নিউজ ডেস্ক: এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাল রাজ্য এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন। শীর্ষ আদালতে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে তারা। সুপ্রিম কোর্ট সূত্রের খবর, আগামী ৮ মে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। ওই দিন মামলাটি শুনবে প্ৰধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ।
সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার এক মাসের মাথায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করল এসএসসি। এর আগে সাংবাদিক বৈঠকে এসএসসি জানিয়েছিল, যোগ্য-অযোগ্যদের বাছাই করে আগের রায় পরিবর্তন বা নতুন রায়ের আবেদন জানানো হবে। সেই মতো তারা আবেদন করেছে।
এসএসসি এবং রাজ্য আগেই জানিয়েছিল, পুরো রায় খতিয়ে দেখে পুনর্বিবেচনার আর্জি (রিভিউ পিটিশন) করা হবে। সেই মতো সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাল রাজ্য। সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে খবর, গত ৩ এপ্রিল এসএসসি মামলার রায় ঘোষণা করেছিল। আর ৩ মে রিভিউ পিটিশন করতে চেয়ে আবেদন করা হয়।
আগামী ১৩ মে প্রধান বিচারপতি খন্না অবসর নেবেন। তার আগে আগামী বৃহস্পতিবার তাঁর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে। পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ হতে পারে বলে মনে করছেন মূল মামলাকারীদের আইনজীবীরা।
এই প্রসঙ্গে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, ‘‘যে কারণে সুপ্রিম কোর্ট পুরো প্যানেল বাতিল করেছে, তাতে এই রায় পুনর্বিবেচনা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। পূর্বের রায়ই বহাল রাখতে পারে আদালত। এর আগে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আবেদন মেনে নিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার পরেও এখন কেন রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি করতে হল? তা ছাড়া বেশির ভাগ মামলায় দেখা দিয়েছে, তথ্যগত বিভ্রান্তি বা ভুল থাকলে আদালত নিজের রায় পরিবর্তন করে। এ ক্ষেত্রে তেমন কিছু নেই।’’
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি বেঁচে থাকতে কোনও যোগ্য প্রার্থীর চাকরি যাবে না। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, যাঁরা যোগ্য তাঁদের চাকরি নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। কারও চাকরি যাবে না, বিকল্প পথ রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাবে রাজ্য। আপাতত স্বেচ্ছায় পরিষেবা দেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার সেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাল রাজ্য ও এসএসসি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি এবং একাধিক অনিয়মের অভিযোগে গত ৩ এপ্রিল এসএসসি-র ২৬ হাজার (আদতে ২৫৭৫৩) চাকরি বাতিলের রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করে দেয়।