HomeWest Bengalহাজার হাজার শিক্ষকরা অনেক টাকা বেতন কম পাচ্ছেন! শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে চিঠি...

হাজার হাজার শিক্ষকরা অনেক টাকা বেতন কম পাচ্ছেন! শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে চিঠি শিক্ষক সংগঠনের

বুধবার রাজ্যের শিক্ষক সংগঠন  "অল পোস্ট  গ্র‍্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন" (APGTWA) এর পক্ষ থেকে রাজ্যের কয়েক হাজার শিক্ষক - শিক্ষিকাদের লস্ট ইনক্রিমেন্ট রিস্টোরেশন নোটিফিকেশন প্রকাশের দাবিতে শিক্ষামন্ত্রী, স্কুল শিক্ষা কমিশনার ও শিক্ষা সচিবকে দাবিপত্র জমা দেওয়া হয়।

নিউজ ডেস্ক: বুধবার রাজ্যের শিক্ষক সংগঠন  “অল পোস্ট  গ্র‍্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন” (APGTWA) এর পক্ষ থেকে রাজ্যের কয়েক হাজার শিক্ষক – শিক্ষিকাদের লস্ট ইনক্রিমেন্ট রিস্টোরেশন নোটিফিকেশন প্রকাশের দাবিতে শিক্ষামন্ত্রী, স্কুল শিক্ষা কমিশনার ও শিক্ষা সচিবকে দাবিপত্র জমা দেওয়া হয়। হাইকোর্টে মামলা না করে তারা শিক্ষা দপ্তরের থেকে জেনারেল নোটিফিকেশন প্রকাশের জন্য আবেদন করে আসছে। বিশেষ কিছু যথাযথ কারণে নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে B.Ed প্রশিক্ষণ না থাকার কারণে ইনক্রিমেন্ট স্টপ হয়।

এই কারণে ২০২৪ সাল পর্যন্ত লস্ট ইনক্রিমেন্টের ফলে এই সকল টিচাররা বেতন কম পাচ্ছে অনেকটাই।  সরকারের উদাসিনতায়  হাজার হাজার শিক্ষকদের ইনক্রিমেন্ট স্টপ রয়েছে, ফলস্বরুপ পেশাগত সমস্যায় পড়েছে তারা। যে কয়েকটি কারণে লস্ট ইনক্রিমেন্ট হয়েছে সেগুলো হলো:

(১) রাজ্যে পর্যাপ্ত বিএড কলেজ না থাকায় এবং বি এড কলেজে ডেপুটেড টিচারদের জন্য পর্যাপ্ত ভ্যাকেন্সি না থাকার কারণে বিভিন্ন সময়ে স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন দ্বারা নিযুক্ত অপ্রশিক্ষিত শিক্ষক-শিক্ষিকা গণ নিযুক্ত হওয়ার পাঁচ বছরের মধ্যে B.Ed ডিগ্রী লাভে অক্ষম হন।

(২) বেশিরভাগ স্কুলে দুইয়ের অধিক অপ্রশিক্ষিত শিক্ষক- শিক্ষিকা ছিলেন ।  কিন্তু স্কুল থেকে সর্বাধিক দুজন অপ্রশিক্ষিত শিক্ষক শিক্ষিকা একটি শিক্ষাবর্ষে B.Ed ডিগ্রি লাভের জন্য বিএড কলেজে ভর্তির অনুমতি পান। যারা সুযোগ পান তারা বিদ্যালয় ফিরে এলে পরবর্তী দুজন আবার ডিগ্রি অর্জনের অনুমোদন পেতে পারেন।

(৩) ২০১৫ সাল থেকে NCTE এর নির্দেশ অনুসারে,  আমাদের রাজ্যে B.Ed পাঠক্রমের সময়কাল ১ বছর থেকে বেড়ে ২ বছর  হওয়ার কারণে বিভিন্ন কলেজে পরিকাঠামোগত অভাব বোধ  করে। এর ফলে আসন সংখ্যা কমে অর্ধেক হয়ে যায়।

(৪) উচ্চমাধ্যমিক বিভাগের অ্যাডিশনাল পোস্টে নিযুক্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা তিন বছর চাকরিকাল অতিবাহিত না হলে তাদেরকে B.Ed ডিগ্রির অনুমতি  দেওয়া হতো না।

(৫) ফিলোসফি,এডুকেশন,  নিউট্রিশন,  কমার্স সহ বিভিন্ন সাবজেক্ট বেশিরভাগ  কলেজে মেথড না থাকায় সুযোগ পাননি।

(৬) স্নাতক / স্নাতকোত্তর স্তরে ৫০% নম্বর না থাকায় বেশ কয়েক হাজার  শিক্ষক- -শিক্ষিকাগণ B.Ed ডিগ্রির সুযোগ পাননি।

পড়ুন:  টেট উত্তীর্ণ হিসেবে গণ্য করতে হবে! কলকাতা হাইকোর্টে মামালা দায়ের হল, কেন মামলা হল জেনেনিন




(৭) G.O. No 269 (20)-SE(EE)/PTTI-7/2017(pt-I) Dated 15.03.2013 অনুযায়ী শুধুমাত্র উচ্চ প্রাথমিক বিভাগে নিযুক্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য Open and Distance Learning ( ODL) মোডে B.Ed ডিগ্রীর সুযোগ পান। কিন্তু বেশিরভাগ স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিভাগের শিক্ষক শিক্ষিকাগণ ODL তে B.Ed ডিগ্রির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন।

(৮) যে সকল শিক্ষক- শিক্ষিকাদের ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন বছরে ইনক্রিমেন্ট বন্ধ আছে তাদের লস্ট ইনক্রিমেন্ট  Restore করার জন্য স্কুল শিক্ষা দপ্তর কোন নোটিশ দেননি। যদিও G.O.No 118-SE/S/10M-29/16 Dated 06.02.2018 অনুসারে ২০০৬ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে এবং G.O.No 806-SE/S/10M- 29/16(Pt.III) Dated 08.07.2019 অনুসারে ২০০২ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে নিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ ২০১৫ সাল পর্যন্ত Lost Increments গুলি ফিরে পেয়েছেন।




এমতাবস্থায়,   ২০০৯ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত সময়সীমার মধ্যে Join করা ও বিশেষ কিছু সমস্যায় বাকি বহু সংখ্যক শিক্ষক- শিক্ষিকাদের ০১/০৭/২০২৪ তারিখ পর্যন্ত Lost Increments Restore করতে নোটিফিকেশন প্রকাশ করতে হবে ( Take necessary action to restore lost increments and all benefits)।

পড়ুন:  হলিস্টিক রিপোর্ট কার্ড নিয়ে নোটিশ স্কুল শিক্ষা দফতরের, শ্রেণিভিত্তিক শিক্ষক ও গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগের দাবি উঠল

সুতরাং, এই নোটিফিকেশন অনুযায়ী, পুনরায় একটি Extension নোটিফিকেশন প্রকাশ করে কয়েক হাজার শিক্ষকদের বেতন সমস্যা নিরসন করা হোক।

(৯) স্কুল শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশিকা অনুযায়ী,  যে সকল শিক্ষকরা NIOS থেকে D.EL.ED কোর্স  করেছেন তাদের ২০২৪ সাল পর্যন্ত যে কটি  ইনক্রিমেন্ট স্টপ আছে সেগুলো অতিসত্বর চালু করতে হবে ও Up-to-date এরিয়ার পেমেন্ট করতে হবে ।




সংগঠনের সভাপতি মনোজ কুমার মন্ডল বলেন,  “২০২৪ পর্যন্ত অবিলম্বে যাদের ইনক্রিমেন্ট বন্ধ আছে তাদের জন্য রিস্টোর ইনক্রিমেন্টের পুনরায় একটি নোটিফিকেশন প্রকাশ করে সুরাহা করুক স্কুল শিক্ষা দপ্তর। তার মতে বেশীর টিচার গড়ে ৮ থেকে ১৫ হাজার টাকা কম বেতন পাচ্ছেন সরকারের উদাসীনতায়।”

উত্তর ২৪ পরগণার ভুক্তভোগী শিক্ষিকা সোনালী মজুমদার বলেন, অবিলম্বে ইনক্রিমেন্ট রিস্টোর করার ব্যবস্থা করা হোক, কারণ কোনো শিক্ষকই নিজে থেকে বিএড না করে বসে ছিল না।

মালদার ভুক্তভোগী শিক্ষক সুশান্ত বসাক বলেন, “মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকগণের আর্থিক নিশ্চয়তার স্বার্থে তাদের “Lost Increment” Restore করা উচিৎ।”




RELATED ARTICLES
- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments