নিউজ ডেস্ক: ৯ অগস্টের ভোর ৩টে ৪২ মিনিট থেকে কী করেছিল সঞ্জয় রায়? পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দেওয়া হল সিবিআইয়ের চার্জশিটে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় সিবিআই সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট দাখিল করল, তাতে গণধর্ষণের কোনও উল্লেখ করা হয়নি।
তবে ৯ অগস্টের ভোরে সঞ্জয় ঠিক কখন কোথায় ছিল, সেই বিবরণ দেওয়া হয়েছে চার্জশিটে। নিউজ ১৮ বাংলার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, চার্জশিটে সিবিআই দাবি করেছে, ৯ অগাস্ট ভোর ৩টে ৪২ মিনিটে সঞ্জয় রায় আরজি করে ঢুকেছিল। সেই সময় মোটরসাইকেলে চড়ে তারে আরজি কর হাসপাতালের মূল গেট দিয়ে ঢুকতে দেখা যাওয়ার প্রমাণ মিলেছে। এর পর গেটের কাছেই নিজের মোটরসাইকেল রেখে দিয়েছিল সঞ্জয় রায়।
এরপর ভোর ৩টে ৪৮ মিনিটে আরজি কর হাসপাতালের ইমার্জেন্সি ভবনে ঢোকে সে। সেই সময় ওয়ার্ডের র্যাম্প ধরে সঞ্জয় রায়কে হাসপাতাল ভবনের ভিতরে ঢুকতে দেখা যায়। তার প্রমাণ পেয়েছে সিবিআই। এরপর ভোর ৪টে ৩ মিনিটে ইমারজেন্সি ভবনের হাসপাতালের চারতলায় দেখা যায় সঞ্জয়কে। যে জায়গায় নির্যাতিতার মৃতদেহ মিলেছে, তার কাছেই সঞ্জয়কে দেখা গিয়েছিল সেই সময়।
নিউজ ১৮ বাংলার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ভোর ৪টে ৩২ মিনিটে চার তলার চেস্ট মেডিসিন ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় সঞ্জয় রায়কে। এমনই লেখা হয়েছে সিবিআইয়ের চার্জশিটে। এরপর ভোর ৪টে ৩৭ মিনিটে মোটরসাইকেলে চড়েই হাসপাতাল ছেড়ে বেরিয়ে যায় সে।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় সিবিআই সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট দাখিল করল, তাতে গণধর্ষণের কোনও উল্লেখ করা হয়নি। সোমবার শিয়ালদার বিশেষ আদালতে সেই চার্জশিট দাখিল করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সূত্রে খবর, সেই ঘটনায় গণধর্ষণের কোনও প্রমাণ মেলেনি। মূল অভিযুক্ত হিসেবে শুধু সঞ্জয়ের নামই আছে চার্জশিটে।
এক সিবিআই আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তথ্যগত হোক বা পারিপার্শ্বিক- যা যা প্রমাণ মিলেছে, তা ইঙ্গিত করছে যে ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় একমাত্র জড়িত আছে কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়। যে সঞ্জয়কে গত ১০ অগস্ট গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। ওই সিবিআই অফিসার বলেছেন, ‘আরও তদন্ত চলছে।’
তথ্যপ্রমাণ লোপাট এবং সঞ্জয়কে বাঁচানোর চেষ্টা করার জন্য পরবর্তীতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দাখিল করবে সিবিআই। যে সন্দীপ এবং অভিজিৎকে ১৪ সেপ্টেম্বর ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় গ্রেফতার করা হয়। সন্দীপকে আগেই দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করেছিল সিবিআই।