SSC মামলা, সুপ্রিম কোর্ট: ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি চলছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম মামলার মাঝেই ফের আন্দোলনে নামছেন ‘যোগ্য’ চাকরি প্রার্থীরা। ২০১৬ সালের বিজ্ঞাপনে ‘দুর্নীতি মুক্ত’ ‘স্বচ্ছভাবে’ নিযুক্ত স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) শিক্ষক-শিক্ষিকারা আন্দোলনে নামতে চলেছেন।
তাঁদের দাবি, শীর্ষ আদালতে এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও রাজ্য সরকারকে উপযুক্ত তথ্য প্রদান ও দক্ষ আইনজীবী নিয়োগ করে ন্যায় পাইয়ে দেওয়ার রাস্তা প্রশস্ত করতে হবে।
এই দাবিতে ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ’ শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর শিয়ালদহ থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত মহামিছিল করবে।
তাঁদের বক্তব্য, ‘নবম-দশমে ৮.৫% ও একাদশ-দ্বাদশে ১৪.৪৭% অবৈধ ভাবে নিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যে তালিকা দিয়েছিল সিবিআই, আমরা সেই লিস্টে নেই। আমরা স্বচ্ছতার সঙ্গে নিযুক্ত হয়েছিলাম। সার্বিক ভাবে প্যানেল বাতিলের বিরুদ্ধে এবং সমস্ত রকম রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ও হুঁশিয়ারির বিরুদ্ধে এই আন্দোলন।’
মঞ্চের তরফে মেহবুব মণ্ডল বলেন, ‘যে ১৭ দফা অভিযোগে গোটা নিয়োগ প্যানেল বাতিল করা হয়েছে, আমরা সেই অভিযোগগুলোর একটিরও অন্তর্ভুক্ত নই। অন্যের ভুলের জন্য আমাদের জীবন জীবিকা সঙ্কটে পড়তে পারে না। নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশে প্রায় ১৭,২০০ শিক্ষক-শিক্ষিকার মধ্যে সাড়ে ১৫ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার নামে কোনও রকম দুর্নীতির অভিযোগ নেই। এমনকী কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিত বাগ কমিটি এবং সিবিআই-এর তদন্ত রিপোর্ট অনুসারে, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশে অবৈধ ভাবে নিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকার হার যথাক্রমে সাড়ে ৮ ও ১৪.৪৭%। অবৈধ ভাবে নিযুক্তদের আড়াল করতে গিয়ে, বৈধ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জীবন ও জীবিকা নিয়ে ছিনিমিনি খেলা চলবে না।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি ২৬০০০ চাকরি বাতিল মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাব্য তারিখ ৭ জানুয়ারি। এছাড়া ঐ দিন রয়েছে ডিএ মামলা এবং ওবিসি মামলা। গত শুনানিতে শীর্ষ আদালতে দিনভর শুনানির পরও যোগ্য-অযোগ্য প্রার্থী বাছাই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ফলে এসএসসি-তে ২৬ হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ ঝুলেই রইল।