মমতাই ঠিক ছিলেন, চক্রান্ত ফাঁস! ভোটার কার্ড নিয়ে নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি দিতেই উঠছে বিরাট প্রশ্ন

1224
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষনা

নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন কমিশন (ইসি) বিভিন্ন রাজ্যে একই ইলেক্টর ফটো আইডেন্টিটি কার্ড (ইপিআইসি) নম্বর থাকা ভোটারদের বিষয়ে উদ্বেগ নিয়ে ক্লারিফাই করেছে। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট এবং মিডিয়া রিপোর্টের প্রতিক্রিয়ায়, ইসি স্পষ্ট করেছে যে কিছু ভোটারদের একই EPIC নম্বর থাকতে পারে, তবে বিধানসভা নির্বাচনী এলাকা এবং ভোটকেন্দ্র আলাদা। প্রতিটি ভোটার শুধুমাত্র তাদের নিজ নিজ রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে তাদের মনোনীত ভোট কেন্দ্রে তাদের ভোট দিতে পারেন। তবে কমিশনের এই ব্যাখ্যা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। 

কমিশন ব্যাখ্যা করেছে যে ভোটার তালিকা ডাটাবেস ERONET সিস্টেমে একীভূত হওয়ার আগে ব্যবহৃত একটি বিকেন্দ্রীকৃত এবং ম্যানুয়াল প্রক্রিয়ার কারণে নকল ঘটেছে। তবে কমিশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, একই এপিক নম্বর হলেও রাজ্য এবং ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী, ভোটারের ঠিকানা, বিধানসভা কেন্দ্র এবং ভোট কেন্দ্র আলাদা। 

এটি সমাধানের জন্য, ইসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে প্রতিটি নিবন্ধিত ভোটার একটি অনন্য EPIC নম্বর পাবে তা নিশ্চিত করার। একই নম্বর হলে সংশোধন করা হবে, এবং প্রক্রিয়াটিকে স্ট্রিমলাইন করতে ERONET 2.0 প্ল্যাটফর্ম আপডেট করা হবে।

পড়ুন:  DA Hike 2025: সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীরা কত মহার্ঘ ভাতা পাবেন? কখন ঘোষণা করা হবে?

একই এপিক নম্বরে (Duplicate Epic Number) একাধিক নাম থাকা মানেই যে নকল বা ভুয়ো ভোটার নয় (Fake Vorter), স্পষ্ট করে দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। নির্বাচন কমিশন জানাচ্ছে, ম্যানুয়াল প্রক্রিয়ার কারণে ভুল হয়েছে, সংশোধন করে নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ভুল ধরার আগে কেন নির্বাচন কমিশন ভুল ধরতে পারেনি, সেটা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

পড়ুন:  পশ্চিমবঙ্গ: কেন ডিএ বাড়ছে না রাজ্য সরকারি কর্মীদের? অষ্টম বেতন কমিশন ঘোষণার পরই এল এই 'জবাব'

ইলেকশন কমিশন

এই নিয়ে তৃনমূল নেতা কুণাল ঘোষ সোস্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হল। চক্রান্ত ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর এখন ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামছে কেন্দ্রের নির্বাচন কমিশন। একাধিক রাজ্যে একই ভোটারের নামের অভিযোগ যে ঠিক, সেকথা মান্যতা পেল। এটা হল কী করে, তার সদুত্তর নেই। সব ফাঁস হয়ে যেতে কমিশন কিছু পদক্ষেপ নেবে বলেছে। কিন্তু আমরা ওদের কথায় বিশ্বাস/নির্ভর করব না। দলনেত্রীর নির্দেশমত ভোটার তালিকার বুথভিত্তিক, ঠিকানাভিত্তিক স্ক্রুটিনি পুরোপুরি চলবে। কমিশনের যে খবরই সংবাদমাধ্যমে থাকুক, সন্তুষ্ট হবার কারণ নেই। নেত্রীর নির্দেশমত স্ক্রুটিনির কাজ চলবে। এটা বাংলার মাটি। মহারাষ্ট্র, দিল্লির চক্রান্ত এই মাটিতে চলবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব ওদের সব ষড়যন্ত্র ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হবে। এখন আমাদের কাজ প্রতি বুথে, প্রতি ঠিকানায় ভোটার তালিকা মিলিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া। জয় বাংলা।’