফআইআর দায়ের হয়েছিল। গত ২৭ বছরের কর্মজীবনে আমি এমন মামলা দেখিনি।” তিনি এক জনস্বার্থ মামলাকারীর পক্ষে সওয়াল করছেন আদালতে। তিনি আরও বলেন, “ময়নাতদন্তের পুরো রিপোর্ট দয়া করে খতিয়ে দেখুন। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উপস্থিত চিকিৎসকরা একটি লবির।”
প্রধান বিচারপতি বললেন, “ওপেন কোর্টে কিছু মন্তব্য করতে চাই না। যাতে তদন্তে প্রভাব পড়ে। আগামী সোমবার তদন্তের আবার স্টেটাস রিপোর্ট দিন।” তদন্তে নতুন কী কী তথ্য উঠে এল, তা নিয়ে আগামী সোমবার স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেবে সিবিআই। ১৭ সেপ্টেম্বর (আগামী সপ্তাহের মঙ্গলবার) এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
সিসিটিভি ফুটেজ কি পেয়েছে সিবিআই? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের। আরজি করের ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজে অভিযুক্তকে প্রবেশ করতে এবং বার হতে দেখা গিয়েছিল। ফলত, ভোর সাড়ে ৪টে থেকে ফুটেজ থাকার কথা। ওই ফুটেজ কি সিবিআইকে দেওয়া হয়েছিল? জানতে চাইলেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। জবাবে সিবিআইয়ের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, ২৭ মিনিটের মোট চারটি ক্লিপিং দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের সওয়াল, সব ফুটেজ দেওয়া হয়েছে।
বেলা ১১.২৪: সুরতহাল কখন করা হয়েছিল? জানতে চাইলেন প্রধান বিচারপতি। সিব্বল জানালেন, বিকেল ৪টে ১০ নাগাদ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসেন। ৪.২০ থেকে ৪.৪০-এর মধ্যে সুরতহাল করা হয়। ভিডিওগ্রাফিও হয়েছে।
বেলা ১১.২৩: অকুস্থলে কখন তল্লাশি ও বাজেয়াপ্ত করার কাজ শুরু হয়? প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির। সিব্বল জানান, রাত ৮.৩০ থেকে ১০.৪৫-এর মধ্যে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর পর অকুস্থলের ছবি তোলা হয়।
বেলা ১১.২২: মামলা রুজুর সময় নিয়ে দুপক্ষের বিরোধ। সিব্বলের এই তথ্যের বিরোধিতা করে সলিসিটর জেনারেলের দাবি, ”মামলা দায়ের হয়েছে দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ। ৫৬৫ একটি মেডিক্যাল রিপোর্ট মাত্র। রাত সাড়ে ১১টায় জিডি হয়েছে। আমার কাছে কপি আছে।” পালটা সিব্বল বললেন, ”আমার কাছে সার্টিফায়েড কপি আছে।”
বেলা ১১.১৮: কোন জেনারেল ডায়েরির ভিত্তিতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা যুক্ত করা হল? প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির। সিব্বলের জবাব, জিডি ৫৬৫, যা ২.৫৫-তেই নথিভুক্ত করা হয়।
বেলা ১১.১৬: প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু হয়েছে কখন? সিব্বল জানান, দুপুর ১.৪৭-এ ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর (৮৬১/ ২০২৪)মামলা রুজু হয় ২.৫৫-এ। ওই সময়ে GD-ও হয়েছে।
বেলা ১১.১৩: রাজ্যের স্টেটাস রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। রিপোর্টে কী আছে? কী গোপন করা হচ্ছে? প্রশ্ন তুলে তাঁর দাবি, যে রিপোর্ট শীর্ষ আদালতে জমা দিয়েছে রাজ্য, তা তাঁদের দেখানো হোক।
বেলা ১১.০৯: স্টেটাস রিপোর্ট দিল রাজ্যও। সূত্রের খবর, রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফেও রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট খতিয়ে দেখছেন বিচারপতিরা।