নিউজ ডেস্ক: ডিএ নিয়ে নিয়ে ফের সরব মুখ খুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য বিধানসভায় রাজ্যপালের জবাবি ভাষণে আবারও ডিএ নিয়ে কথা বললেন CM মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সদ্য ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষনা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যদিও বিরোধীদের দাবি যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৫৩ শতাংশ ডিএ পাচ্ছেন, এরাজ্যের সরকারি কর্মীরা মাত্র ১৮ শতাংশ ডিএ পাবেন, অর্থাৎ বাংলার সরকারি কর্মচারীদের বঞ্চনা করছে রাজ্য। এবার জবাব দিলেন মমতা।
এদিন মমতা বললেন, ‘২০১৯ সালে বাংলার ষষ্ঠ বেতন কমিশন চালু হয়েছিল। তার আগে বাম সরকারের বকেয়া ৯০ শতাংশ ডিএ আমরা মিটিয়ে দিয়েছিলাম। ২০১৯ সালের ডিএ সহ সরকারি কর্মচারীদের ২.৫৭ গুণ বেতন বেড়েছে। এবারের রাজ্য বাজেটে ৪ শতাংশ ডিএ বাড়িয়েছে। এখন কর্মীরা ১৮ শতাংশ হারে ডিএ পান। এখনও পর্যন্ত ডিএ বাবদ ২ লক্ষ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।’
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন যে, ‘অনেকে সরকারি কর্মীদের মাথা খারাপ করার চেষ্টা করেন, কুৎসায় কান দেবেন না’। বাম আমলে কত ডিএ হয়েছিল? বিরোধীদের প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন ‘২০১১ থেকে ডিএ বাবদ ২ লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছে এই সরকার। আমরা ১২৫ শতাংশ ডিএ বাড়িয়েছি। ৭৫ হাজার কোটির দেনা শোধ করে, কীভাবে করছি? ১০০ দিনের টাকার কাজ না পেয়ে কী করে করছি, জানতে চাইবেন না?।’
এর আগে রাজ্য সরকারকে নিশানা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘এ সরকার কর্মচারী বিরোধী সরকার। কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যে সরকারের ডিএ-র তফাৎ ৩৫%। গোটা ভারতবর্ষে ৭পে কমিশন কার্যকর হয়ে গিয়েছে। ৫১টা এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ বন্ধ করে দিয়েছেন। গোটা রাজ্যে ২কোটির বেশি বেকার। আপনি একটাও চাকরি দিতে পারেননি।’