নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সদ্যই ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের চাকরি বাতিল হয়েছে। চাকরি হারানোর প্রতিবাদে আন্দোলন করছেন চাকরিহারারা। কসবায় স্কুল পরিদর্শকের দফতরের সামনের ঘটনার পর চাকরিহারাদের ‘ধৈর্য’ ধরার আবেদন জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁদের ‘সংযত’ হতে বললেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থও। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘‘আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। রাজ্য সরকার মানবিক ভাবে চাকরিহারাদের পাশে রয়েছে। আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছি।’’
মুখ্যসচিব বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ভরসা দিয়েছিলেন। আমরা চাকরিহারাদের পাশে আছি। আমরা সব রকম ভাবে চেষ্টা করছি। তা সত্ত্বেও কারও প্ররোচনায় বা উস্কানিতে এ রকম ঘটনা ঘটেছে। এটা বাঞ্ছনীয় নয়।’’
চাকরিহারা শিক্ষকদের বার্তা দিয়ে পন্থ আরও জানান, “শীঘ্রই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হবে শীর্ষ আদালতে। আমরা একটা পিটিশন সুপ্রিম কোর্টে ফাইল করেছি। যেখানে আমরা বলেছি, সকলে যেন কাজ চালিয়ে যেতে পারেন। আমরা রিভিউ পিটিশনের জন্যেও যাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে আইনি বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা আবার আশ্বাস দিচ্ছি, আমরা ওদের (চাকরিহারাদের) পাশে আছি। এমন কিছু করবেন না যাতে, শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট হয়।’’
মুখ্যসচিব বলেন, ‘‘শিক্ষক-শিক্ষিকার সমাজে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। আমরা ওঁদের শ্রদ্ধা করি। আমরা সুপ্রিম কোর্টের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছি। তার অপেক্ষায় রয়েছি। কাউকে টার্মিনেশন লেটার দেওয়া হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মাথায় রেখেই আমাদের এগোতে হচ্ছে। আমরা যেন কারও উস্কানিতে পা না দিই। আইন হাতে নেওয়া উচিত নয় কোনও ভাবেই।’’