নিউজ ডেস্ক: এবার বড় রায় দিল দেশের সর্বোচ্চ আদলত সুপ্রিম কোর্ট। সরকারি কর্মী নিয়োগে বৈষম্য নিয়ে দীর্ঘ কয়েক দশকের নিয়ম খারিজ করল শীর্ষ আদালত। আসলে সরকারি কর্মী বাবার মৃত্যুতে সহানুভূতির ভিত্তিতে (কমপ্যাশনেট গ্রাউন্ডে) সেই চাকরি পেয়ে থাকেন ছেলে বা মেয়ে। তবে এত বছর ধরে ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেডে নিয়ম ছিল, খনিতে কর্মরত অবস্থায় বাবা বা মায়ের মৃত্যু হলে কমপ্যাশনেট গ্রাউন্ডে সেই চাকরি শুধু ছেলেরাই পাবেন। সেই নিয়ম খারিজ হল সুপ্রিম কোর্টে।
শীর্ষ আদালত, ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেডের নিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলে, খনির কাজে সহানুভূতির ভিত্তিতে নিয়োগে কেন বৈষম্য থাকবে? এই আবহে শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিল, এবার থেকে ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেডে কমপ্যাশনেট গ্রাউন্ডে চাকরি দেওয়া যাবে মৃত খনি কর্মীর মেয়েকেও। এই নির্দেশে মুখে হাসি ফুটেছে মামলাকারী সুকুমণি হেমব্রমের। বিচারপতি জেকে মাহেশ্বরী ও বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চ ইসিএলের কয়েক দশক পুরনো বৈষম্যকারী নিয়মকে খারিজ করে দিয়েছে।
কর্মরত অবস্থায় বাবার মৃত্যু হলে যোগ্য সন্তানকে সহানুভূতির ভিত্তিতে চাকরি দেওয়া হয়। যদিও কোলিয়ারিতে কর্মরত অবস্থায় বাবা বা মায়ের মৃত্যুতে কমপ্যাশনেট গ্রাউন্ডে চাকরি পেত শুধু ছেলে। সন্তানের চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্য চলে আসছিল বিগত কয়েক দশক ধরেই। তবে সেই লিঙ্গ-বৈষম্য এবার খতম হল শীর্ষ আদালতের রায়ে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেডের খনির কাজে নিযুক্ত থাকাকালীন সুকুমণির বাবার মৃত্যু হলে কমপ্যাশনেট গ্রাউন্ডে তিনি খনিতে চাকরির আবেদন জানিয়েছিলেন। তবে সেই আবেদন খারিজ হলে গত অগস্টে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ চার সপ্তাহের মধ্যে চাকরিপ্রার্থী সুকুমণিকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল। হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় ইস্টার্ন কোল ফিল্ড। যদিও শীর্ষ আদালতেও ধাক্কা খায় ইস্টার্ন কোল ফিল্ড।