নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে যে মহার্ঘ ভাতার (DA) ফারাক আছে, সেটা নিয়ে সম্প্রতি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ক্ষোভের মাত্রা বেড়েছে। তারইমধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বার্তা দেওয়া হল। ডিএ ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করা হবে বলে আশ্বাস দিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের আমলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ৩০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয়েছে। আগামিদিনে আরও ডিএ বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।
ত্রিপুরায় দ্বিতীয় সরকারের বর্ষপূর্তিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন, ‘আগের সরকারের সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর করতে অনীহা ছিল। আমরা যখন বিরোধী আসনে ছিলাম, তখন আমাদের আন্দোলনে দিতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু সেখানেও কম (ডিএ) দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমাদের সরকার যখন আসল, সেখানে ২.৫৭ ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর কার্যকর করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০২২ সাল থেকে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ধাপে-ধাপে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালে পাঁচ শতাংশ, তারপর ১২ শতাংশ ডিএ দিয়েছে সরকার। ২০২৪ সালে আরও পাঁচ শতাংশ, তারপর আরও পাঁচ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া দেওয়া হয়েছিল। কোভিডের সময়ও দেওয়া হয়েছিল তিন শতাংশ ডিএ। এই সরকার মোট ৩০ শতাংশ ডিএ দিয়েছে।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আপাতত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় ৫৩ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন। যা শীঘ্রই আরও ২ বা ৩ শতাংশ বাড়তে পারে বলে জল্পনা চলছে।