নিউজ ডেস্ক: তবে কি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের? আদালত জানিয়েছে, অপরাধ প্রমাণ হলে সন্দীপ ঘোষের মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। শিয়ালদা কোর্টের বিচারক মনে করেন, যে অপরাধ সংগঠিত করা হয়েছে, তা বিরলতম। বিচারকের অভিমত, অন্য কারও সহযোগিতা নিয়ে যে কেউ অপরাঘ সংগঠিত করতে পারে। সেজন্য ওই ব্যক্তিকে সেই স্থানে থাকার কোনও দরকার পড়ে না।
জমিনের আবেদন করেছিলেন সন্দীপ ঘোষ। সন্দীপ ঘোষের জামিন-আর্জি খারিজ করে দিয়ে শিয়ালদা আদালতের অতিরিক্ত প্রধান বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট এ দে-র পর্যবেক্ষণ,’ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা অত্যন্ত গুরুত্ব। এই ধরনের অপরাধ প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে। এটা বিরলতম মামলা’।
বিচারকের মতে, সন্দীপকে জামিন দেওয়া হলে তা নৈতিকতা বিরুদ্ধ হবে। এর পাশাপাশি সিবিআই রুদ্ধদ্বার শুনানির আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে আদালত। সন্দীপের সঙ্গে টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের জামিনের আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
শিয়ালদা আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে সিবিআই। জানিয়েছে,টালা থানায় ভুয়ো তথ্য নথিভুক্ত করা হয়েছে। প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল ও প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ মণ্ডলকে জেরা করে এই তথ্য তাদের হাতে এসেছে। সিবিআই আদালতকে এও জানিয়েছে, টালা থানার সিসিটিভি ফুটেজের ডিভিআর এবং হার্ডডিস্ক ডেটা পাঠানো হয়েছে কলকাতা সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। দুই অভিযুক্তের মোবাইল ফোনও পাঠানো হয়েছে সিএফএসএলে। আগামী দিনে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ মিলতে পারে।
জামিন খারিজ করে আদালতের পর্যবেক্ষণ, এখন পুরোদমে তদন্ত চলছে। অভিজিৎ টালা থানার পুলিশকর্তা ছিলেন। সন্দীপ এক জন চিকিৎসক। তাই তাঁদের সামাজিক অবস্থান এড়িয়ে যাওয়া যায় না। তাঁদের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ রয়েছে, তা অত্যন্ত গুরুতর। অভিযোগ প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সন্দীপ ও অভিজিতের অভিযুক্তের নারকো ও পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানো হবে কি না, এ নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা ছিল বুধবার। কিন্তু সিবিআই জানায়, কলকাতার সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির বিশেষজ্ঞ অন্য কাজে যাওয়ায় তিনি আসতে পারেননি।আদালত সন্দীপ ও অভিজিৎকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। দুজনেই জামিনের আবেদন করেছিলেন।