অষ্টম পে কমিশন: এবার নতুন পে কমিশন গঠন নিয়ে তোড়জোড় শুরু করছে কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী বাজেটেই অষ্টম পে কমিশন নিয়ে ঘোষনা হতে পারে, এই নিয়ে নভেম্বরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র সরকার। ২০১৪ সালের তুলনায় ইতিমধ্যেই দেরি হয়ে গিয়েছে আট মাস। কিন্তু কোনও উচ্চ বাচ্য নেই মোদি সরকারের। এই অবস্থায় অবিলম্বে গঠন করতে হবে অষ্টম পে কমিশন।
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য অষ্টম বেতন কমিশন আগামী বাজেট অধিবেশনেই ঘোষনা হতে চলেছে। এই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গের কর্মচারীদের জন্য সপ্তম বেতন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া কবে শুরু হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেন্দ্রের ৫৩% মহার্ঘ ভাতার জায়গায় এ রাজ্যে কর্মচারীরা পান মাত্র ১৪%। কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের আন্দোলন করে তা আদায় করতে হয় না কিন্তু রাজ্যের ক্ষেত্রে আন্দোলন করেও দাবি আদায় হয় না। এমনই মন্তব্য করছেন এরাজ্যের সরকারি কর্মীরা। অভিযোগ, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্য অর্থ নিয়ে রাজ্য সরকার ভোট রাজনীতি করছে। স্বভাবতই নির্বিকার রাজ্য সরকারের উপর ক্ষুব্ধ কর্মচারী মহল।
নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ১০ বছর অন্তর পে কমিশন গঠন করার কথা। তাই ২০২৪ সালের বাজেটেই সেই ঘোষণার আশা করা হয়েছিল। তবে তখন ঘোষনা করা হয়নি। অবশেষে যা জানা যাচ্ছে তাতে ৪৮ লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী এবং ৬৪ লক্ষ অবসরপ্রাপ্তদের কাছে বহু প্রতীক্ষিত অষ্টম পে কমিশন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে আগামী মাসে।
কর্মী সংগঠগুলি দাবি করছে, গতবারের ফরমুলা মানলে অষ্টম পে কমিশনে ন্যূনতম মূল বেতন (বেসিক পে) ১৮ হাজার থেকে বেড়ে হবে ৩৪ হাজার ৫৬০ টাকা। অর্থাৎ, প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাবে মাসিক বেতন। পাশাপাশি এই অনুপাতে বাড়বে বিভিন্ন ভাতাও। ২০১৬ সালের পে কমিশনে বেসিক পে এবং ভাতা মিলিয়ে ২৪ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ হয়েছিল। আগামী বাজেটে বহু প্রতীক্ষিত ঘোষণা হলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের কাছে তা হবে নতুন বছরের সবথেকে বড় সুখবর।
আর এখানেই প্রশ্ন তুলছেন এরাজ্যের সরকারি কর্মীরা। এই মুহূর্তে ৩৯ শতাংশ ডিএ কম পাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীরা। কেন্দ্র সরকারি কর্মীরা ডিএ পাচ্ছেন ৩৯ শতাংশ। অন্যদিকে, এরাজ্যের সরকারি কর্মীরা ডিএ পাচ্ছেন ১৪ শতাংশ। ডিএ নিয়ে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে, এবার সপ্তম বেতন কমিশন গঠন নিয়েও সরকার নির্বিকার থাকায় ক্ষুব্ধ কর্মচারীরা।