সাংবাদিক বৈঠকে বিস্ফোরক শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, বাংলাদেশ থেকে হুমকি? মিলল আপত্তিকর পোস্টার

824
শিক্ষকদের পেনশনে
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, ফাইল চিত্র

নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর কাণ্ডে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। যাদবপুরে অচলাবস্থা তৈরি করতে চাইছেন রাজ্যপাল, ‘উনি বালখিল্যপনা করছেন’। এমনই মন্তব্য করলেন ব্রাত্য।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) পরিস্থিতি নিয়ে এবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে (Governor CV Ananda Bose) দায়ী করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। ব্রাত্য বসু বলেন, “রাজ্যপাল যাদবপুরে স্থায়ী উপাচার্য দিতে পারতেন। মুখ্যমন্ত্রী তো তালিকাও দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি মুখ্যমন্ত্রীর তালিকা গ্রহণ না করে যাদবপুরে অচলাবস্থা তৈরি করলেন। যা করছেন, তাতে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বালখিল্য আচরণ করছেন।” 

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অক্সফোর্ডে বক্তৃতা দেওয়ার সময় পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখানো নিয়েও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

পড়ুন:  যোগ্য-অযোগ্যর তালিকা সিবিআই-ও জানে, এসএসসি-ও জানে: ব্রাত্য বসু, শুক্রে জরুরি বৈঠক

বলেন, “গোটা ভারতবর্ষ তাকিয়ে দেখছিল। এদের কাজ হচ্ছে কোনও সভা চললে তাকে ভণ্ড করা, আক্রমণ করা। এখানে মুখ্যমন্ত্রী দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন, সাতজন গিয়ে এই ভণ্ডামি করার কী ছিল। ওখানকার মানুষজনই তাড়া করেছে ওঁদের। এটা আসলে হতাশা। হতাশার ওষুধ একটাই। আবার হতাশা বাড়বে। কারণ ২০২৬ এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। শুধু সময়ের অপেক্ষা। সমস্ত মানুষ দেখেছে। সংকীর্ণ চিন্তা ভাবনা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।”

পড়ুন:  PhD Admission: গবেষণা করতে ইচ্ছুক প্রার্থীদের জন্য দারুন খবর, পিএইচডি ভর্তির বিজ্ঞপ্তি দিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়

এদিকে, ব্রত্যকে ‘হুমকি’ দিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করল বাংলাদেশের অন্তত তিনটি সংগঠন। ওই তিন সংগঠনের নথির কপি এসেছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাদের হাতে। তাতেই সতর্ক হয়েছে কলকাতা পুলিশ। লালবাজারের সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যে কলকাতার থানাগুলিকেও সতর্ক করা হয়েছে। অন্যদিকে, শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির সামনেও মিলেছে আপত্তিকর পোস্টার। কুরুচিকর ভাষায় পোস্টার লেখায় অভিযোগ উঠেছে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের দিকে।