Homeপশ্চিমবঙ্গদেশের ‘সবচেয়ে গরিব মুখ্যমন্ত্রী’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সবচেয়ে ধনী কে? বর্ষশেষে রিপোর্ট প্রকাশ

দেশের ‘সবচেয়ে গরিব মুখ্যমন্ত্রী’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সবচেয়ে ধনী কে? বর্ষশেষে রিপোর্ট প্রকাশ

ধনীতম মুখ্যমন্ত্রীদের তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৯৩১ কোটি টাকা। চন্দ্রবাবুর পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন....

নয়াদিল্লি: ২০২৪ সালের শেষ প্রান্তে দেশের মুখ্যমন্ত্রীদের সম্পত্তি নিয়ে একটি বিশদ রিপোর্ট সামনে এসেছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের সবচেয়ে গরিব মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে উঠে এসেছেন। অন্যদিকে, দেশের ধনীতম মুখ্যমন্ত্রীদের তালিকাতেও চমকপ্রদ নাম উঠে এসেছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তি

রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোট সম্পত্তির পরিমাণ মাত্র কয়েক লাখ টাকা। তিনি কোনো বিলাসবহুল বাড়ি বা গাড়ির মালিক নন। এমনকি, তাঁর কোনো জমি বা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ নেই। সাধারণ জীবনযাপন এবং সাদাসিধে চরিত্রের জন্য বরাবরই পরিচিত মমতা। রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী মমতার রয়েছে ১৫ লক্ষ টাকার সম্পত্তি। তালিকার একেবারে নিচে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। বর্ষশেষে প্রকাশিত এই তথ্য তাঁর সেই সাধারণ জীবনের প্রতিফলন।

সবচেয়ে ধনী মুখ্যমন্ত্রী

অন্যদিকে, রিপোর্টে দেখা গেছে, দেশের সবচেয়ে ধনী মুখ্যমন্ত্রী হলেন অন্ধ্রপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ কয়েকশো কোটি টাকা। বিলাসবহুল জীবনযাপন এবং একাধিক সম্পত্তির কারণে তিনি এই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৯৩১ কোটি টাকা। চন্দ্রবাবুর পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন, অরুণাচল প্রদেশের পেমা খান্ডু। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৩৩২ কোটি টাকারও বেশি। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী ৫১ কোটি টাকার বেশি সম্পদের মালিক। সিদ্দারামাইয়া ভারতের তৃতীয় ধনী মুখ্যমন্ত্রী। তবে, মুখ্যমন্ত্রী খান্ডুর ১৮০ কোটি কোটি টাকার দায়ভার রয়েছে। সিদ্দারামাইয়ার দায়ভারের পরিমাণ ২৩ কোটি টাকা। চন্দ্রবাবু নাইডুর ১০ কোটি টাকারও বেশি দায় রয়েছে বলে রিপোর্টে প্রকাশিত।

তালিকার চমক

এই রিপোর্টে উঠে এসেছে অন্যান্য মুখ্যমন্ত্রীদের সম্পত্তি সম্পর্কিত চমকপ্রদ তথ্যও। দেশের অধিকাংশ মুখ্যমন্ত্রীরই বড় মাপের জমি, বাড়ি, এবং শেয়ারে বিনিয়োগ রয়েছে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই তালিকার একেবারে উল্টো প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষণ

রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতার এই সাধারণ জীবনযাপন এবং সম্পত্তির অভাব তাঁকে জনসাধারণের কাছে আরও বেশি গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারে। অন্যদিকে, ধনী মুখ্যমন্ত্রীদের বিলাসবহুল জীবন নিয়ে বিতর্কও তৈরি হতে পারে।

প্রতিবেদন প্রকাশের গুরুত্ব

মুখ্যমন্ত্রীদের সম্পত্তি সংক্রান্ত এই রিপোর্ট সরকারের স্বচ্ছতা এবং জনসাধারণের মধ্যে বিশ্বাস বাড়ানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৪ সালের এই রিপোর্ট রাজনৈতিক নেতাদের সম্পত্তির বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছে।

বর্ষশেষে প্রকাশিত এই রিপোর্ট রাজনৈতিক মহলে যেমন আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, তেমনই সাধারণ মানুষের কাছেও এটি কৌতূহলের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগামী দিনে এই তথ্য আদৌ রাজনৈতিক প্রভাব ফেলবে কি না, তা সময়ই বলবে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments