লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্প: আরজিকর আবহে কি লক্ষীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেবে রাজ্য সরকার? বড় খবর সামনে এল। আরজি কর কাণ্ডে ক্রমশ বাড়ছে আন্দোলনের ঝাঁঝ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে রাজ্য সরকারের দেওয়া লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা না নেওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন মহিলাদের। ট্যাব তো এখন দেওয়া হয়নি। তাহলে কি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাও এখন মিলবে না? এল সেই সম্পর্কে বড় আপডেট।
আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের মামলায় রাজ্যজুড়ে চলছে আন্দোলন। রাত দখল অভিযানের পাশাপাশি প্রতিদিন কলকাতায় মিছিল করছে সাধারণ মানুষ। বাদ নেই শিল্পীরাও। রাজ্য সরকারের উপর চাপও বাড়ছে ক্রমাগত। আরজি কর কাণ্ডে রাজ্যে সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জহর সরকার সাংসদ পদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন। অনেক শিল্পী পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছেন। কোনও কোনও পুজো কমিটি আবার দুর্গাপুজোর অনুদানও প্রত্যাখ্যান করেছেন।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, যারা দুর্গাপুজোর অনুদান নিতে চান না, তাদের দেওয়া হবে না। সেই টাকা অন্য় পুজো কমিটিকে দেওয়া হবে। অনেক পুজো কমিটির তরফে অনুদানের জন্য আবেদন করা হয়েছে। তাদের অনেককে দেওয়া হবে। এদিকে খবর, স্কুল পড়ুয়াদের ট্যাব কিনতে যে টাকা দেওয়া হত সেই টাকাও এবছর ৫ সেপ্টেম্বর দেওয়া হয়নি। তখন জল্পনা শুরু হয়েছিল, এবার থেকে কি তাহলে ট্যাবের টাকা বন্ধ করে দেবে রাজ্য সরকার?
তাহলে কি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাও এখন মিলবে না? এল সেই সম্পর্কে আপডেট। জানা গিয়েছে লক্ষীর ভাণ্ডার যেমন চলছে, তেমনই চলবে। অর্থাৎ রাজ্যের মহিলাদের চিন্তিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। যে ভাবে জেনারেল ক্যাটাগরির মহিলারা প্রতি মাসে হাজার টাকা ও তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলারা মাসে ১২০০ টাকা পাচ্ছিলেন সেভাবেই এই টাকা দেওয়া হবে।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার রাজ্য সরকারের একটি অন্যতম বড় প্রকল্প। এতে এক কোটিরও বেশি মহিলা উপকৃত হন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটব্যাঙ্কের একটা বড় অংশ। তবে সেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যেতে পারে ভেবে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যখন ট্যাবের টাকা পরে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়াও কুণাল ঘোষও ট্যুইট করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, যাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এবং রাজ্য সরকারের অন্যান্য প্রকল্পে থাকতে চান না, তাঁদের জন্য ফেরত দেওয়ার একটি ফর্ম দিক রাজ্য সরকার। দুয়ারে সরকার শিবিরে ফেরত কাউন্টার থাকুক। ফেসবুকে বিকৃত বিপ্লবী না সেজে ফেরত ফর্ম ফিল আপ করুন।’