HomeIndiaশিক্ষক নিয়োগে ‘এক নম্বরি’ ষড়যন্ত্রে পার্থ এবং মানিক? ৪৬ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্তই নন,...

শিক্ষক নিয়োগে ‘এক নম্বরি’ ষড়যন্ত্রে পার্থ এবং মানিক? ৪৬ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্তই নন, বঞ্চিত ১৫৮ জন

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে চরম দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে।

নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে টেটের খাতায় ‘এক নম্বরি’ ষড়যন্ত্র করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মানিক ভট্টাচার্য! সিবিআই দাবি এতে বঞ্চিত হয়েছেন ১৫৮ জন। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে সিবিআই যে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে, তা চার্জশিট আকারে আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। সেখানেই প্রার্থীদের এক নম্বর নিয়ে ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

এই বিষয়ে সিবিআই জানিয়েছে, ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট অনুযায়ী ২০১৭ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালীন অনেক পরীক্ষার্থী বাংলা মাধ্যমের প্রশ্নপত্রে একটি প্রশ্ন নিয়ে আপত্তি তোলেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, ওই প্রশ্নের জন্য যে বিকল্প উত্তরগুলি দেওয়া রয়েছে, তার মধ্যে প্রথম এবং দ্বিতীয় বিকল্প— উভয়ই সঠিক। যে কোনও একটি বিকল্প বেছে নিলেই এ ক্ষেত্রে নম্বর পাওয়ার কথা। কিন্তু অভিযোগ, কেবল দ্বিতীয় বিকল্পের ক্ষেত্রেই এক নম্বর দেওয়া হয়েছে। যাঁরা প্রথম বিকল্প বেছে নিয়েছিলেন, তাঁদের এক নম্বর দেওয়া হয়নি।

পরে বিতর্কের আবহে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ প্রথম বিকল্পের ক্ষেত্রেও এক নম্বর করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে এ ক্ষেত্রে চারটি শর্ত নির্ধারণ করা হয়েছিল। প্রথমত, যাঁরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, দ্বিতীয়ত, যাঁরা কেবল এক নম্বরের জন্য পাশ করতে পারেননি, তৃতীয়ত, যাঁরা বাংলা মাধ্যমে পরীক্ষা দিয়েছেন এবং চতুর্থত, যাঁরা ওই বিতর্কিত প্রশ্নের উত্তর হিসাবে প্রথম বিকল্পটি বেছে নিয়েছেন, তাঁদেরই বাড়তি এক নম্বর করে দেওয়া হবে বলে জানায় পর্ষদ।

এই নিয়ে সিবিআই জানিয়েছে, পর্ষদের স্থির করা এই চার শর্তে বাড়তি এক নম্বর পাওয়ার উপযোগী ছিলেন ৪২৮ জন প্রার্থী। কিন্তু তা সত্ত্বেও মাত্র ২৭০ জনের প্যানেল প্রকাশ করে পর্ষদ। তাঁদের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষক হিসাবে চাকরি পান ২৬৪ জন। এ ভাবে ১৫৮ জনকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের।

পড়ুন:  শিক্ষক নিয়োগ: 2629 টি শূন্যপদে শিক্ষক নিবন্ধনের তারিখ পিছিয়েছে; 10 সেপ্টেম্বর থেকে আবেদন করুন

সিবিআইয়ের অভিযোগ, যোগ্যতার ভিত্তিতে নয়, বাছাই করে এই ২৭০ জনের তালিকা প্রস্তুত করেছে পর্ষদ। তদন্ত করে দেখা গিয়েছে, এঁদের মধ্যে ৪৬ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্তই নন! এ ছাড়া, ন’জন এমন রয়েছেন, যাঁরা বাড়তি এক নম্বর পাওয়ার পরেও পাশ করেননি, অথচ প্যানেলে তাঁদের নাম রাখা হয়েছে। এ ছাড়া, উর্দু মাধ্যমে পরীক্ষা দিয়েছেন, এমন দু’জনকেও সুযোগ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এক জন আবার দ্বিতীয় বিকল্প সঠিক উত্তর বেছে নেওয়ার পরেও বাড়তি এক নম্বর পান। কেন্দ্রীয় সংস্থার অভিযোগ, এই ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে রয়েছেন পার্থ এবং মানিক।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments