নিউজ ডেস্ক: সামনের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানার কৌতূহল আমাদের সবার মনে থাকে। আমাদের ভবিষ্যৎ কেমন হবে বা দেশ ও বিশ্বে কী ঘটতে যাচ্ছে? এই বিষয়ে অনেক ভবিষ্যদ্বাণী প্রায়শই ভাইরাল হয়। পরবর্তী বছর অর্থাৎ 2025 সাল সম্পর্কে অনুরূপ ভবিষ্যদ্বাণীগুলি মানুষের মধ্যে এখন আলোচনার বিষয়। এই ভবিষ্যদ্বাণীটি বাবা ভেঙ্গা এবং নস্ট্রাডামাসের করেছেন এবং সবচেয়ে মজার বিষয় হল যে তারা উভয়ই একই ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে মানুষের সঙ্গে এলিয়েনদের যোগাযোগ, ভ্লাদিমির পুতিনকে আক্রমণের চেষ্টা, ইউরোপে সন্ত্রাসী হামলা। এর মধ্যে সবচেয়ে ভীতিকর বিষয় হল এই যে, উভয় অর্থাৎ বাবা ভেঙ্গা এবং নস্ট্রাডামাস ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে আগামীতে ইউরোপে একটি বড় যুদ্ধ শুরু হবে, যা অনেক ধ্বংসের কারণ হবে।
বাবা ভেঙ্গা কে?
বাবা ভেঙ্গা একজন বুলগেরিয়ান মহিলা যিনি 1996 সালে মারা যান। তবে তার বলা অনেক কথাই তার মৃত্যুর পর সত্য বলে প্রমাণিত হয়, যার কারণে তার খ্যাতি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। বলা হয় যে বাবা ভেঙ্গা 9/11 সন্ত্রাসী হামলা, প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যু এবং চেরনোবিল পারমাণবিক বিপর্যয়ের মতো বড় ঘটনা সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, যা পরে সত্য প্রমাণিত হয়েছিল। এই কারণে তাকে বলকানের নস্ট্রাডামাস বলা হয়। আসলে নস্ট্রাডামাসের পুরো নাম মিশেল ডি নস্ট্রাডাম। এই প্রাচীন ফরাসি জ্যোতিষী অনেক আগে থেকেই তার সঠিক ভবিষ্যদ্বাণীর জন্য বিখ্যাত ছিলেন।
বাবা ভেঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী
বাবা ভেঙ্গা 2025 সালে ইউরোপে একটি বিপর্যয়কর যুদ্ধের ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, যা ব্যাপক ধ্বংস এবং জীবন ও সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতির কারণ হবে। তার ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধ ছাড়াও আগামী বছর দুই দেশের মধ্যে নতুন যুদ্ধ শুরু হবে।
নস্ট্রাডামাস কী বলেছিলেন?
একইভাবে, নস্ট্রাডামাসও ইউরোপের জন্য একটি ভয়ঙ্কর ভবিষ্যত কল্পনা করেছেন। তার শতাব্দী-প্রাচীন ভবিষ্যদ্বাণী ইঙ্গিত দেয় যে এই মহাদেশে ‘বিধ্বংসী যুদ্ধ’ হবে এবং ‘প্রাচীন প্লেগ’ আবারও ছড়িয়ে পড়বে।
নস্ট্রাডামাস আরও ভবিষ্যতবানী করেছিলেন যে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের সৈন্যরা অবশেষে ক্লান্ত হয়ে পড়বে এবং তারপরে যুদ্ধ শেষ হবে। এর সাথে তিনি বলেছিলেন যে এই স্বস্তি স্বল্প সময়ের জন্য হবে, কারণ এই মহাদেশে একটি নতুন এবং ভয়ঙ্কর যুদ্ধ শুরু হবে।
যদিও এই ভবিষ্যদ্বাণীগুলিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা যায়, তবুও তারা সারা বিশ্বের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।