নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকার সাম্প্রতিক উদ্যোগে পশ্চিমবঙ্গের ২০৬৬টি স্কুলে লাইব্রেরি উন্নয়নের জন্য প্রতিটিকে এক লক্ষ টাকা করে গ্র্যান্ট প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিষয়টি স্বাগত জানিয়েছে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ। তবে মঞ্চ একই সঙ্গে দাবি তুলেছে, “বহু ছাত্র-ছাত্রী সমৃদ্ধ বিদ্যালয় এই তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। প্রতিটি স্কুলের লাইব্রেরির জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।”
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই গ্র্যান্টের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে অস্পষ্ট মানদণ্ডের কারণে কয়েকশত স্কুল বাদ পরেছে। বিশেষ করে, যেসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি, সেগুলোকে অগ্রাধিকার না দেওয়ায় স্থানীয় পর্যায়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারীর বক্তব্য, “লাইব্রেরি হলো জ্ঞানের ভিত্তি। ছাত্রসংখ্যা যাই হোক, প্রতিটি বিদ্যালয়ের সমান অধিকার রয়েছে। আমরা দাবি করছি, বাদ পড়া স্কুলগুলিকেও এই তালিকায় যুক্ত করে তাদের জন্য গ্র্যান্ট বরাদ্দ করা হোক।”
প্রধান দাবিসমূহ:
১. সকল বিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্তি: গ্র্যান্টের তালিকা পুনর্বিবেচনা করে বাদ পড়া স্কুলগুলিকে যুক্ত করতে হবে।
২. স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ: স্কুল নির্বাচনের মানদণ্ড জনসমক্ষে প্রকাশ ও যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা প্রদান।
৩. জরুরি তহবিল বিতরণ: বর্তমান শিক্ষাবর্ষের মধ্যেই লাইব্রেরি উন্নয়নের কাজ শুরু করতে তহবিল দ্রুত বণ্টন।
সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও উল্লেখ করা হয়, লাইব্রেরি ছাড়া শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও স্বাধীন পড়াশোনার সুযোগ সীমিত হয়ে পড়ে। বিশেষ করে গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুলগুলোতে পর্যাপ্ত বই ও পাঠাগার নেই বললেই চলে। এমতাবস্থায়, সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও এর সুষম বাস্তবায়নের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
কিংকরবাবু বলেন, “রাজ্যের ২০৬৬ টি স্কুলে লাইব্রেরি গ্র্যান্ট হিসেবে এক লক্ষ টাকা করে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। খুব ভালো উদ্যোগ। কিন্তু বহু ছাত্র-ছাত্রী যুক্ত বিদ্যালয় গুলি তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে। আমরা দাবী করছি প্রতিটি বিদ্যালয়ের লাইব্রেরীর জন্য এই অর্থ বরাদ্দ করা হোক।”