SSC: টাকা ও সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি হয়নি, তবে কেন শাস্তির মুখে পড়তে হবে শিক্ষকদের? উঠে এল বিরাট প্রশ্ন

অযোগ্য শিক্ষকদের বাদ দিয়ে দ্রুত যোগ্য শিক্ষকদের প্যানেল প্রকাশের দাবিতে ২০১৬ যোগ্য শিক্ষক অধিকার মঞ্চের ডাকে বিক্ষোভ চলছে যোগ্য শিক্ষকদের।

13035
যোগ্য শিক্ষক আন্দোলন

নিউজ ডেস্ক: SLST-2016 চাকরিরত 9-10 এবং 11-12 এর যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা এখন তাদের যোগ্য অধিকার আদায়ের জন্য খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন। প্রবল শীতকে উপেক্ষা করে আজ শিক্ষকদের রাজপথে অবস্থান করতে হচ্ছে। 

যোগ্য শিক্ষক আন্দোলন

অযোগ্য শিক্ষকদের বাদ দিয়ে দ্রুত যোগ্য শিক্ষকদের প্যানেল প্রকাশের দাবিতে ২০১৬ যোগ্য শিক্ষক অধিকার মঞ্চের ডাকে বিক্ষোভ চলছে যোগ্য শিক্ষকদের। শিক্ষকদের বিক্ষোভ চলছে রানী রাসমনির পরে Y চ্যানেলে।

আন্দোলনকারী শিক্ষকদের দাবি, যোগ্যরাই আজ বিপন্ন। তাই যোগ্য এবং অযোগ্য আলাদা তালিকা বের করতেই হবে। শিক্ষকরা বলছেন, শাস্তি হোক দোষীদের, শাস্তি হোক যারা চাকরিতে দুর্নীতি করিয়েছে তাদের। কিন্তু এটা বেছে বেছে করা হোক। যাঁরা অযোগ্য তাঁদের অবশ্যই চাকরি বাতিল হোক, কিন্তু যোগ্য শিক্ষকদের কেন ভুগতে হবে? যাঁরা সৎ ,যোগ্যতার বলে চাকরি করছে, টাকা দিয়ে সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পাননি, তাঁদের কেন শাস্তির মুখে পড়তে হবে? 

পড়ুন:  শিক্ষকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেবো না! চাকরি না হারিয়েও পাত্রী হাতছাড়া শিক্ষক পাত্রদের!

তাঁদের দাবি, শীর্ষ আদালতে এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও রাজ্য সরকারকে উপযুক্ত তথ্য প্রদান ও দক্ষ আইনজীবী নিয়োগ করে ন্যায় পাইয়ে দেওয়ার রাস্তা প্রশস্ত করতে হবে।

‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ’ শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর শিয়ালদহ থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত মহামিছিল করে। এরপর শুরু হয়েছে অবস্থান বিক্ষোভ। 

পড়ুন:  'সমস্ত শিক্ষক সংগঠন এক সাথে রাস্তায় নামবো, যোগ্য শিক্ষকদের সেগ্রিকেশন করতেই হবে' যোগ্যদের পাশে বিজিটিএ

তাঁদের বক্তব্য, ‘নবম-দশমে ৮.৫% ও একাদশ-দ্বাদশে ১৪.৪৭% অবৈধ ভাবে নিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যে তালিকা দিয়েছিল সিবিআই, আমরা সেই লিস্টে নেই। আমরা স্বচ্ছতার সঙ্গে নিযুক্ত হয়েছিলাম। সার্বিক ভাবে প্যানেল বাতিলের বিরুদ্ধে এবং সমস্ত রকম রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ও হুঁশিয়ারির বিরুদ্ধে এই আন্দোলন।’

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি ২৬০০০ চাকরি বাতিল মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাব্য তারিখ ৭ জানুয়ারি। এছাড়া ঐ দিন রয়েছে ডিএ মামলা এবং ওবিসি মামলা। গত শুনানিতে শীর্ষ আদালতে দিনভর শুনানির পরও যোগ্য-অযোগ্য প্রার্থী বাছাই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ফলে এসএসসি-তে ২৬ হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ ঝুলেই রইল।