Home Blog

একই নিয়োগে দু’রকম নিয়ম! স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভূমিকা নিয়ে ফের প্রশ্ন, হাইকোর্টে মামলা

এসএসসি কলকাতা হাইকোর্ট

SSC: আবারও বিতর্কের কেন্দ্রে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। এক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুটি ভিন্ন নিয়ম প্রয়োগ করে প্রায় ৬০০ জন প্রার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে ফেলে দিয়েছে এসএসসি—এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল নতুন মামলা।

মামলাকারী অন্বেষা মুখোপাধ্যায়-সহ ৬০০ জন প্রার্থীর পক্ষে আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরী আদালতে জানান, আপার প্রাইমারি, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তি একসাথে প্রকাশিত হয়। বহু প্রার্থী দুই নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই অংশগ্রহণ করে এবং সফল হন। কিন্তু আপার প্রাইমারিতে তাঁদের ‘ইন সার্ভিস’ হিসেবে চিহ্নিত করে ইন্টারভিউয়ে বসতে দেওয়া হয়নি। অপরদিকে, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশে নিযুক্ত শিক্ষকদের একই ‘ইন সার্ভিস’ অবস্থায় ইন্টারভিউয়ে অংশ নেওয়ার অনুমতি দিয়ে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে।

এই দ্বিচারিতা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। মামলাকারীদের দাবি, একই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম প্রয়োগ করে কমিশন বৈষম্য করেছে। এসএসসি-র বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, যারা উচ্চ পদে চাকরি করছেন, তারা আপার প্রাইমারির ইন্টারভিউয়ে বসতে পারবেন না। অথচ এই একই নিয়ম ভেঙেই বহু প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ২০১৫ সালের বাতিল হওয়া একটি রুল দেখিয়ে বহু যোগ্য প্রার্থীকে ইন্টারভিউয়ে বসতেই দেওয়া হয়নি।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের স্কুল শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি পুরো প্যানেল বাতিল করে দেয়। এতে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, যাঁরা পূর্বতন চাকরি ছেড়ে স্কুলে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁরা চাইলে আগের চাকরিতে ফিরে যেতে পারবেন।

মামলাকারীরা বলছেন, এসএসসি-র সিদ্ধান্তজনিত কারণে তাঁরা চাকরি হারিয়েছেন। অথচ এসএসসি তাঁদের কোনও বিকল্প পথও দেখায়নি। তাঁদের বক্তব্য, “এসএসসি যেহেতু ভুল করেছে, তাই আমাদের আপার প্রাইমারিতে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দেওয়ার দায়িত্বও তাদেরই।”

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গ্রীষ্মকালীন ছুটি শেষে এই মামলার দ্রুত শুনানি হতে চলেছে। SSC-র ভূমিকা নিয়ে ফের নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছে এই মামলা। এখন দেখার, আদালত এই মামলায় কী রায় দেয় এবং কতদূর পর্যন্ত ন্যায় পায় বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা।

সুপ্রিম কোর্টের রায়: SSC চাকরিহারা শিক্ষকদের নিয়ে আবার বড় নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট

এসএসসি সুপ্রিম কোর্ট শিক্ষক নিয়োগ

এসএসসি, সুপ্রিম কোর্ট: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) র‍্যাঙ্ক জাম্পের মাধ্যমে চাকরিপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়ায় পরীক্ষায় বসার আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, র‍্যাঙ্ক জাম্প করে চাকরি পাওয়াও দুর্নীতির শামিল। তাই এই প্রার্থীরা চাকরি হারালেও নতুন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না। অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার পূর্ববর্তী রায়কে সঠিক বলে মেনে নিয়েছে আদালত।

র‍্যাঙ্ক জাম্প কী?

এসএসসি-র মেধাতালিকায় নিম্নস্থান থাকা সত্ত্বেও অন্যান্য প্রার্থীদের টপকে চাকরি পাওয়াকে র‍্যাঙ্ক জাম্প বলা হয়। এই পদ্ধতিতে নিয়োগ পেলে মেধাতালিকায় উচ্চস্থানধারী প্রার্থীরা বঞ্চিত হন। ২০১৬ সালের এসএসসি স্কুল নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে শীর্ষ আদালত পুরো প্যানেল বাতিল করে। এর ফলে ২৫,৭৩৫ জনের চাকরি চলে যায়। নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়।

কে পড়ছেন অযোগ্যের তালিকায়? 

আদালত তিন শ্রেণির প্রার্থীকে ‘অযোগ্য’ ঘোষণা করেছে:  

১. সাদা খাতা জমা দেওয়া প্রার্থী: যাঁরা খালি খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন।  

২. প্যানেলের মেয়াদোত্তীর্ণ বা বহির্ভূত প্রার্থী: যাঁরা প্যানেলের সময়সীমা পার হওয়ার পর বা তালিকার বাইরে থেকে নিয়োগ পেয়েছিলেন।  

৩. র‍্যাঙ্ক জাম্পার: মেধাতালিকায় পিছিয়ে থেকেও অন্যকে টপকে চাকরিপ্রাপ্তরা।  

তৃতীয় দলের কিছু প্রার্থী আদালতে আর্জি জানিয়েছিলেন, তাঁরা সাদা খাতা ব্যবহার করেননি এবং প্যানেলভুক্ত ছিলেন। তাই নতুন পরীক্ষায় বসার সুযোগ চেয়েছিলেন। তবে আদালত এটিকে দুর্নীতিরই অংশ বলে প্রত্যাখ্যান করে। বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও কেবি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ স্পষ্ট করে, “র‍্যাঙ্ক জাম্পের মাধ্যমে চাকরি পাওয়া প্রার্থীরাও নিয়োগের নীতিমালা লঙ্ঘন করেছেন। তাই তাঁদের আবেদন নাকচ।”

কী বলছেন আইনজীবীরা?

মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম ও বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “র‍্যাঙ্ক জাম্পাররাও দুর্নীতির সুবিধাভোগী। তাই নতুন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ থেকে তাঁদের বাদ দেওয়া ন্যায়সঙ্গত।” আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছে, অযোগ্য প্রার্থীদের প্রাপ্ত বেতন ফেরত দিতে হবে।

পরবর্তী পদক্ষেপ  

এসএসসি-র নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে কমিশন। তবে র‍্যাঙ্ক জাম্পারসহ অযোগ্য প্রার্থীদের এই প্রক্রিয়ায় আবেদন করলেও তা বাতিল হবে বলে জানানো হয়েছে। আদালতের এই সিদ্ধান্তে চাকরিচ্যুত একাংশের মধ্যে হতাশা থাকলেও, মেধাতালিকায় উপরের দিকের প্রার্থীদের জন্য নতুন সুযোগের দরজা খুলেছে।  

এই রায়ে আরও স্পষ্ট হয়েছে, নিয়োগে স্বচ্ছতা রক্ষায় কঠোর নজরদারির প্রয়োজন। ভবিষ্যতে যাতে এমন অনিয়ম না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উপর চাপ বাড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বাতিল মামলা: ‘দুর্নীতির প্রমাণ নেই’, কলকাতা হাইকোর্টে এজির দাবি, বিস্তারিত জেনেনিন

কলকাতা হাইকোর্ট শিক্ষক নিয়োগ

কলকাতা, ২০ মে ২০২৫: কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বাতিল সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত বুধবার জোরালো যুক্তি তুলে ধরে বলেন, “অনিয়ম আর দুর্নীতি এক জিনিস নয়।” তাঁর এই বক্তব্য আসে ২০১৬ সালের ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকারের আপিলের প্রেক্ষাপটে। মামলাটির পরবর্তী শুনানি নির্ধারিত হয়েছে ১২ জুন।

এজির যুক্তি: দুর্নীতির প্রমাণ নেই  

এজি কিশোর দত্তের মতে, সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে দুর্নীতির অভিযোগকে “অনুমানভিত্তিক”ভাবে গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “দুর্নীতির চিরাচরিত সংজ্ঞা অনুযায়ী, কে টাকা নিয়েছে তার প্রমাণ দরকার। কিন্তু সিঙ্গল বেঞ্চ কোনো প্রমাণ ছাড়াই শুধু অনিয়মকে দুর্নীতি বলে চালিয়ে দিয়েছে” । এছাড়া, সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (অবসরপ্রাপ্ত) নিজেই মামলার তদন্তে অংশ নিয়েছিলেন বলে এজি অভিযোগ তোলেন। তাঁর ভাষ্য, “সিলেকশন কমিটিতে অভিজ্ঞরা ছিলেন, কিন্তু আদালত বাস্তব প্রক্রিয়ার চেয়ে হাইপথেটিক্যাল বিষয়ে বেশি মনোযোগ দিয়েছে।”

রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, বারবার দুর্নীতি বললেই সেটা যে দুর্নীতি তা প্রমাণিত হয় না। দুর্নীতি বললে এক বা একাধিক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে হবে। যদি দুর্নীতিতে আর্থিক লেনদেন হয়ে থাকে, সেই লেনদেন প্রমাণ করতে হবে। সঙ্গে কোনও পরীক্ষার্থীকে যদি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য ঘুষ নেওয়া হয়েছে সেটিও আদালতে প্রমাণ করতে হবে বলে জোরালো সওয়াল করেন এজি কিশোর দত্ত। তিনি আদালতে আরও জানান, নিয়ম না মানলেই সেটা ‘দুর্নীতি’ নয়। ক্ষমতার অপব্যবহার ‘দুর্নীতি’-র সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে না। 

সিঙ্গল বেঞ্চের রায় ও স্থগিতাদেশ  

২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০১৬ সালে এই নিয়োগগুলি সম্পন্ন হয়। পরবর্তীতে দুর্নীতির অভিযোগে ২০২৩ সালের মে মাসে সিঙ্গল বেঞ্চ ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন। তবে এই রায়কে রাজ্য সরকার ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ করে এবং বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের বেঞ্চ রায়ের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়। এরপর মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে গেলেও তা ফের হাইকোর্টে ফেরত আসে। 

আদালতের প্রশ্ন ও এজির পাল্টা যুক্তি  

ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতিরা এজিকে প্রশ্ন তোলেন, “দুর্নীতির অভিযোগ এলে কি শুধু নথি দেখেই রায় দেওয়া যায়?” এজি এর জবাবে বলেন, “সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে কোনো সরকারি আধিকারিক বা রাজনৈতিক প্রভাবের উল্লেখ নেই। এমনকি অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট না হলেও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী, এত বড় সংখ্যক চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতিকে এক ঘণ্টার নোটিসে জেরা করলেও অভিযুক্তরা ইন্টারভিউ বোর্ডে ছিলেন না।

পটভূমি ও পরবর্তী পদক্ষেপ  

এই মামলার শিকড় ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগে। অভিযোগ ছিল, টেটের ফলাফল বিকৃত করে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের রায়ের পর রাজ্য সরকার ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করায় শুনানির তারিখ এখন ১২ জুন। এজির যুক্তি ও আদালতের সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে, এই বিতর্কিত নিয়োগগুলি স্থায়ী হবে নাকি বাতিলের পথে যাবে। 

সংক্ষেপে:

– এজির দাবি: অনিয়ম ≠ দুর্নীতি; সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে প্রমাণের অভাব।  

– আদালতের অবস্থান: ডিভিশন বেঞ্চ রায় মুলতুবি রেখেছে।  

– পরবর্তী শুনানি: ১২ জুন।

সরকারি আওতায় নিয়ে এসে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরি সুনিশ্চিত করতে হবে! বড় দাবি আংশিক শিক্ষকদের

স্কুল শিক্ষক
প্রতীকী চিত্র

নিউজ ডেস্ক: সরকারি আওতায় নিয়ে আসা এবং ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরি সুনিশ্চিত করার দাবিতে এবার পার্ট টাইম টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সকল আংশিক সময়ের শিক্ষক শিক্ষিকাগণ একসাথে একদিনে পুরুলিয়া জেলা সহ সমস্ত জেলায় ডিআই অফিসে ডেপুটেশন দিতে চলেছেন। এইসব আংশিক সময়ের শিক্ষকদের বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি নিয়োগ করে থাকেন এবং বিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে তাদের মাসিক দুই হাজার থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন দেওয়া হয়।

তারা বিভিন্ন জেলায় নেতা, মন্ত্রী, এমএলএ, এমপি সকলকে স্মারকলিপি দিয়েছেন। এছাড়াও নবান্ন, কালীঘাট, বিকাশ ভবন, বিদ্যাসাগর ভবন সমস্ত জায়গায় বারবার আবেদন করা হয়েছে তথাপি কোন সূরাহা না হওয়ায় আগামী 20 মে মঙ্গলবার সমস্ত জেলায় ডিআই অফিসে একসাথে ডেপুটেশন দেওয়া হবে। 

পার্ট টাইম টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি সমীর কুমার দেওঘরিয়া জানিয়েছেন এতেও যদি কোন সূরাহা না হয় তাহলে আগামী দিনে কলকাতার রাজপথে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

SSC প্যানেল বাতিলের প্রভাব: চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ ফিরতে চাইছেন পূর্বের কর্মক্ষেত্রে

স্কুল সার্ভিস কমিশন

SSC, চাকরি বাতিল: রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-র ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিলের পর চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ এখন পুরোনো সরকারি চাকরিতে ফিরে যাওয়ার জন্য আবেদন করছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে রাজ্য শিক্ষা দপ্তরে ইতিমধ্যেই ৪০০-র বেশি আবেদন জমা পড়েছে। এদের অনেকেই পূর্বে প্রাথমিক বিদ্যালয় বা অন্যান্য সরকারি বিভাগে কর্মরত ছিলেন এবং পরে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে যোগ দিয়েছিলেন।  

আদালতের নির্দেশ ও ফেরার প্রক্রিয়া  

গত মাসে সুপ্রিম কোর্ট প্যানেল বাতিলের পাশাপাশি একটি গুরুত্বপূর্ণ রায়ে জানায়, যারা অন্য সরকারি চাকরি ছেড়ে এসএসসি-র স্কুল চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন, তারা চাইলে পূর্বের পদে ফিরতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে তিন মাসের মধ্যে তাদের পুনর্বহাল করতে হবে এবং চাকরির সময়কালে কোনো বিচ্ছিন্নতা গণ্য হবে না। এই নির্দেশনার পর থেকেই চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা দপ্তরে আবেদন জমা দিচ্ছেন।  

শিক্ষা দপ্তরের তদন্ত ও চ্যালেঞ্জ  

শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি আবেদন যাচাই করা হচ্ছে। বিশেষ করে, আবেদনকারীদের পূর্ববর্তী চাকরির ইতিহাস, পদ ও বিভাগ সম্পর্কে বিস্তারিত পরীক্ষা করা হচ্ছে। একাধিক আবেদনকারী আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও উচ্চস্তরের স্কুলে যোগ দেওয়ায় তাদের ফেরার অনুরোধ জটিলতা তৈরি করছে। দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, “আবেদনগুলির নথি পর্যালোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ।”  

আন্দোলন বনাম প্রশাসনিক পথ  

এদিকে, এসএসসি প্যানেল বাতিলের বিরুদ্ধে বিকাশ ভবনের সামনে চাকরি ফেরতের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের একাংশ আদালতের নির্দেশকে “আংশিক সমাধান” বলে মনে করছেন। তবে যারা পরিবারের আর্থিক সংকটের কথা ভেবে পুরোনো চাকরিতে ফিরতে চাইছেন, তাদের পক্ষে এই সুযোগ গুরুত্বপূর্ণ। কলকাতার এক আবেদনকারী শিক্ষিকা বলেন, “স্কুলের চাকরি চলে যাওয়ায় সংসার চালানো কঠিন হচ্ছিল। পুরোনো চাকরিতে ফিরলে অন্তত আর্থিক সুরক্ষা মিলবে।”  

কী হতে পারে সামনে?  

শিক্ষা দপ্তর অনুমান করছে, আবেদনের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। পাশাপাশি, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফেরার চাহিদা বাড়ায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে সমন্বয়ের প্রয়োজন হতে পারে। আইনি বিশেষজ্ঞদের মতে, সুপ্রিম কোর্টের রায় পালনে রাজ্য সরকারের গতি ইতিবাচক হলেও চাকরি পুনর্বহালের প্রক্রিয়া দ্রুততার সঙ্গে শেষ করা চ্যালেঞ্জ হয়ে থাকবে।  

এই পরিস্থিতিতে, চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ আইনি লড়াই ও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পথে থাকলেও অনেকেই এখন প্রশাসনিক সমাধানের দিকে ঝুঁকছেন। রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে এই সংকট মোকাবিলায় সরকারি পদক্ষেপই এখন সমস্ত চোখ।

১০ হাজার কোটির ডিএ জটিলতা: জনকল্যাণ নাকি মহার্ঘ ভাতা—কোন পথে পশ্চিমবঙ্গ? সুপ্রিম কোর্টে উচ্চতর বেঞ্চে আবেদন?

মহার্ঘ ভাতা ডিএ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় da

নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে রাজ্য কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘভাতার (ডিএ) ২৫ শতাংশ, অর্থাৎ ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি পরিমাণ শীঘ্রই পরিশোধ করতে হবে। এই রায়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বড় চ্যালেঞ্জের মুখে। আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে এই অর্থ যোগাড় করা জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজ্যের কাছে দুটি পথ খোলা রয়েছে—এক, আদেশ চ্যালেঞ্জ করে উচ্চতর বেঞ্চে আবেদন; দুই, জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের তহবিল কাটছাঁট। তবে আইনবিদদের মতে, আদেশ চ্যালেঞ্জের সুযোগ কম। ফলে লক্ষ্মীর ভান্ডার, গ্রামীণ সড়ক বা আবাস যোজনার মতো প্রকল্পে বাজেট কাটছাঁটের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। 

রাজ্যের ঋণ বোঝা জিডিপির ৩৮%, যা জাতীয় স্তরে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ। এমতাবস্থায় অতিরিক্ত ১০ হাজার কোটি টাকা তোলা কঠিন। রাজ্য কর্মচারীরা বর্তমানে ১৮% ডিএ পেলেও কেন্দ্রীয় কর্মীদের তুলনায় ৩৭% ব্যবধান রয়ে গেছে। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের পরামর্শ নেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। তবে, তৃণমূল নেতাদের আশঙ্কা, জনসাধারণের প্রকল্পে টানাটানি ভোটে প্রভাব ফেলতে পারে। 

মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের মতে, মন্দির নির্মাণ বা ক্লাব অনুদানের মতো খাত থেকে টাকা সরিয়ে ডিএ পরিশোধ সম্ভব, জনকল্যাণ প্রকল্প থামানোর দরকার নেই। তবে, আদালতের সময়সীমা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে—কেউ বলছেন চার সপ্তাহ, কেউ তিন মাস। রায়ের বিস্তারিত পাঠ্যেই কেবল স্পষ্ট হবে এই সময়সীমা। মুখ্যমন্ত্রী শীঘ্রই এই বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে বকেয়া মহার্ঘভাতার ২৫ শতাংশ দেওয়া সরকারের কাছে গোদের উপর বিষফোড়ার শামিল বলে মনে করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মন্ত্রীর কথায়, ‘‘রাজ্যের প্রচুর অর্থ আটকে রেখেছে কেন্দ্র। কিন্তু জনসাধারণের স্বার্থে ওই প্রকল্পগুলি চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। এখন রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে আবাস যোজনা, ১০০ দিনের কাজ থেকে গ্রামীণ সড়ক যোজনার টাকাও দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য বাজেটে নির্ধারিত বরাদ্দও রয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কোন খাত থেকে কাটছাঁট করে ডিএ-র টাকা জোগাড় করা যায়, সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।’’ তিনি এ-ও জানান যে, এ ব্যাপারে অর্থনৈতিক বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা তথা রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের পরামর্শ নেওয়া হতে পারে। 

DA: তবে কিরাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ-র ২৫% কি দেওয়া হবে? যা বললেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য

রাজ্য বাজেট ডিএ মমতা চন্দ্রিমা

DA News: রাজ্য সরকারী কর্মীদের জন্য বিরাট সুখবর এসেছে, বড় নির্দেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। ৪ সপ্তাহের মধ্যে মেটাতে হবে বকেয়া ডিএ, জানালেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। রাজ্যের কোমর ভেঙে যাবে, আদালতে আপত্তি জানায় রাজ্য। ২০০৯-এর পয়লা জুলাই থেকে বকেয়া মহার্ঘভাতা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া DA-র ২৫ শতাংশ দিতে হবে এখনই, জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চার সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। এই আবহে কী বললেন রাজ্য সরকারের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য? ডিএ নির্দেশ নিয়ে আজ মন্ত্রী বললেন, ‘ডিএ মামলার সুপ্রিম নির্দেশিকা এখনও হাতে পাইনি। পাওয়ার পর যা বলার বলব।

মহার্ঘভাতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা পাওয়ার পর এ বিষয়ে মতামত জানাবেন৷ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানির সময় রাজ্য সরকারের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি জানান, ডিএ কোনও সাংবিধানিক অধিকারের মধ্যে পড়ে না৷ সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার একটি রায় দিয়ে জানিয়েছে, রাজ্য সরকারি কর্মীদের ২৫ শতাংশ ডিএ দিতে হবে৷

শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশের পর শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এই রায় পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের এক বিশাল জয়। যাঁরা বছরের পর বছর দাম্ভিক, নির্দয় এবং অমানবিক রাজ্য সরকারের অবিচারের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গেছেন।”

বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য এদিন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন, যাতে অন্তত বকেয়া ডিএ নিয়ে কিছু একটা নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই শীর্ষ আদালত ২৫ শতাংশ ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, “রাজ্য তো আরও বড় ধাক্কা খাচ্ছিল। মামলাটা ডিসমিস করে দিত সুপ্রিম কোর্ট। তারপর রাজ্য আকুতি-মিনতি করল।”

বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট বলেছে, আগে বকেয়া টাকা দাও, তারপর কথা বলব। কোনও কথা শুনতে চাননি বিচারপতি।” একই সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, ৫০ শতাংশ ডিএ দিতে প্রবল আপত্তি জানিয়েছে রাজ্য। বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, “৫০ শতাংশ ডিএ দিতে বলেছিল। তারপর রাজ্য কান্নাকাটি করল। তখন ২৫ শতাংশ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” 

আইজীবী ফিরদৌস শামিম জানিয়েছেন, ডিএ সংক্রান্ত মামলার সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে একটা প্রভাব থাকতে পারে, এ কথা ভেবেই মামলাটি শোনার সিদ্ধান্ত নেয় সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ফিরদৌস শামিম।

DA News: বকেয়া ডিএ দেওয়া নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন আইনজীবি বিকাশ ভট্টাচার্য এবং ফিরদৌস শামিম

বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ফিরদৌস শামিম
ফাইল চিত্র

DA News: রাজ্য সরকারী কর্মীদের জন্য বিরাট সুখবর এসেছে, বড় নির্দেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। ৪ সপ্তাহের মধ্যে মেটাতে হবে বকেয়া ডিএ, জানালেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। রাজ্যের কোমর ভেঙে যাবে, আদালতে আপত্তি জানায় রাজ্য। ২০০৯-এর পয়লা জুলাই থেকে বকেয়া মহার্ঘভাতা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া DA-র ২৫ শতাংশ দিতে হবে এখনই, জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য এদিন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন, যাতে অন্তত বকেয়া ডিএ নিয়ে কিছু একটা নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই শীর্ষ আদালত ২৫ শতাংশ ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, “রাজ্য তো আরও বড় ধাক্কা খাচ্ছিল। মামলাটা ডিসমিস করে দিত সুপ্রিম কোর্ট। তারপর রাজ্য আকুতি-মিনতি করল।”

বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট বলেছে, আগে বকেয়া টাকা দাও, তারপর কথা বলব। কোনও কথা শুনতে চাননি বিচারপতি।” একই সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, ৫০ শতাংশ ডিএ দিতে প্রবল আপত্তি জানিয়েছে রাজ্য। বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, “৫০ শতাংশ ডিএ দিতে বলেছিল। তারপর রাজ্য কান্নাকাটি করল। তখন ২৫ শতাংশ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” 

আইজীবী ফিরদৌস শামিম জানিয়েছেন, ডিএ সংক্রান্ত মামলার সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে একটা প্রভাব থাকতে পারে, এ কথা ভেবেই মামলাটি শোনার সিদ্ধান্ত নেয় সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ফিরদৌস শামিম।

সুপ্রিম কোর্ট প্রথমে জানিয়েছিল, বকেয়া ডিএ-র ৫০ শতাংশ দিয়ে দিতে হবে রাজ্যকে। বিচারপতি করোলের মন্তব্য, ‘এই মামলায় ট্রাইব্যুনাল কোর্ট, হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ— সব জায়গার রায় আমরা খতিয়ে দেখেছি। সব ক্ষেত্রেই ডিএ-র পক্ষে রায় দেওয়া হয়েছে’। রাজ্যর তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি জানান, ৫০ শতাংশ বকেয়া ডিএ দেওয়া এখনই সম্ভব নয়। তা হলে রাজ্য চালানো যাবে না। এরপরই চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে অন্তত ২৫ শতাংশ ডিএ মেটানোর নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

৪ সপ্তাহের মধ্যে মেটাতে হবে বকেয়া ডিএ, জানালেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন। প্রথমে ৫০ শতাংশ বকেয়া মহার্ঘভাতা দেওয়ার নির্দেশ আদালতের। বিপুল টাকা, কোমর ভেঙে যাবে, আদালতে আপত্তি জানায় রাজ্য।

প্রথমে ৫০ শতাংশ বকেয়া মহার্ঘভাতা দিয়ে দিতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এটা বিপুল টাকা, রাজ্যের কোমর ভেঙে যাবে, আদালতে আপত্তি জানায় রাজ্য

২০০৯-এর পয়লা জুলাই থেকে বকেয়া মহার্ঘভাতা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডিএ মামলার শুনানিতে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। ২০০৯-এর পয়লা জুলাই থেকে বকেয়া মহার্ঘভাতা পাওয়া যাবে। 

ব্রেকিং: কত দিনের মধ্যে, কত মাসের বকেয়া DA পেতে চলেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা? বিস্তারিত জেনেনিন

অষ্টম বেতন কমিশন

DA News: রাজ্য সরকারী কর্মীদের উপর বিরাট সুখবর, বড় নির্দেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। ৪ সপ্তাহের মধ্যে মেটাতে হবে বকেয়া ডিএ, জানালেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন। রাজ্যের কোমর ভেঙে যাবে, আদালতে আপত্তি জানায় রাজ্য। ২০০৯-এর পয়লা জুলাই থেকে বকেয়া মহার্ঘভাতা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া DA-র ২৫ শতাংশ দিতে হবে এখনই, জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

৪ সপ্তাহের মধ্যে মেটাতে হবে বকেয়া ডিএ, জানালেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন। প্রথমে ৫০ শতাংশ বকেয়া মহার্ঘভাতা দেওয়ার নির্দেশ আদালতের। বিপুল টাকা, কোমর ভেঙে যাবে, আদালতে আপত্তি জানায় রাজ্য।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চার সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। এই বকেয়া মহার্ঘ ভাতা কবে থেকে গণনা করা হবে? এই বিষয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, ১ জানুয়ারি ২০১৬ থেকে ডিএ বকেয়া রয়েছে। সেই সময় থেকে বকেয়া হিসাব করতে হবে।

২০০৯-এর পয়লা জুলাই থেকে বকেয়া মহার্ঘভাতা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডিএ মামলার শুনানিতে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। ২০০৯-এর পয়লা জুলাই থেকে বকেয়া মহার্ঘভাতা পাওয়া যাবে।

রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনের নেতা মলয় মুখোপাধ্যায় এদিন সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী রায় ঘোষণার পর বলেন, “এই ২৫ শতাংশ বকেয়া বড় কথা নয়। সরকারি কর্মচারী ও অন্যান্য আন্ডারটেকিংয়ের কর্মীদের জন্য যে ডিএ-র মান্যতা আদায় করে আনতে পেরেছি এটা বড় জয়। এই বকেয়া ডিএ পঞ্চম বেতন কমিশন (West Bengal 5th Pay Commission) অনুযায়ী দেওয়া হবে। কারণ মামলাটা হয়েছিল পঞ্চম বেতন কমিশনের সময়ে। তখন ষষ্ঠ বেতন কমিশন ( West Bengal 6th Pay Commission) বাস্তবায়িত হয়নি। ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুসারে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে বেতনের ফারাক হল ৩৭ শতাংশ। কেন্দ্র ৫৫ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দেয়। রাজ্য সরকার দিচ্ছে ১৮ শতাংশ”। 

রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া DA-র ২৫ শতাংশ দিতে হবে এখনই, জানাল সুপ্রিম কোর্ট। বকেয়া মহার্ঘভাতার ২৫ শতাংশ দিয়ে দিন, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। অগাস্ট মাসে শুনানির দিন ধার্য করছি, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে জানালেন বিচারপতি।

রাজ্যের তরফে অভিষেক মনু সিংভি জানান এটা কোন সাংবিধানিক অধিকার নয়। সওয়াল জবাব শেষে বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। DA মামলার শুনানিতে বড় ধাক্কা রাজ্যের। ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ। মামলার ভাগ্যের উপর বাকিটা নির্ভর করবে পর্যবেক্ষণ বিচারপতির। রাজ্যের তরফে তখন যুক্তি দেওয়া হয় এই বিপূল পরিমাণ টাকা দিতে রাজ্যের কোমর ভেঙ্গে যাবে। রাজ্যের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি জানান, DA  কোন অধিকার নয়, সাংবিধানিক অধিকার নয়। পাশাপাশি জানানো হয় ৫০ শতাংশ DA এই মুহূর্তে দেওয়া সম্ভব নয়। এরপরই সুপ্রিম নির্দেশে বলা হয়েছে বকেয়া মহার্য ভাতার ২৫ শতাংশ সরকারি কর্মচারীদের দিতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি অগাস্টে ধার্য করা হয়েছে। রাজ্য সরকারকে আপাতত ২৫ শতাংশ ডিএ দিতে হবে সাফ জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।  

BIG NEWS: রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের বিরাট জয়! DA মামলায় ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের

সুপ্রিম কোর্ট মহার্ঘ ভাতা এসএসসি

নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের বিরাট জয়! DA মামলায় ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের। ২৫ শতাংশ ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার নিদের্শ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। 

DA মামলার শুনানিতে বড় ধাক্কা রাজ্যের। বিরাট জয় সরকারি কর্মচারীদের। রাজ্যের তরফে অভিষেক মনু সিংভি জানান এটা কোন সাংবিধানিক অধিকার নয়। সওয়াল জবাব শেষে বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের।

DA মামলার শুনানিতে বড় ধাক্কা রাজ্যের। ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ। মামলার ভাগ্যের উপর বাকিটা নির্ভর করবে পর্যবেক্ষণ বিচারপতির। রাজ্যের তরফে তখন যুক্তি দেওয়া হয় এই বিপূল পরিমাণ টাকা দিতে রাজ্যের কোমর ভেঙ্গে যাবে। রাজ্যের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি জানান, DA  কোন অধিকার নয়, সাংবিধানিক অধিকার নয়। পাশাপাশি জানানো হয় ৫০ শতাংশ DA এই মুহূর্তে দেওয়া সম্ভব নয়। এরপরই সুপ্রিম নির্দেশে বলা হয়েছে বকেয়া মহার্য ভাতার ২৫ শতাংশ সরকারি কর্মচারীদের দিতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি অগাস্টে ধার্য করা হয়েছে। রাজ্য সরকারকে আপাতত ২৫ শতাংশ ডিএ দিতে হবে সাফ জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট 

৫০ শতাংশ মহার্ঘভাতা দিয়ে দিন, ডিএ মামলার শুনানিতে জানায় সুপ্রিম কোর্ট। মামলার ভাগ্যের ওপর বাকিটা নির্ভর করবে, পর্যবেক্ষণ বিচারপতির। তবে আদালতে রাজ্যের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, এটা বিপুল টাকা, রাজ্যের কোমর ভেঙে যাবে। তাছা়ড়া তাঁর ব্যাখ্যা, এটা কোনও সাংবিধানিক অধিকার নয়, ৫০ শতাংশ ডিএ দেওয়া সম্ভব নয়। তারপর সব শুনে শীর্ষ আদালত জানায়, বকেয়া মহার্ঘভাতার ২৫ শতাংশ দিয়ে দিন।

আদালত বলে, এরা আপনাদের কর্মী, ফলে অসুবিধার কোনও কারণ নেই, রাজ্যকে বলেন বিচারপতি সঞ্জ কারোল। অগাস্ট মাসে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে খুশি রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘‘কর্মচারীদের যে মহার্ঘভাতা প্রাপ্য, সেটা রাজ্য সরকার এত দিন অস্বীকার করছিল। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে এটা স্বীকৃতি পেল যে, এটা আমাদের প্রাপ্য। বিচারপ্রক্রিয়া চলছে। আশা করি শেষ হলে বকেয়া পুরো ডিএ আমরা পাব।’’ আর এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘‘আমাদের দাবি যে ঠিক ছিল, এত দিনে তার মান্যতা পেলাম। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, হাই কোর্ট বা অন্য কোনও পর্যবেক্ষণে কোনও ভুল নেই। আমরা যারা দীর্ঘ দিন ধরে রাস্তায়, তারা কিছুটা হলেও স্বস্তি পেলাম।’’