নিউজ ডেস্ক: এবার এক বরখাস্ত শিক্ষিকাকে পুনর্বহালের নির্দেশ দেওয়া হল। নিয়ম বহির্ভূত ভাবে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার গণিপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সুরঞ্জনা মণ্ডল। শেষ রক্ষা মিলেছে স্বস্থি।
চাকরি পুনর্বহালের নিদের্শ দিল অ্যাপেলেট কমিটি। ওই মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিংহ অ্যাপেলেট কমিটি গঠন করে শিক্ষিকার অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। চলতি মাসের প্রথমে ওই কমিটি শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করার নির্দেশ খারিজ করেছে। আদালত শিক্ষিকাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করে তাঁর বকেয়া বেতনও মিটিয়ে দিতে বলেছে।
তৃতীয় লিঙ্গের প্রতিনিধি শিক্ষিকা সুরঞ্জনার বক্তব্য, “বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দেওয়া ও শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে নাগরিক আন্দোলনকে সমর্থন করেছিলাম। সেই কারণে মিথ্যা অভিযোগে আমাকে গত বছরের জুলাইয়ে সাসপেন্ড করা হয়। ওই বছরের ডিসেম্বরে বরখাস্তও করা হয়।”
বরখাস্তের নির্দেশ নিয়ম মেনে হয়নি, তাছাড়া পুরো প্রক্রিয়া করা হয়েছিল উপযুক্ত তদন্ত ছাড়া। সেই কারণে ওই শিক্ষিকার সাসপেনশন ও বরখাস্তের নির্দেশ খারিজ করা হয়েছে। তবে অ্যাপেলেট কমিটি বলেছে, ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ রয়েছে তার ভিত্তিতে বিভাগীয় তদন্ত করা যেতেই পারে। তবে তা হতে হবে রুল মেনে।