মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ: পরীক্ষার ৭০দিনের মাথায় মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা পর পর্ষদের ওয়েবসাইটে দেখা যাবে রেজাল্ট। সকাল ৯টায় সাংবাদিক বৈঠক করে ফলপ্রকাশ করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কাল হাতে পাবে মার্কশিট পরীক্ষার্থীরা
মাধ্যমিকে পাসের হার ৮৬.৫৬ শতাংশ। মাধ্যমিকে পাসের হারে প্রথম পূর্ব মেদিনীপুর।
২০২৫ সালের মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় মোট ৬৬ জনের নাম রয়েছে। এই বছর প্রথম হল রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুল থেকে অদৃত সরকার। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৬। ৯৯.৪ শতাংশ। উত্তর দিনাজ পুর থেকে।
এবছর মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছে রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের ছাত্র আদৃত সরকার। আৃতের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৬ (৯৯.৪৩%) রাজ্যে মাধ্যমিকে সেরার সেরা হয়ে নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা স্পষ্ট করেছে এই কৃতী ছাত্র।
বরাবরই মেধাবী সে। ১২ জন গৃহশিক্ষকের কাছে পড়ত। তবে নেশা ছবি আঁকা। বরাবরই ভালো ফলের আশা ছিল। প্রথম স্থানাধিকারী হিসেবে নাম ঘোষণা হতেই আনন্দে কেঁদে ফেলল অদৃত। বলল, “প্রথম হব কোনওদিন ভাবিনি।”
সংবাদমাধ্যমে এদিন আদৃত বলেছে, “পড়াশোনা নিয়ে আলাদা করে কিছু ভাবিনি। মেডিক্যাল লাইনে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। চিকিৎসক হতে চাই। তবে আগামী দু’বছর অন্য কোনও লাইনে উৎসাহ তৈরি হলে সেই লক্ষ্যে এগোব। ছোটবেলা থেকে গল্পের বই পড়তে ভালোবাসতাম। ভেবেছিলাম। ভেবেছিলাম ভালো রেজাল্ট করব। এক থেকে দশের মধ্যে থাকব, এটা ভেবেছিলাম।
তবে রাজ্যে প্রথম হব এটা ভাবিনি। আমার পছন্দের বিষয় বায়োলজি। তবে অন্য বিষয়গুলির প্রতিও ঝোঁক ছিল।”
আৃতের কথায়, “পড়াশোনার ক্ষেত্রে বাধা ধরা কোনও শিডিউল ছিল না। বাবা, মা, দিদি, স্কুলের স্যার, প্রাইভেট টিউটর সবার অবদান রয়েছে। সাহিত্যের প্রতি বিশেষ ভালোবাসা আছে। ছোট থেকে সময় পেলেই গল্পের বই পড়তাম। আগামী বছর যারা মাধ্যমিক দেবে তাদেরও বলব বাধা ধরা কোনও শিডিউল ফলো না করলেও সাফল্য মেলে। আমি গড়ে ৮-১০ ঘণ্টা পড়তাম।”
এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় দ্বিতীয় মালদা রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাভবন থেকে অনুভব বিশ্বাস এবং বাঁকুড়া বিষ্ণুপুর হাইস্তুল থেকে সৌম্য পাল। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৪। মাধ্যমিকে তৃতীয় কতুলপুর হাইস্কুল থেকে ঈশানী চক্রবর্তী।
এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন বাঁকুড়ার ঈশানী চক্রবর্তী। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন তিনি। পেয়েছেন ৬৯৪ নম্বর।
মাধ্যমিকে চতুর্থ স্থানে রয়েছে দু’জন। পূর্ব বর্ধমানের মহম্মদ সেলিম এবং পূর্ব মেদিনীপুরের সুপ্রতিক মান্না। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯২।
চলতি বছর মাধ্যমিকে পঞ্চম হয়েছে চার জন। তাদের মধ্যে রয়েছে সিনচান নন্দী। সিনচান গৌরহাটি হরদাস ইনস্টিটিউটের পড়ুয়া। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। পাশাপাশি তালিকায় রয়েছে কামারপুকুর আর.কে.মিশন মাল্টিপারপাস স্কুলের চৌধুরী মহঃ আসিফ। তার প্রাপ্ত নম্বরও ৬৯১। ইটাচুনা শ্রী নারায়ণ ইনস্টিটিউশনের দীপ্তজিৎ ঘোষ। নরেন্দ্রপুর আর কে মিশন বিদ্যালয়ের সোমতীর্থ করণও পেয়েছে ৬৯১।
প্রথম দশে কলকাতার এক। বাগবাজারের রামকৃষ্ণ সারদা মিশন সিস্টার নিবেদিতা গার্লস স্কুলের ছাত্রী অবন্তিকা রায় অষ্টম স্থান পেয়েছে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮।
২০২৫-এর মেধা তালিকায় ১০ তম স্থান পর্যন্ত ৬৬ জন আছেন। প্রথম স্থানে- ১ জন। প্রথম হয়েছে অদৃত সরকার, উত্তর দিনাজপুরের। দ্বিতীয় স্থানে- ২ জন। তৃতীয় স্থানে- ১ জন। চতুর্থ স্থানে- ২ জন।পঞ্চম স্থানে- ৪ জন। ষষ্ঠ স্থানে- ৫ জন। সপ্তম স্থানে-৫ জন। অষ্টম স্থানে- ১৬ জন। নবম স্থানে- ১৪ জন। দশম-১৬ জন।
২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় মোট ৯,৮৪,৭৫৩ জন পরীক্ষার্থী নাম নথিভুক্ত করেছিল। এর মধ্যে ছাত্র ৪,২৮,৮০৩ জন এবং ছাত্রী ৫,৫৫,৯৫০ জন। গত বছরের তুলনায় এবার ৬৫ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী মাধ্যমিকে অংশ নিয়েছে।