নিউজ ডেস্ক: এবার আদালতে বিরাট জয় পেলেন শিক্ষিকার। স্বামী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এই অজুহাতে বাড়িভাড়া ভাতা বন্ধ করে দেওয়ায় বেশ কিছু শিক্ষিকা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলায় জয় পেলেন শিক্ষিকার। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে একজন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এবং অপরজন সরকার পোষিত বা সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষক – শিক্ষিকা হলেও বাড়িভাড়া ভাতা বন্ধ করতে পারবে না রাজ্য সরকার।
স্বামী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এই অজুহাতে বাড়িভাড়া ভাতা বন্ধ করে দেওয়ায় কোলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, ব্যারাকপুর, পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান ডি আই এর অধীনে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রায় ২২ জন শিক্ষিকা মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
মহামান্য বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানিয়েছেন এই ধরনের পদক্ষেপ আইন বিরুদ্ধ। তিনি ২২ জন শিক্ষিকারই অবিলম্বে বর্তমান বাড়িভাড়া ভাতা চালু করার সঙ্গে ছয় সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া বাড়ি ভাড়া ভাতা ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন ৬% সুদ সহ যেদিন বন্ধ করা হয়েছে সেইদিন থেকে যেদিন ফেরত দেবেন সেই দিন পর্যন্ত।
সমস্ত মামলাকারীরই আইনজীবী ছিলেন দেবযানী সেনগুপ্ত এবং কোয়েল বাগ। আইনজীবী কোয়েল বাগ জানিয়েছেন স্বামী – স্ত্রী দুজনের একজন যদি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত হন তাহলে অপরজন রাজ্যের বাড়িভাড়া ভাতা পাবেন না বলে ২০১২ সালে রাজ্য সরকার যে নির্দেশিকা দিয়েছিলেন, মহামান্য বিচারপতি শেখর ববি সারাফ তা ২০২১ সালে বাতিল করে দেন। বর্তমানে রাজ্যের জারি করা ওই নির্দেশিকার কোনো অস্তিত্ব নেই।কিন্তু তা সত্বেও রাজ্য সরকার বহু শিক্ষক -শিক্ষিকার বাড়িভাড়া ভাতা এইভাবে বন্ধ করে রেখেছে, যা আইন বহির্ভূত।