Home Blog Page 104

উপকৃত হবেন লক্ষ লক্ষ কর্মী: ঝাড়ুদার, সাফাইকর্মীদের দিনে মজুরি বেড়ে হল 783 টাকা, 20,358 হাজার টাকা মাস মাইনে

বেতন মজুরি বৃদ্ধি

মজুরি বৃদ্ধি: উৎসবের মরশুমের আগে কৃষি ও শিল্প ক্ষেত্রে দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকদের মজুরি বাড়াল নরেন্দ্র মোদী সরকার। ঝাড়ুদার, সাফাইকর্মী, নির্মাণ কর্মী, লোডিং-আনলোডিংয়ের জন্য অদক্ষ মজুরদের জন্য দৈনিক মজুরি বাড়িয়ে করা হল 783 টাকা। অর্থাৎ মাসের মাইনে বেড়ে হল 20,358 টাকা। 

ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির মধ্যে, কেন্দ্রীয় সরকার বৃহস্পতিবার ভাতা সংশোধন করে শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরির হার 1,035 টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধির ঘোষণা করেছে। শ্রম মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই বৃদ্ধির লক্ষ্য হল কর্মীদের জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের সাথে মোকাবিলা করতে সহায়তা করা।

শিল্প শ্রমিকদের জন্য ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) 2.40-পয়েন্ট বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “শ্রমিকদের জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় মোকাবেলায় সহায়তা করার লক্ষ্যে এই সমন্বয় করা হয়েছে।”

নতুন ন্যূনতম মজুরি

পুনর্বিবেচনার পরে, ঝাড়ুদার, সাফাইকর্মী, নির্মাণ কর্মী, লোডিং-আনলোডিংয়ের অদক্ষ কাজের জন্য শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরির হার হবে 783 টাকা (প্রতি মাসে 20,358 টাকা) এবং আধা-দক্ষ শ্রমিকদের জন্য প্রতিদিন 868 টাকা (প্রতি মাসে 22,568) আবার করণিক, বন্দুক বা আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়া নিরাপত্তা রক্ষী প্রমুখের জন্য দৈনিক 954 টাকা (প্রতি মাসে 24,804 টাকা) এবং অত্যন্ত দক্ষ এবং অস্ত্র সহ নিরাপত্তা রক্ষী প্রমুখের জন্য, প্রতিদিন 1,035 টাকা (প্রতি মাসে 26,910 টাকা)।

শিল্প শ্রমিকদের জন্য সিপিআই-এর ছয় মাসের গড় বৃদ্ধির ভিত্তিতে মুদ্রাস্ফীতি অনুযায়ী বছরে দুবার মজুরি সংশোধিত হয়।

ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ

এই সপ্তাহের শুরুতে, হাজার হাজার শ্রমিক সারা দেশে বিক্ষোভ করেছে, মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে এবং চারটি শ্রম কোড বাতিলের দাবিতে যা তারা বলে যে বহুজাতিক কর্পোরেশনের পক্ষে।

কেন্দ্রীয় সরকার বছরে দুবার VDA সংশোধন করে, 1 এপ্রিল এবং 1 অক্টোবর থেকে কার্যকর, শিল্প শ্রমিকদের জন্য ভোক্তা মূল্য সূচকের ছয় মাসের গড় বৃদ্ধির ভিত্তিতে এটা করা হয়৷

সেক্টর, বিভাগ এবং এলাকা অনুসারে ন্যূনতম মজুরির হার সম্পর্কিত বিশদ তথ্য ভারত সরকারের প্রধান শ্রম কমিশনারের (কেন্দ্রীয়) ওয়েবসাইটে (clc.gov.in) পাওয়া যায়।

শিক্ষক নিয়োগ: প্রাথমিক-সহ অন্যান্য স্তরে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, জানালেন এই কথা

শিক্ষকদের পেনশনে
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, ফাইল চিত্র

শিক্ষক নিয়োগ: আপার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের মেরিট লিস্ট প্রকাশ হয়েছে। পুজোর আগেই উচ্চ প্রাথমিকের কাউন্সেলিংয়ের সম্ভাবনা! রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানালেন, প্রাথমিক শিক্ষক সহ সমস্ত স্তরে শিক্ষক নিয়োগ হবে।

আদালতের নির্দেশ মেনে গত বুধবার সন্ধ্যায় উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফ থেকে। এর পরেই প্রশ্ন উঠছিল, স্কুল বাছাই করার জন্য কাউন্সেলিং কি তবে পুজোর আগেই হবে? পুজোর আগেই দু’দফায় কাউন্সেলিং হবে বলে জানাল এসএসসি। 

আপার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ভালো খবরের মধ্যেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়ে দিলেন, প্রাথমিক-সহ সমস্ত স্তরে নিয়োগ হবে দ্রুত। ব্রাত্য বলেন, “এসএসসি ইতিমধ্যেই তালিকা প্রকাশ করেছে। কাউন্সেলিংয়ের কাজও পুজোর আগে দ্রুত শুরু হয়ে যাবে। সব চাকরির জট একে একে ছড়ানো হবে। প্রাথমিকের এক দফার নিয়োগ হয়েছে। আগামীদিনে আরও নিয়োগ হবে। পাশাপাশি প্রাথমিক-সহ অন্যান্য স্তরের নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হবে।”

আপার প্রাইমারি কাউন্সেলিং নিয়ে এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, “পুজোর আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। তার আগে এক দিন বা দু’দিন কাউন্সেলিংয়ের প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে। এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি খুব শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উচ্চ প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছিল ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি। পরীক্ষা হয় ২০১৫ সালের ১৬ অগস্ট। ফলপ্রকাশ করা হয় ২০১৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর। এর মধ্যে দু’বার মেধাতালিকা বাতিল হয় দুর্নীতির অভিযোগে। অবশেষে তৃতীয় মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়েছে। এখন দেখার আদৌ সুষ্ট ভবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় কিনা!

আপার প্রাইমারি পে স্কেল: রাজ্যে ১৪০৫২ জন শিক্ষক পদে নিয়োগ পাচ্ছেন, বেতন-ডিএ-এইচআরএ দিয়ে হাতে মাসিক কত আসবে তাঁদের?

আপার প্রাইমারি শিক্ষক পে স্কেল

আপার প্রাইমারি পে স্কেল: আদালতের নির্দেশে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের মেধাতালিকা প্রকাশ হয়েছে। এর ফলে রাজ্যে নিয়োগ পাচ্ছেন ১৪০৫২ শিক্ষক। এই সমস্ত শিক্ষকদের মাসিক কত বেতন-ডিএ-এইচআরএ দিয়ে হাতে কত আসবে জানেন? আসুন আমরা জেনেনিই।

উচ্চপ্রাথমিকের শিক্ষকদের বেসিক মাসিক বেতন হল ৩৩ হাজার ৪০০ টাকা। এর সঙ্গে ১৪ শতাংশ হারে তাঁরা ডিএ পাবেন। ফলে ডিএ বাবদ প্রাপ্ত হবে ৪৬৭৬ টাকা, ১২ শতাংশ হারে হাউজ রেন্ট অ্যালাওয়েন্স আসবে ৪০০৮ টাকা এবং ৫০০ টাকা মিলবে মেডিক্যাল অ্যালাওয়েন্স। যদিও সেখান থেকে ২০০ টাকা প্রফেশনাল ট্যাক্স কাটবে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে এই শিক্ষকদের হাতে বেতন বাবদ মাসে মাসে আসবে ৪২ হাজার ৩৮৪ টাকা।

মোট ৮ হাজার ৯৫০ জন প্রার্থীর নাম রয়েছে মেধাতালিকায়। শিক্ষাগত এবং জাতিগত শংসাপত্রের গরমিলে ৯৬ জন প্রার্থীর নাম বাদ গিয়েছে বলে খবর। সেই সঙ্গে এই তালিকায় ১০ জন প্রার্থীর নাম যুক্ত হয়েছে, যাঁরা  ব্যক্তিগতভাবে হাইকোর্টের রায় পেয়েছিলেন। বাকি প্রার্থীরা রয়েছেন ওয়েটিং লিস্টে। মোট প্রার্থী যেহেতু ১৪ হাজার ৬২ জন, তাই প্রায় ৫০০০ জন ওয়েটিং লিস্টে রয়েছেন। তবে এই ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের বেশিরভাগই চাকরি পেয়ে যাবেন, কারণ সংরক্ষিত প্রার্থীদের অনেকেই দুই বা তার বেশি ক্যাটাগরিতে জায়গা দখল করে আছেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রায় এক দশক আগে উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছিল। মেধাতালিকা প্রকাশিত হলেও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় দীর্ঘদিন আইনি জটে আটকে ছিল উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া (প্রথম এসএলএলটি, ২০১৬ সাল, আপার প্রাইমারি)। যদিও চলতি বছরের ২৮ অগস্ট কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে চার সপ্তাহের মধ্যে উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে। মেধাতালিকায় মোট ১৪,০৫২ জন প্রার্থীর নাম রাখার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ মেনেই মেধাতালিকা প্রকাশ করা হলো।

অসাধারণ: সাইকেলের পাংচার ঠিক করে UPSC-তে 32 তম র‌্যাঙ্ক পেলেন বরুণ, IAS অফিসার হয়ে তাক লাগালেন

IAS Varun Baranwal UPSC Success Story

IAS Varun Baranwal UPSC Success Story: UPSC সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সহজ নয়।  প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ প্রার্থী অনেক প্রস্তুতির পরে এই পরীক্ষা দেয়, তবুও তাদের মধ্যে খুব কমই মেধা তালিকায় তাদের জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়।  কঠোর পরিশ্রম এবং চেষ্টা ছাড়াও, UPSC সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত প্রার্থীরা এমন ব্যক্তিদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা গ্রহণ করে যারা সফলভাবে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন এবং মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। 

বাবার মৃত্যুর পর পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন

এমনই একজন প্রার্থী হলেন আইএএস বরুণ বারানওয়াল যিনি তার বাবার মৃত্যুর পরে খুব অল্প বয়সে স্কুল ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।  প্রকৃতপক্ষে, বরুণ বড় হয়ে একজন আইএএস অফিসার হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু আইএএস হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে অনেক লোকের সন্দেহের সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও, তিনি জীবনের অনেক বাধা অতিক্রম করেছিলেন।

UPSC তে 32 তম স্থান অর্জন করেন

তিনি 2016 সালে UPSC সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষা দিয়েছিলেন এবং তার প্রথম প্রচেষ্টায় সর্বভারতীয় 32 তম স্থানের সাথে দেশের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।  এর মাধ্যমে তিনি আইএএস অফিসার হওয়ার লক্ষ্য অর্জন করেন।  বারানওয়াল কার্যকরভাবে তার পরিবারের আর্থিক অবস্থাকে অন্যদের অনুপ্রাণিত ও শিক্ষিত করার উপায় হিসেবে ব্যবহার করেছেন।

বাবা সাইকেল মেরামত করতেন

আইএএস অফিসার বরুণ বারানওয়াল, যিনি মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার বোইসারের একটি ছোট গ্রামের বাসিন্দা, সর্বদা চিকিৎসা ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়তে চেয়েছিলেন।  যাইহোক, বরুণের বাবা সাইকেল মেরামত করতেন এবং একটি ছোট দোকান ছিল।  তিনি তার সন্তানদের সুশিক্ষা প্রদানের জন্য অক্লান্তভাবে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন।

বাবার মৃত্যুর পর দোকানে কাজে লেগে পড়েন

তার বাবা সাইকেল মেরামত করে যা উপার্জন করতেন তা দিয়েই সংসারের খরচ চলে।  কিন্তু বরুণের বাবার মৃত্যুর পর, বরুণ সাইকেল মেরামতের দোকানটিতে কাজ করে তার পরিবারকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নেয়।  এই চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, বরুণ বারানওয়াল তার ক্লাস 10 পরীক্ষায় অত্যন্ত ভাল রেজাল্ট করেন।

ডাক্তার স্কুলের ফি দিয়েছেন

এর পর বরুণের মা দোকানের দায়িত্ব নেন এবং বরুণকে পড়াশোনা শেষ করতে উৎসাহ দেন।  যখন 11 তম শ্রেণিতে ভর্তির সময় এসেছিল, বরুণ প্রয়োজনীয় ভর্তি ফির অভাবের কারণে আর্থিক প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছিল। কিন্তু সৌভাগ্যবশত, যে ডাক্তার তার বাবার চিকিৎসা করেছিলেন তিনি তাকে 10,000 টাকা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন।

স্কলারশিপ পেয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শেষ করেন

স্কুল শিক্ষা শেষ করার পর, বরুণ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে চেয়েছিলেন, তবে, ডাক্তারি পড়ার জন্য উচ্চ ফি প্রদানের কারণে, তিনি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মনোনিবেশ করার সিদ্ধান্ত নেন।  বরুণ তার ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যয়নের প্রাথমিক সেমিস্টারে কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন এবং পুনের এমআইটি কলেজ থেকে বৃত্তি পেয়েছিলেন।  এই একাডেমিক স্কলারশিপের সাহায্যে তিনি সফলভাবে তার ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সম্পন্ন করেন।

এনজিওর সহায়তায় UPSC সফল

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের যোগ্যতা অর্জনের পর বরুণ একটি বহুজাতিক সংস্থায় চাকরি পান।  কর্পোরেট ক্ষেত্রে থাকার জন্য তার পরিবারের অনুপ্রেরণা সত্ত্বেও, বরুণের আবেগ ছিল সরকারি চাকরিতে ক্যারিয়ার গড়ার।  এই জন্য, একটি এনজিও তাদের UPSC পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সহায়তা করার জন্য অধ্যয়ন সামগ্রী সরবরাহ করে তাদের সহায়তা বাড়িয়েছে।  সম্মিলিত সহায়তায়, বরুণও সফলভাবে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং একজন আইএএস অফিসার হিসেবে নিযুক্ত হন।

WBSSC: আপার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হল, দেখেনিন এক ক্লিকেই

এসএসসি SSC শিক্ষক

WBSSC UPPER PRIMARY FINAL MERIT LIST: কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি, সুপ্রিম কোর্টও প্যানেল প্রকাশের পথে বাধা দেয়নি, এই অবস্থায় আজ উচ্চ প্রাথমিকের চূড়ান্ত প্যানেল (upper primary final merit list) প্রকাশ করা হল।  স্কুল সার্ভিস কমিশন ১৪ হাজার ৫২টি পদের জন্য নিয়োগ প্যানেল প্রকাশ করেছে। এসএসসি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে মেধা তালিকা প্রকাশ করেছে। ফলাফল দেখতে, অনুগ্রহ করে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন।

স্কুল সার্ভিস কমিশন আজ সন্ধায় উচ্চ প্রাথমিকের চূড়ান্ত প্যানেল প্রকাশ করেছে। গতকাল প্রভিশোনাল তালিকা প্রকাশ করেছিল এসএসসি। পুজোর মুখে কি তবে চাকরি প্রার্থীদের জন্য দরজা খুলবে?




WBSSC UPPER PRIMARY FINAL MERIT LIST 

এর আগে দুবার মেধা তালিকা প্রকাশ করা হলেও দুর্নীতির অভিযোগে তা বাতিল করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে এ মামলা চলছে। অবশেষে নিয়োগের অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে আদালত বলেছে, নতুন মেধা তালিকা প্রকাশ করতে হবে।




আদালত বলেছে, চার সপ্তাহের মধ্যে মেধা তালিকা প্রকাশ করতে হবে।  চার সপ্তাহের মধ্যে কাউন্সেলিং করে তাকে নিয়োগ দিতে হবে।  আদালতের নির্দেশে তৃতীয়বারের মতো তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর ছুটির আগেই কাউন্সেলিং জানিয়ে দেওয়া হবে।

এই নিয়ে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, “বহু ঘাত প্রতিঘাতের পর আজ আবার উচ্চ প্রাথমিকের মেধাতালিকা প্রকাশিত হলো। আর যেন কোন টালবাহানা না হয়। অতি দ্রুত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নিয়োগপত্র পাক চাকরি প্রার্থীরা।”

WBSSC উচ্চ প্রাথমিক চূড়ান্ত মেরিট প্যানেল সরাসরি লিঙ্ক

Panel and Waiting list of 1st SLST(AT), 2016 in c/w notice vide Memo No.897/6723(IV)/CSSC/ESTT/2024 Dated: 26.09.2024.      

Click here to view the Panel    

Click here to view the Waitlist    

Notice vide Memo No.897 /6723(IV)/CSSC/ESTT/2024 Dated: 26.09.2024.      

Click here to view the Notice.     

শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিজ্ঞপ্তির জন্য শিক্ষা দফতরের কাছে শূন্য পদের তালিকা চাইল পর্ষদ! যা জানালেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ

নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড় খবর সামনে এল। শিক্ষা দফতরে নতুন।নিয়োগের আবেদন করা হল। রাজ্যের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে শিক্ষা দফতরে আবেদন করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে গিয়ে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের সঙ্গে বৈঠকের পরে এ কথা জানালেন প্রাথমিক টেট ২০২২-এর চাকরিপ্রার্থীরা। চাকরিপ্রার্থীরা জানান, ২০২২- এর ডিসেম্বরে পরীক্ষা ও ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফল বেরোনোর পরে কেটেছে প্রায় দু’বছর। এই সময়ে নানা প্রতিশ্রুতি পেলেও কাজের কাজ হয়নি।

বৈঠকের পরে মোহিত করাতি নামে এক চাকরিপ্রার্থী
বলেন, “বৈঠকে গৌতমবাবু জানান, নিয়োগের নতুন বিজ্ঞপ্তির জন্য শিক্ষা দফতরের কাছে শূন্য পদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। কিন্তু কবে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে, তা তিনি বলতে পারেননি। বিজ্ঞপ্তি বেরোনো পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”




প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিজ্ঞপ্তির দাবিতে ২০২২ সালে টেট পাশ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা মঙ্গলবার শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করেন। তাঁরা জানান, তার পরেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বৈঠকে ডাকে।




এই নিয়ে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, “চাকরিপ্রার্থীরা নতুন বিজ্ঞাপ্তির দিনক্ষণ জানতে চান। সেটা এখনই দেওয়া সম্ভব নয়। তবে এক দিকে যেমন সরকারের কাছে শূন্য পদের তালিকা চেয়েছি, তেমনই সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছি, আগের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এ বার নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তির অনুমতি দেওয়া হোক। সুপ্রিম কোর্ট অনুমতি দিলে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে।”




পশ্চিমবঙ্গের যে কোনও জায়গায় বদলি! সুপ্রিম কোর্টে বিরাট ধাক্কা রাজ্যের শিক্ষকদের

শিক্ষক সুপ্রিম কোর্ট

নিউজ ডেস্ক: এবার সুপ্রিম কোর্টে বিরাট ধাক্কা খেল রাজ্যের শিক্ষকরা। বদলি নিয়ে একটি মামলায় ধাক্কা খেলেন শিক্ষকরা। রাজ্য সরকারের মতকেই মেনে নিল দেশের শীর্ষ আদলত। শিক্ষকদের বদলি নিয়ে রাজ্যের ক্ষমতায় বহাল থাকল।




সুপ্রিম কোর্টে এদিন বিরাট ধাক্কা খেতে হল শিক্ষকদের। সুপ্রিম কোর্টে বিরাট ধাক্কা খেল রাজ্যের শিক্ষক সংগঠন।

বৃহস্পতিবার বদলি সংক্রান্ত একটি মামলায় বিচারপতি জে কে মাহেশ্বরী ও বিচারপতি সঞ্জয় কারোলের বেঞ্চ জানিয়েছে, স্কুল সার্ভিস কমিশন চাইলে পশ্চিমবঙ্গের যে কোনও জায়গায় বদলি করতে পারবে শিক্ষকদের। শিক্ষকদের যুক্তি এক্ষেত্রে মান্যতা দিল না সর্বোচ্চ আদালত।



শিক্ষকদের বদলির জন্য ১০ সি ধারা চালু করে রাজ্য। এখানে প্রশাসনিক বদলির ধারা কার্যকর করা হয়। সেই ১০ সি ধারা অনুযায়ী, রাজ্য সরকার চাইলে যে কোনও সময়, শিক্ষকদের যে কোনও জায়গায় বদলি করতে পারে। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তবে বদলি হয় এসএসসি-র মাধ্যমে। এর বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে যায় শিক্ষক সংগঠন। তবে সেই আর্জি খারিজ করে দেয় বিচারপতি জে কে মাহেশ্বরী ও বিচারপতি সঞ্জয় কারোলের বেঞ্চ। শীর্ষ আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, এসএসসি যে কোনও জায়গায় চাইলে বদলি করতে পারে।

এর আগে বেশ কিছু শিক্ষককে বদলি করে রাজ্য। অভিযোগ ওঠে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন নীতির বিরোধিতা করায় এই শিক্ষকদের বদলি করা হচ্ছে। অভিযোগ বাড়ি থেকে কয়েকশো কিলোমিটার দূরের স্কুলে বদলি করা হচ্ছে। এমনকি অভিযোগ ওঠে, দক্ষিণবঙ্গের শিক্ষকদের এমনকি উত্তরবঙ্গেও বদলি করা হচ্ছে।

এই নিয়ে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে শিক্ষক সংগঠন। যদিও সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের মতামতকেই প্রাধান্য দিল। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশকে মমতা সরকারের জয় হিসাবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা।



হতাশা প্রকাশ করে এই বিষয়ে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারন সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, “আমরা এই রায়ে হতাশ। সারপ্লাস ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে আমাদের দাবি ছিল সুনির্দিষ্ট নিয়ম-নীতির মাধ্যমে যথাসম্ভব কাছের স্কুলে বদলি করা যেতে পারে। তা না হলে সরকার তথা শিক্ষাদপ্তর এই ক্ষমতার অপব্যবহার করবে। বদলির ক্ষেত্রে স্বজন, পোষণ, দুর্নীতি আরো বাড়বে। বিদ্যালয় স্তরে ভীতির পরিবেশ তৈরি হবে। শিক্ষা দপ্তরের কাছে আমরা আবারও দাবি জানাচ্ছি, সুনির্দিষ্ট নিয়ম-নীতির মাধ্যমে প্রশাসনিক বদলি বা সারপ্লাস ট্রান্সফার নীতি কার্যকর করা হোক।”




SSC: বেতন কমে কমুক, চাকরি তো নিশ্চিত হবে! একি বলছেন মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে নিযুক্ত শিক্ষকরা

এসএসসি SSC শিক্ষক

SSC শিক্ষক নিয়োগ: কলকাতা হাইকোর্টের ছাড়পত্র মেলায় উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল প্রকাশ হয়েছে। ১৪ হাজার ৫২টি পদে নিয়োগের প্যানেল প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে মেধাতালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। ১৪০০০-এরও বেশি শূন্যপদ থাকলেও প্রায় ১৩৯৫০ জনের নামের মেধাতালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। আসলে বেশ কয়েকটি বিষয়ে উপযুক্ত সংরক্ষিত প্রার্থী না পাওয়া যাওয়ায় শূন্যপদের থেকে মেধাতালিকায় থাকা প্রার্থীর সংখ্যা কম।

তবে এবারে স্কুল শিক্ষক মহল সূত্রে জানা যাচ্ছে, ২০১৬ সালের পরে মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে নিযুক্ত শিক্ষকদের অনেকেই রয়েছেন উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের এই তালিকায়। আসলে এই শিক্ষকদের নিয়োগের বৈধতা ঝুলে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালতে যার শুনানি চলছে। তাই উচ্চ প্রাথমিকে সুযোগ পাওয়া অনেকেই চেষ্টা করছেন ওই চাকরি ছেড়ে এখানে চলে আসতে। তাঁদের বক্তব্য, বেতন কমে কমুক, চাকরি তো নিশ্চিত হবে।

এই নিয়ে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, “২০১৬ সালের এসএলএসটিতে নিযুক্ত শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের চাকরীর স্থায়িত্ব নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। এখনো সেই মামলার ফয়সালা হয়নি। এই অবস্থায় তাঁদের মধ্যে অনেকেই গতকাল প্রকাশিত উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষকতার তালিকায় প্যানেল ভুক্ত হয়েছেন। তাঁরা এখন কি করবেন ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছেন না। অনেকেই এই অনিশ্চয়তার কারণে বেতন কম হওয়া সত্ত্বেও উচ্চ মাধ্যমিক স্তর বা মাধ্যমিক স্তর থেকে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষকতার পেশায় যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরা দাবী করছি যাঁরা ভবিষ্যতে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে বহাল থাকবেন তাঁদের পুরনো জায়গায় ফিরে যাওয়ার সুযোগ দিতে হবে। কেননা, এর দায় সম্পূর্ণরূপে সরকার তথা শিক্ষা দপ্তরের। ওই শিক্ষকের নয়।”

এর আগে দু’বার মেধা তালিকা প্রকাশ হলেও দুর্নীতির অভিযোগে বাতিল হয়। দীর্ঘদিন ধরে আপার প্রাইমারি নিয়ে মামলা চলে। শেষপর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নিয়োগের ছাড়পত্র দেয়। তবে আদালত বলে নতুন করে মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে।




আদালত জানিয়েছিল চার সপ্তাহের মধ্যে মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে। তার চার সপ্তাহের মধ্যে কাউন্সিলিং করিয়ে নিয়োগ করাতে হবে। আদালতের নির্দেশে তৃতীয়বার তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি।

পুজোর ছুটির আগেই কাউন্সেলিংয়ের বিজ্ঞপ্তি হবে বলে কমিশন সূত্রের খবর মিলেছে। বৃহস্পতিবার বা শুক্রবারই কাউন্সেলিংয়ের বিজ্ঞপ্তি জারি করবে এসএসসি। পুজোর আগেই প্রথম দফার কাউন্সেলিং করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন বলে জানানো হয়েছে। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, পার্শ্ব-শিক্ষকদের জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত আছে। সেটা বাদ দিয়েই প্যানেল প্রকাশ করা হয়। 




প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রায় এক দশক আগে উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছিল। মেধাতালিকা প্রকাশিত হলেও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় দীর্ঘদিন আইনি জটে আটকে ছিল উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া (প্রথম এসএলএলটি, ২০১৬ সাল, আপার প্রাইমারি)। যদিও চলতি বছরের ২৮ অগস্ট কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে চার সপ্তাহের মধ্যে উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে। মেধাতালিকায় মোট ১৪,০৫২ জন প্রার্থীর নাম রাখার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ মেনেই মেধাতালিকা প্রকাশ করা হলো।




শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বিরাট স্বস্থি রাজ্যের! কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ খারিজ শীর্ষ আদালতের

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্রাত্য বসু

নিউজ ডেস্ক: এবার শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বিরাট স্বস্থি পেল রাজ্য সরকার। জিটিএ-র শিক্ষক নিয়োগে সিবিআই তদন্ত খারিজ করে দিল দেশের শীর্ষ আদালত। গত এপ্রিলে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। সাধারণ মানুষের চিঠি মারফত অভিযোগ পেয়ে হাই কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই মামলা শুরু করেছিল।

যদিও সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে। এই মামলাটি ফের কলকাতা হাই কোর্টেই ফেরত পাঠিয়েছে বিচারপতি বি আর গাভাই ও বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ। বিচারপতিদের মতে, হাই কোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিতে তাড়াহুড়ো করেছে।

এর আগে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ৯ এপ্রিল সিবিআইকে দু’দফায় মোট ৭৫২ জনের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন। রাজ্য সরকার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য সরকারের অভিযোগ ছিল, যে দু’টি বেনামি চিঠিতে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছিল, তার সত্যতা নিয়েই সন্দেহ রয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখে। 

রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে আসে। কোর্টে রাজ্যের যুক্তি, পুলিশকে তদন্তের সময় না দিয়েই হাই কোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি গাভাইয়ের বেঞ্চ তা মেনে নিয়ে জানিয়েছে, হাই কোর্ট তাড়াহুড়ো করে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। বিরল ক্ষেত্রেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।

এই মামলার অন্যতম আইনজীবী রউফ রহিম বলেন, ‘‘রাজ্য পুলিশ আগেই দুর্নীতির অভিযোগে এফআইআর করে তদন্ত করছে।’’ জিটিএ এলাকার সংযুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র মনোহর শর্মা বলেন, ‘‘দুর্নীতি, স্বজনপোষণ— কী না বলা হচ্ছিল। আজ পাহাড়ের শিক্ষিক-শিক্ষিকারা খুব খুশি।’’ 

SSC: উচ্চ প্রাথমিকের মেধাতালিকা প্রকাশ হয়েছে, কাউন্সেলিংয়ের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগ কবে থেকে? জেনেনিন

স্কুল সার্ভিস কমিশন শিক্ষক নিয়োগ

আপার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ: কলকাতা হাইকোর্টের ছাড়পত্র মিলেছে, সুপ্রিম কোর্টও প্যানেল প্রকাশে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি। এই অবস্থায় উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল প্রকাশ হয়েছে। ১৪ হাজার ৫২টি পদে নিয়োগের প্যানেল প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে মেধাতালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। ১৪০০০-এরও বেশি শূন্যপদ থাকলেও প্রায় ১৩৯৫০ জনের নামের মেধাতালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। আসলে বেশ কয়েকটি বিষয়ে উপযুক্ত সংরক্ষিত প্রার্থী না পাওয়া যাওয়ায় শূন্যপদের থেকে মেধাতালিকায় থাকা প্রার্থীর সংখ্যা কম।

এর আগে দু’বার মেধা তালিকা প্রকাশ হলেও দুর্নীতির অভিযোগে বাতিল হয়। দীর্ঘদিন ধরে আপার প্রাইমারি নিয়ে মামলা চলে। শেষপর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নিয়োগের ছাড়পত্র দেয়। তবে আদালত বলে নতুন করে মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে।

আদালত জানিয়েছিল চার সপ্তাহের মধ্যে মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে। তার চার সপ্তাহের মধ্যে কাউন্সিলিং করিয়ে নিয়োগ করাতে হবে। আদালতের নির্দেশে তৃতীয়বার তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি।




মোট ৮ হাজার ৯৫০ জন প্রার্থীর নাম রয়েছে মেধাতালিকায়। শিক্ষাগত এবং জাতিগত শংসাপত্রের গরমিলে ৯৬ জন প্রার্থীর নাম বাদ গিয়েছে বলে খবর। সেই সঙ্গে এই তালিকায় ১০ জন প্রার্থীর নাম যুক্ত হয়েছে, যাঁরা  ব্যক্তিগতভাবে হাইকোর্টের রায় পেয়েছিলেন। বাকি প্রার্থীরা রয়েছেন ওয়েটিং লিস্টে। মোট প্রার্থী যেহেতু ১৪ হাজার ৬২ জন, তাই প্রায় ৫০০০ জন ওয়েটিং লিস্টে রয়েছেন। তবে এই ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের বেশিরভাগই চাকরি পেয়ে যাবেন, কারণ সংরক্ষিত প্রার্থীদের অনেকেই দুই বা তার বেশি ক্যাটাগরিতে জায়গা দখল করে আছেন।

পুজোর ছুটির আগেই কাউন্সেলিংয়ের বিজ্ঞপ্তি হবে বলে কমিশন সূত্রের খবর মিলেছে। বৃহস্পতিবার বা শুক্রবারই কাউন্সেলিংয়ের বিজ্ঞপ্তি জারি করবে এসএসসি। পুজোর আগেই প্রথম দফার কাউন্সেলিং করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন বলে জানানো হয়েছে। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, পার্শ্ব-শিক্ষকদের জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত আছে। সেটা বাদ দিয়েই প্যানেল প্রকাশ করা হয়। 




প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রায় এক দশক আগে উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছিল। মেধাতালিকা প্রকাশিত হলেও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় দীর্ঘদিন আইনি জটে আটকে ছিল উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া (প্রথম এসএলএলটি, ২০১৬ সাল, আপার প্রাইমারি)। যদিও চলতি বছরের ২৮ অগস্ট কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে চার সপ্তাহের মধ্যে উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে। মেধাতালিকায় মোট ১৪,০৫২ জন প্রার্থীর নাম রাখার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ মেনেই মেধাতালিকা প্রকাশ করা হলো।