Home Blog Page 3

SSC: ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় রায় কি আদৌ পুনর্বিবেচনা হবে? মুখ খুললেন আইনজীবি ফিরদৌস শামিম

ফিরদৌস শামিম কলকাতা হাইকোর্ট

নিউজ ডেস্ক: এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাল রাজ্য এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন। শীর্ষ আদালতে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে তারা। সুপ্রিম কোর্ট সূত্রের খবর, আগামী ৮ মে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। ওই দিন মামলাটি শুনবে প্ৰধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ।

সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার এক মাসের মাথায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করল এসএসসি। এর আগে সাংবাদিক বৈঠকে এসএসসি জানিয়েছিল, যোগ্য-অযোগ্যদের বাছাই করে আগের রায় পরিবর্তন বা নতুন রায়ের আবেদন জানানো হবে। সেই মতো তারা আবেদন করেছে।

এসএসসি এবং রাজ্য আগেই জানিয়েছিল, পুরো রায় খতিয়ে দেখে পুনর্বিবেচনার আর্জি (রিভিউ পিটিশন) করা হবে। সেই মতো সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাল রাজ্য। সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে খবর, গত ৩ এপ্রিল এসএসসি মামলার রায় ঘোষণা করেছিল। আর ৩ মে রিভিউ পিটিশন করতে চেয়ে আবেদন করা হয়। 

আগামী ১৩ মে প্রধান বিচারপতি খন্না অবসর নেবেন। তার আগে আগামী বৃহস্পতিবার তাঁর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে। পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ হতে পারে বলে মনে করছেন মূল মামলাকারীদের আইনজীবীরা।

এই প্রসঙ্গে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, ‘‘যে কারণে সুপ্রিম কোর্ট পুরো প্যানেল বাতিল করেছে, তাতে এই রায় পুনর্বিবেচনা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। পূর্বের রায়ই বহাল রাখতে পারে আদালত। এর আগে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আবেদন মেনে নিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার পরেও এখন কেন রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি করতে হল? তা ছাড়া বেশির ভাগ মামলায় দেখা দিয়েছে, তথ্যগত বিভ্রান্তি বা ভুল থাকলে আদালত নিজের রায় পরিবর্তন করে। এ ক্ষেত্রে তেমন কিছু নেই।’’

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি বেঁচে থাকতে কোনও যোগ্য প্রার্থীর চাকরি যাবে না। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, যাঁরা যোগ্য তাঁদের চাকরি নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। কারও চাকরি যাবে না, বিকল্প পথ রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাবে রাজ্য। আপাতত স্বেচ্ছায় পরিষেবা দেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার সেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাল রাজ্য ও এসএসসি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি এবং একাধিক অনিয়মের অভিযোগে গত ৩ এপ্রিল এসএসসি-র ২৬ হাজার (আদতে ২৫৭৫৩) চাকরি বাতিলের রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করে দেয়।

ওড়িশা সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই! দিঘার নবনির্মিত জগন্নাথ ধাম নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য শুভেন্দুর

শুভেন্দু অধিকারী

নিউজ ডেস্ক: দিঘায় নবনির্মিত জগন্নাথ ধাম নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। ফের সিসাল মিডিয়ায় রাজ্যকে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওড়িশা সরকারের অবস্থানকে স্বাগত জানাচ্ছেন বিরোধী। যদিও এরাজ্যের শাসকদলের মন্তব্য, শুভেন্দু আসলে রাজ্যকে ছোট করছেন এবং হিন্দু ধর্মের বিরোধী কথা বলছেন। 

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিঘায় নবনির্মিত জগন্নাথ ধাম নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। এক্স হ্যান্ডলে রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। ফের রাজ্যকে আক্রমণ করলেন তিনি। বললেন, সরকারি টাকায় মন্দির করা যায়না। 

সোস্যাল মিডিয়ায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পোস্ট, ‘শ্রীজগন্নাথ মন্দিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু বিতর্কিত ঘটনায় ওড়িশা সরকারের তদন্তের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। এই ঘটনাগুলি শুধুমাত্র শ্রীজগন্নাথদেবের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অবমাননা নয়, বরং চিরাচরিত প্রথার ওপর সরাসরি আঘাত হেনেছে। শুভেন্দু লেখেন, ‘ধাম‘ শব্দটির

ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক গুরুত্ব রয়েছে। ভারতের চার ধাম–বদ্রীনাথ, দ্বারকা, পুরী এবং রামেশ্বরম, এই ঐতিহ্যের অংশ। পুরীর শ্রীজগন্নাথ মন্দির সেই স্থান যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিবছর রথযাত্রায় অংশ নেয়। কিন্তু দিঘায় ‘জগন্নাথ ধাম‘ তৈরি করে সেই ঐতিহ্য এবং ধর্মীয় পবিত্রতাকে নকল করা হয়েছে। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দুই প্রতিনিধির ভূমিকাও খতিয়ে দেখা উচিত’। 

BIG NEWS: SSC ২৬ হাজার চাকরি বাতিলে রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য এবং এসএসসি, বড় খবর এল

প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না

নিউজ ডেস্ক: ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাল রাজ্য এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন। শীর্ষ আদালতে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে তারা। সুপ্রিম কোর্ট সূত্রের খবর, আগামী ৮ মে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। ওই দিন মামলাটি শুনবে প্ৰধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত ৩ এপ্রিল এসএসসি-র ২০১৬ সালের প্রায় সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের বক্তব্য ছিল, কারা যোগ্য এবং কারা অযোগ্য চাকরিপ্রাপক, সেটা নির্দিষ্ট করা সম্ভব হয়নি। তাই এক্ষেত্রে সকলেরই নিয়োগ বাতিল করা হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধেই রিভিউ পিটিশন করা হল।

রায় ঘোষণার এক মাসের মাথায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করল এসএসসি। এর আগে সাংবাদিক বৈঠকে এসএসসি জানিয়েছিল, যোগ্য-অযোগ্যদের বাছাই করে আগের রায় পরিবর্তন বা নতুন রায়ের আবেদন জানানো হবে। সেই মতো তারা আবেদন করেছে।

এসএসসি এবং রাজ্য আগেই জানিয়েছিল, পুরো রায় খতিয়ে দেখে পুনর্বিবেচনার আর্জি (রিভিউ পিটিশন) করা হবে। সেই মতো সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাল রাজ্য। সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে খবর, গত ৩ এপ্রিল এসএসসি মামলার রায় ঘোষণা করেছিল। আর ৩ মে রিভিউ পিটিশন করতে চেয়ে আবেদন করা হয়। 

আগামী ১৩ মে প্রধান বিচারপতি খন্না অবসর নেবেন। তার আগে আগামী বৃহস্পতিবার তাঁর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে। পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ হতে পারে বলে মনে করছেন মূল মামলাকারীদের আইনজীবীরা। এই প্রসঙ্গে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, ‘‘যে কারণে সুপ্রিম কোর্ট পুরো প্যানেল বাতিল করেছে, তাতে এই রায় পুনর্বিবেচনা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। পূর্বের রায়ই বহাল রাখতে পারে আদালত। এর আগে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আবেদন মেনে নিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার পরেও এখন কেন রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি করতে হল? তা ছাড়া বেশির ভাগ মামলায় দেখা দিয়েছে, তথ্যগত বিভ্রান্তি বা ভুল থাকলে আদালত নিজের রায় পরিবর্তন করে। এ ক্ষেত্রে তেমন কিছু নেই।’’

নয়া বেতন কমিশন: ডিএতে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আসবে! বেতন কাঠামো পরিবর্তন হবে

অষ্টম বেতন কমিশন

নিউজ ডেস্ক: সরকারি কর্মচারীদের বেতন কাঠামোতে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন খুব বেশি দূরে নয়। সূত্রের খবর, মে মাসের শুরুতে কেন্দ্রীয় সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে অষ্টম বেতন কমিশন গঠনের ঘোষণা দিতে পারে। বিশেষ বিষয় হলো, সরকার ২০২৫ সালের জানুয়ারিতেই এর গঠনের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল।

সময়রেখা কী?

বর্তমানে, সপ্তম বেতন কমিশনের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে শেষ হচ্ছে। এর পরে নতুন বেতন কমিশন ১ জানুয়ারী, ২০২৬ থেকে কার্যকর করা হবে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন আসতে ১৫-১৮ মাস সময় লাগতে পারে, যার কারণে এর প্রকৃত বাস্তবায়ন ২০২৭ সাল পর্যন্ত বিলম্বিত হতে পারে।

সবচেয়ে বড় আলোচনা: বিদ্যমান ডিএ কি মূল বেতনের সাথে যোগ করা হবে?

কর্মচারীদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হল, ২০১৬ সালের মতো ৮ম বেতন কমিশন বাস্তবায়নের পর বিদ্যমান মহার্ঘ্য ভাতা (ডিএ) মূল বেতনের সাথে যোগ করা হবে কিনা। সেই সময় ১২৫% ডিএ একীভূত করা হয় এবং আবার ডিএ গণনা শুরু হয়।

ডিএ সূত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন হতে পারে

সরকার ডিএ গণনার জন্য ব্যবহৃত সূত্রটি সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করার কথা বিবেচনা করছে। বর্তমানে, DA গণনা করা হয় AICPI-IW সূচকের ভিত্তিতে এবং এর ভিত্তি বছর হল 2016। কিন্তু ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির কারণে, এই ব্যবস্থা এখন পুরানো হয়ে গেছে।

সম্ভাব্য পরিবর্তন:

নতুন ভিত্তি বছর হতে পারে ২০২৬

এর ফলে বিদ্যমান ডিএ শূন্য হবে এবং নতুন গণনা শুরু হবে।

২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে ডিএ ৬১% এ পৌঁছাতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

যদি এটি ঘটে, তাহলে ২০২৬ সালে কার্যকর হতে যাওয়া অষ্টম বেতন কমিশন এই ডিএকে মূল বেতনের সাথে একীভূত করতে পারে – যদিও এই সমস্ত কিছুই এখন কেবল জল্পনা।

বেতন কাঠামো কি পরিবর্তন হবে?

২০১৬ সালের মতো এবারও কর্মচারীদের বেতন স্কেল, পদোন্নতি এবং বেতন কাঠামোতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। গতবার, ‘গ্রেড পে’ বিলুপ্ত করা হলেও, পে ম্যাট্রিক্স সিস্টেম বাস্তবায়ন করা হয়েছিল যা স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করেছিল।

প্যানেলের প্রতিবেদনের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

বর্তমানে, অষ্টম বেতন কমিশনের সুপারিশের পরেই এই সমস্ত বিষয়ে চূড়ান্ত সিলমোহর দেওয়া হবে। তারপর স্পষ্ট হবে কর্মীদের বেতন কত বাড়বে, ডিএ সূত্র কী হবে এবং নতুন বেতন কাঠামো কেমন হবে। আগামী বছর লক্ষ লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর জন্য অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষায় পূর্ণ। অষ্টম বেতন কমিশনের সুপারিশগুলি তাদের বেতন এবং ভাতাগুলিকে একটি নতুন স্তরে নিয়ে যেতে পারে – যদি সরকার এই দিকে গতি দেখায়।

অসাধারণ: রাজ্যে মাধ্যমিকে চতুর্থ হয়ে মা-হারা মহম্মদ সেলিম জানাল, ‘ভালো মানুষ হতে চাই’

নিউজ ডেস্ক: প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিকের ফল। পূর্ব বর্ধমানের মুহাম্মদ সেলিম এবার রাজ্যে চতুর্থ স্থান দখল করেছে। তার মোট প্রাপ্ত নম্বর ৬৯২ । বাংলা, অংক, ভৌত বিজ্ঞান ও ভূগোলে ১০০ তে ১০০ পেয়েছে। জীবন বিজ্ঞানে ৯৯, ইতিহাসে ৯৮ এবং ইংরেজিতে ৯৫ করে নম্বর পেয়েছে। 

মুহাম্মদ সেলিম জানিয়েছে, ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন আছে তাঁর। মা নেই, চরম দারিদ্রতাকে হারিয়ে এতিম মহম্মদ সেলিম মাধ্যমিকে রাজ্যে চতুর্থ স্থান দখল করেছে। দিনে দশ ঘণ্টা পড়তো করত সেলিম, স্বপ্ন আদর্শ মানুষ হওয়া। 

২০২৫ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সারা রাজ্যে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে, কেতুগ্ৰাম বিধানসভার নিরোল গ্রাম পঞ্চায়েতের সিরুন্দি গ্রাম ও নিরোল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র মহম্মদ সেলিম। বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছে রয়েছে সেলিমের। প্রিয় বিষয় রসায়ন। ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার ইচ্ছে রয়েছে মাধ্যমিকের এই কৃতীর।

মামা ছাড়াও শিক্ষকদের কথাও বারবার শোনা গিয়েছে সেলিমের মুখে। পড়াশোনা এবং প্রস্তুতির প্রতি পদে শিক্ষকেরা তাকে গাইড করেছে বলে জানিয়েছে সে। তার স্কুলের ২ জন শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে, সেলিম বলছে, ‘আমাদের ২ টিচার ছিলেন। খুব ভালো পড়াতেন। খারাপ লেগেছে আমার।’

কৃতী পড়ুয়া বলছে, ‘মাধ্যমিকে খুব খেটেছি। স্যররাও খুব আশা করেছিলেন।’ রেজ়াল্ট নিয়ে চিন্তা ছিল না সেলিমের। মেধাতালিকায় নাম উঠবে কিনা তা নিয়েও চিন্তা ছিল না তার।

মা মারা যাওয়ার পর ছোট থেকেই মামার কাছেই মানুষ। তার এই কৃতিত্ব সে মামাকে উৎসর্গ করতে চায়। এই খবর পেয়ে খুশী তার পরিবার পরিজনরা।

SSC কলকাতা হাইকোর্টের কঠোর নির্দেশ: বিচারপতি ও আইনজীবীদের অবমাননার ঘটনায় পুলিশ কমিশনারকে তদন্তের নির্দেশ

বিকাশ কুণাল

নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ শুক্রবার এসএসসি চাকরি প্রার্থীদের আদালত অবমাননার মামলায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে। আদালতের নির্দেশে, বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এবং বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ ও হেনস্থার ঘটনায় তদন্তের দায়িত্ব পেলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ কুমার ভার্মা। আদালতের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে এই ঘটনাকে “অপরাধমূলক আদালত অবমাননা” আখ্যা দেওয়া হয়েছে এবং একে “বিচারব্যবস্থার মর্যাদার উপর সরাসরি আঘাত” হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “এটি শুধু বিচারক বা আইনজীবীর ব্যক্তিগত অবমাননা নয়, বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা।”

বিক্ষোভের বিস্তারিত বিবরণ

১. কারণ ও অভিযোগ:  

   – উচ্চ প্রাথমিক শারীর শিক্ষা এবং কর্মশিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগের মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা (সুপারনিউমেরারি পদ তৈরি) সত্ত্বেও কলকাতা হাইকোর্টে মামলার অগ্রগতি না হওয়ায় বিক্ষোভে নামেন চাকরিপ্রার্থীরা।  

   – প্রতিবাদকারীদের দাবি, বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এবং মামলার পক্ষের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের মধ্যে “অবৈধ আঁতাত” রয়েছে, যা নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্বিত করছে।  

২. ঘটনার চাঞ্চল্য:  

   – শুক্রবার বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের চেম্বার (ওল্ড পোস্ট অফিস স্ট্রিট) সংলগ্ন এলাকায় বিক্ষোভকারীরা বিচারপতির ও আইনজীবীদের বিরূদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়ে উত্তেজনা তৈরি করেন।  

   – পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা: আদালত চত্বরে ধারা ১৪৪ বলবৎ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়। আইনজীবী সমিতির অভিযোগ, “পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে চোখ বুজে ছিল, যা সন্দেহের জন্ম দেয়।”

আদালতের জরুরি নির্দেশাবলি

– তদন্তের সময়সীমা: পুলিশ কমিশনারকে ১৯ মে, ২০২৫-এর মধ্যে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে হবে।  

– প্রমাণ সংরক্ষণ: ওল্ড পোস্ট অফিস স্ট্রিট ও কিরণশংকর রায় রোডের সিসিটিভি ফুটেজ অবিলম্বে জব্দ করে ডিজিটাল ফোরেনসিক পরীক্ষার নির্দেশ।  

– হলফনামা জমা: অভিযুক্ত কুণাল ঘোষ সহ ৮ জনকে তাদের বক্তব্য আফিডেভিটের মাধ্যমে আদালতে পেশ করার নির্দেশ।  

বিক্ষোভকারীদের মূল অভিযোগ

অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের সুপারনিউমেরারি পদ নিয়ে নির্দেশের পরেও উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ মামলার কোনও অগ্রগতি হয়নি হাইকোর্টে। এক্ষেত্রে বিচারপতি এবং আইনজীবীদের অবৈধ আঁতাত আছে। 

UGC NET 2025: ইউজিসি নেট পরীক্ষার জন্য আবেদন শুরু, পরীক্ষা 21 জুন থেকে 30 জুন, সহকারী অধ্যাপক হওয়ার সুযোগ

UGC NET ইউজিসি নেট

UGC NET 2025: ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (NTA) জুন সেশনের জন্য UGC NET 2025 পরীক্ষার (UGC NET 2025) জন্য আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন জাতীয় যোগ্যতা পরীক্ষার জন্য উপস্থিত হতে চান তারা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ugcnet.nta.ac.in-এ গিয়ে আবেদন করতে পারেন। আপনি UGC NET জুন 2025-এর জন্য 7 মে 2025-এ রাত 11.59 pm পর্যন্ত আবেদন করতে পারেন। সময়সূচী অনুযায়ী, NET 2025 পরীক্ষার আবেদনের ফি 8 মে রাত 11.59 টা পর্যন্ত দেওয়া যাবে। এই পরীক্ষা পাশ করলে সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগের যোগ্যতা অর্জন করা যায়। 

UGC NET 2025: গুরুত্বপূর্ণ তারিখ

UGC NET 2025 জুন সেশনের জন্য অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া: 16 এপ্রিল 2025 থেকে শুরু

UGC NET 2025 জুন সেশনের জন্য অনলাইন আবেদনের শেষ তারিখ: 7 মে 2025 রাত 11.59 টা পর্যন্ত

UGC NET 2025 জুন সেশনের জন্য অনলাইন ফি প্রদানের শেষ তারিখ: 8 মে 2025 রাত 11.59 টা পর্যন্ত

UGC NET 2025 জুন সেশনের জন্য অনলাইন আবেদনপত্রের সংশোধনের তারিখ: 9 মে থেকে 10 মে রাত 11.59 পর্যন্ত

কখন UGC NET 2025 জুন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: 21 জুন থেকে 30 জুন 2025 পর্যন্ত 

UGC NET 2025: আবেদন ফি

UGC NET 2025 জুন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য, অসংরক্ষিত বিভাগের প্রার্থীদের 1150 টাকা দিতে হবে। সাধারণ-EWS, OBC-NCL বিভাগের প্রার্থীদের 600 টাকা এবং SC, ST এবং তৃতীয় লিঙ্গ বিভাগের প্রার্থীদের 325 টাকা দিতে হবে। আবেদনের ফি অনলাইনে, ডেবিট কার্ড বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে।

UGC NET 2025: UGC NET 2025 পরীক্ষার প্যাটার্ন

UGC NET পরীক্ষা কম্পিউটার ভিত্তিক পরীক্ষা (CBT) মোডে পরিচালিত হবে। টেস্ট পেপারে দুটি বিভাগ থাকবে। উভয় বিভাগেই অবজেক্টিভ টাইপ, বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে। প্রথম পত্রে 100 নম্বরের জন্য 50টি প্রশ্ন থাকবে, আর দ্বিতীয় পত্রে 200 নম্বরের জন্য 100টি প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি প্রশ্ন দুই নম্বরের হবে। প্রতিটি সঠিক উত্তর হবে দুই নম্বরের জন্য। এই পরীক্ষায় কোনো নেতিবাচক মার্কিং নেই। এই পরীক্ষা হবে মোট তিন ঘণ্টার। 

কিভাবে UGC NET 2025 পরীক্ষার জন্য আবেদন করবেন | How to apply for UGC NET June 2025 

প্রথমে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ugcnet.nta.ac.in-এ যান।

হোম পেজে, “ugc-net june-2025: নিবন্ধন/লগইন করতে এখানে ক্লিক করুন” শিরোনামের লিঙ্কে ক্লিক করুন।

নিবন্ধন এবং লগইন করতে আপনার শংসাপত্র লিখুন.

সিস্টেম জেনারেটেড লগইন পাসওয়ার্ডের সাহায্যে আবেদনপত্রটি পূরণ করুন।

এর পরে, আবেদন ফি প্রদান করুন এবং আবেদনপত্র জমা দিন।

অবশেষে নিশ্চিতকরণ পেজ ডাউনলোড করুন এবং ভবিষ্যতের রেফারেন্সের জন্য এর প্রিন্টআউট রাখুন।

UGC NET NOTIFICATION 

মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হল; “ভেবেছিলাম ভালো রেজাল্ট করব…” প্রথম হয়ে আদৃত সরকারের বড় মন্তব্য

মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ: পরীক্ষার ৭০দিনের মাথায় মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা পর পর্ষদের ওয়েবসাইটে দেখা যাবে রেজাল্ট। সকাল ৯টায় সাংবাদিক বৈঠক করে ফলপ্রকাশ করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কাল হাতে পাবে মার্কশিট পরীক্ষার্থীরা

মাধ্যমিকে পাসের হার ৮৬.৫৬ শতাংশ। মাধ্যমিকে পাসের হারে প্রথম পূর্ব মেদিনীপুর।

২০২৫ সালের মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় মোট ৬৬ জনের নাম রয়েছে। এই বছর প্রথম হল রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুল থেকে অদৃত সরকার। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৬। ৯৯.৪ শতাংশ। উত্তর দিনাজ পুর থেকে।

এবছর মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছে রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের ছাত্র আদৃত সরকার। আৃতের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৬ (৯৯.৪৩%) রাজ্যে মাধ্যমিকে সেরার সেরা হয়ে নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা স্পষ্ট করেছে এই কৃতী ছাত্র।

বরাবরই মেধাবী সে। ১২ জন গৃহশিক্ষকের কাছে পড়ত। তবে নেশা ছবি আঁকা। বরাবরই ভালো ফলের আশা ছিল। প্রথম স্থানাধিকারী হিসেবে নাম ঘোষণা হতেই আনন্দে কেঁদে ফেলল অদৃত। বলল, “প্রথম হব কোনওদিন ভাবিনি।”   

সংবাদমাধ্যমে এদিন আদৃত বলেছে, “পড়াশোনা নিয়ে আলাদা করে কিছু ভাবিনি। মেডিক্যাল লাইনে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। চিকিৎসক হতে চাই। তবে আগামী দু’বছর অন্য কোনও লাইনে উৎসাহ তৈরি হলে সেই লক্ষ্যে এগোব। ছোটবেলা থেকে গল্পের বই পড়তে ভালোবাসতাম। ভেবেছিলাম। ভেবেছিলাম ভালো রেজাল্ট করব। এক থেকে দশের মধ্যে থাকব, এটা ভেবেছিলাম। 

তবে রাজ্যে প্রথম হব এটা ভাবিনি। আমার পছন্দের বিষয় বায়োলজি। তবে অন্য বিষয়গুলির প্রতিও ঝোঁক ছিল।” 

আৃতের কথায়, “পড়াশোনার ক্ষেত্রে বাধা ধরা কোনও শিডিউল ছিল না। বাবা, মা, দিদি, স্কুলের স্যার, প্রাইভেট টিউটর সবার অবদান রয়েছে। সাহিত্যের প্রতি বিশেষ ভালোবাসা আছে। ছোট থেকে সময় পেলেই গল্পের বই পড়তাম। আগামী বছর যারা মাধ্যমিক দেবে তাদেরও বলব বাধা ধরা কোনও শিডিউল ফলো না করলেও সাফল্য মেলে। আমি গড়ে ৮-১০ ঘণ্টা পড়তাম।”

মাধ্যমিকের মেধাতালিকা

এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় দ্বিতীয় মালদা রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাভবন থেকে অনুভব বিশ্বাস এবং বাঁকুড়া বিষ্ণুপুর হাইস্তুল থেকে সৌম্য পাল। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৪। মাধ্যমিকে তৃতীয় কতুলপুর হাইস্কুল থেকে ঈশানী চক্রবর্তী।

এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন বাঁকুড়ার ঈশানী চক্রবর্তী। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন তিনি। পেয়েছেন ৬৯৪ নম্বর।

মাধ্যমিকে চতুর্থ স্থানে রয়েছে দু’জন। পূর্ব বর্ধমানের মহম্মদ সেলিম এবং পূর্ব মেদিনীপুরের সুপ্রতিক মান্না। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯২।

চলতি বছর মাধ্যমিকে পঞ্চম হয়েছে চার জন। তাদের মধ্যে রয়েছে সিনচান নন্দী। সিনচান গৌরহাটি হরদাস ইনস্টিটিউটের পড়ুয়া। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। পাশাপাশি তালিকায় রয়েছে কামারপুকুর আর.কে.মিশন মাল্টিপারপাস স্কুলের চৌধুরী মহঃ আসিফ। তার প্রাপ্ত নম্বরও ৬৯১। ইটাচুনা শ্রী নারায়ণ ইনস্টিটিউশনের দীপ্তজিৎ ঘোষ। নরেন্দ্রপুর আর কে মিশন বিদ্যালয়ের সোমতীর্থ করণও পেয়েছে ৬৯১।

প্রথম দশে কলকাতার এক। বাগবাজারের রামকৃষ্ণ সারদা মিশন সিস্টার নিবেদিতা গার্লস স্কুলের ছাত্রী অবন্তিকা রায় অষ্টম স্থান পেয়েছে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮।

২০২৫-এর মেধা তালিকায় ১০ তম স্থান পর্যন্ত ৬৬ জন আছেন। প্রথম স্থানে- ১ জন। প্রথম হয়েছে অদৃত সরকার, উত্তর দিনাজপুরের। দ্বিতীয় স্থানে- ২ জন। তৃতীয় স্থানে- ১ জন। চতুর্থ স্থানে- ২ জন।পঞ্চম স্থানে- ৪ জন। ষষ্ঠ স্থানে- ৫ জন। সপ্তম স্থানে-৫ জন। অষ্টম স্থানে- ১৬ জন। নবম স্থানে- ১৪ জন। দশম-১৬ জন।

২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় মোট ৯,৮৪,৭৫৩ জন পরীক্ষার্থী নাম নথিভুক্ত করেছিল। এর মধ্যে ছাত্র ৪,২৮,৮০৩ জন এবং ছাত্রী ৫,৫৫,৯৫০ জন। গত বছরের তুলনায় এবার ৬৫ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী মাধ্যমিকে অংশ নিয়েছে।

BIG NEWS: মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ, প্রথম স্থান পেল রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুল থেকে অদৃত সরকার, প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৬

প্রথম হল রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুল থেকে অদৃত সরকার

মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ: পরীক্ষার ৭০দিনের মাথায় মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা পর পর্ষদের ওয়েবসাইটে দেখা যাবে রেজাল্ট। সকাল ৯টায় সাংবাদিক বৈঠক করে ফলপ্রকাশ করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কাল হাতে পাবে মার্কশিট পরীক্ষার্থীরা

প্রথম হল রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুল থেকে অদৃত সরকার

মাধ্যমিকে পাসের হার ৮৬.৫৬ শতাংশ। মাধ্যমিকে পাসের হারে প্রথম পূর্ব মেদিনীপুর।

২০২৫ সালের মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় মোট ৬৬ জনের নাম রয়েছে। এই বছর প্রথম হল রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুল থেকে অদৃত সরকার। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৬। ৯৯.৪ শতাংশ। উত্তর দিনাজ পুর থেকে।

এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় দ্বিতীয় মালদা রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাভবন থেকে অনুভব বিশ্বাস এবং বাঁকুড়া বিষ্ণুপুর হাইস্তুল থেকে সৌম্য পাল। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৪। মাধ্যমিকে তৃতীয় কতুলপুর হাইস্কুল থেকে ঈশানী চক্রবর্তী।

এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন বাঁকুড়ার ঈশানী চক্রবর্তী। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন তিনি। পেয়েছেন ৬৯৪ নম্বর।

মাধ্যমিকে চতুর্থ স্থানে রয়েছে দু’জন। পূর্ব বর্ধমানের মহম্মদ সেলিম এবং পূর্ব মেদিনীপুরের সুপ্রতিক মান্না। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯২।

মাধ্যমিকের মেধাতালিকা

চলতি বছর মাধ্যমিকে পঞ্চম হয়েছে চার জন। তাদের মধ্যে রয়েছে সিনচান নন্দী। সিনচান গৌরহাটি হরদাস ইনস্টিটিউটের পড়ুয়া। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। পাশাপাশি তালিকায় রয়েছে কামারপুকুর আর.কে.মিশন মাল্টিপারপাস স্কুলের চৌধুরী মহঃ আসিফ। তার প্রাপ্ত নম্বরও ৬৯১। ইটাচুনা শ্রী নারায়ণ ইনস্টিটিউশনের দীপ্তজিৎ ঘোষ। নরেন্দ্রপুর আর কে মিশন বিদ্যালয়ের সোমতীর্থ করণও পেয়েছে ৬৯১।

প্রথম দশে কলকাতার এক। বাগবাজারের রামকৃষ্ণ সারদা মিশন সিস্টার নিবেদিতা গার্লস স্কুলের ছাত্রী অবন্তিকা রায় অষ্টম স্থান পেয়েছে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮।

২০২৫-এর মেধা তালিকায় ১০ তম স্থান পর্যন্ত ৬৬ জন আছেন। প্রথম স্থানে- ১ জন। প্রথম হয়েছে অদৃত সরকার, উত্তর দিনাজপুরের। দ্বিতীয় স্থানে- ২ জন। তৃতীয় স্থানে- ১ জন। চতুর্থ স্থানে- ২ জন।পঞ্চম স্থানে- ৪ জন। ষষ্ঠ স্থানে- ৫ জন। সপ্তম স্থানে-৫ জন। অষ্টম স্থানে- ১৬ জন। নবম স্থানে- ১৪ জন। দশম-১৬ জন।

২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় মোট ৯,৮৪,৭৫৩ জন পরীক্ষার্থী নাম নথিভুক্ত করেছিল। এর মধ্যে ছাত্র ৪,২৮,৮০৩ জন এবং ছাত্রী ৫,৫৫,৯৫০ জন। গত বছরের তুলনায় এবার ৬৫ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী মাধ্যমিকে অংশ নিয়েছে।

SSC: ১১ দিনের মাথায় অনশন প্রত্যাহার শিক্ষাকর্মীদের, কেন এই সিদ্ধান্ত? জেনেনিন বিস্তারিত

এসএসসি SSC শিক্ষক

নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ১১ দিনের মাথায় অনশন প্রত্যাহার করলেন শিক্ষাকর্মীরা। সরকারের সঙ্গে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার শিক্ষাকর্মীদের কয়েক জন প্রতিনিধির সঙ্গে দীর্ঘ ক্ষণ বৈঠক করেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে বোর্ডের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, একসঙ্গে রিভিউ পিটিশনের পথে এগোবে সরকার।

আইনি লড়াইতেও চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের পাশে আছেন বলে জানিয়েছেন পর্ষদ-সভাপতি। সেই আবহে অনশন প্রত্যাহার করলেন শিক্ষাকর্মীরা। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, সরকারের আশ্বাসে নয়, বরং রিভিউ পিটিশনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্যই আন্দোলন থেকে সরছেন তাঁরা। 

এক চাকরিহারা গ্রুপ ডি কর্মী মলয় রায় বলেন, ‘‘আমাদের মূল দাবি ছিল, ‘যোগ্য’দের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। তাতে কোন‌ও আশানুরূপ উত্তর দিতে পারেনি পর্ষদ। তবে আইনি লড়াইয়ের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আমাদের সে জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। তাই সাময়িক ভাবে আন্দোলন থেকে সরছি আমরা।’’

গত শনিবার নবান্ন থেকে জানিয়ে দেন, মামলার নিষ্পত্তি যত দিন না হচ্ছে, তত দিন চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের ভাতা দেবে রাজ্য। গ্রুপ সি কর্মীদের মাসিক ২৫ হাজার এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের মাসিক ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। শুধু তা-ই নয়, রাজ্য সরকারের তরফে ‘রিভিউ পিটিশন’ করা হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। 

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন ২৬ হাজার (আদতে ২৫ হাজার ৭৫৩) শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী। তার পর থেকেই পথে নেমে আন্দোলন করছেন তাঁরা। একাংশের দাবি, কেন রাজ্য সরকার ‘যোগ্য’ এবং ‘অযোগ্য’দের তালিকা দিল না? চাকরি ফেরতের দাবিতে শিক্ষকদের পাশাপাশি পথে নামেন গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি কর্মীরাও।