বড় খবর: ‘আমি জঙ্গি? চিঠি লিখব প্রধানমন্ত্রীকে, এখনও আমরা…’, বিধানসভা থেকে শুভেন্দুকে নিয়ে বিরাট মন্তব্য মমতার

1103

নিউজ ডেস্ক: এবার বিধানসভায় বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালের ভাষণের জবাবে মঙ্গলবার বিধানসভায় বক্তৃতা করেন মমতা। বিধানসভা থেকে শুভেন্দুকে তীব্র আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘আমি মুসলিম লিগ করি? আমি জঙ্গি? ভোটের সময় মুসলিম লিগের সাহার্য নেন আপনারা।’ পশ্চিমবঙ্গে ‘দ্বিতীয় মুসলিম লিগে’র সরকার চলছে বলে একদিন আগে আক্রমণ শানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তারই প্রতুত্তরে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

মমতা বলেন, “বক্তৃতা করার অর্থ কাউকে আঘাত করা, ঘৃণা ভাষণ দেওয়া, সাম্প্রদায়িক উস্কানি, অশান্তিতে ইন্ধন জোগানো নয়। বিধানসভায় অনেক জনপ্রতিনিধি রয়েছেন, যাঁরা কেউ হিন্দু, কেউ মুসলিম, কেউ খ্রিস্টান, কেউ শিখ, কেউ আদিবাসী, কেউ তফসিলি, কেউ রাজবংশী। মানুষ সকলকে নির্বাচিত করে পাঠিয়েছেন। এমন কী হল যে একাট ধর্মকে বিক্রি করে খাচ্ছেন আপনারা?” 

নিজের বাবার কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, “আমার বাবা স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। ৪০-৪২ বছর বয়সে মারা যান। আমরা তখন ছোট। কিন্তু তার মধ্যেই সকলকে ভালবাসার শিক্ষা পেয়েছিলাম। আমাকে ৫০টা গালাগালি দিন, গায়ে লাগবে না। কিন্তু ভাগাভাগির চেষ্টা বরদাস্ত করব না আমি। আমি আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে রাজনীতি করি না।”

পড়ুন:  একাদশ রেজিস্ট্রেশনে স্কুলের খরচ: ছাত্রপিছু ৫০ টাকা ফি দাবি শিক্ষক সংগঠনের, সভাপতিকে দাবিপত্র

শুভেন্দুর আক্রমণের জবাবে মমতা আরও বলেন, “আমি না কি হিন্দুধর্মকে তাচ্ছিল্য করি, মুসলিম লিগ করি? এ জীবনে আমাকে এসবও শুনতে হবে! জম্মু ও কাশ্মীর, বাংলাদেশের জঙ্গিদের সঙ্গে না কি সম্পর্ক আমার। প্রমাণ করতে পারলে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেব। পদত্যাগ করব। আমাকে জঙ্গিনেতা বলেছেন। আপনি বিরোধী দলনেতা হিসেবে একথা বলতে পারেন কি না, চিঠি লিখব প্রধানমন্ত্রীকে। এখনও আমরা আছি বলে বাংলা শান্ত আছে। এটা সর্বধর্মের মানুষের দান। আপনারা (বিজেপি) তো সীমান্তে গিয়েছিলেন উস্কানি দিতে? ভুলে গিয়েছিলেন বাংলাটা দেশের মধ্যে পড়ে।”

পড়ুন:  বড় খবর: শুভেন্দু অধিকারী গড়ে বিপুল জয় তৃণমূলের, সবুজ ঝড়ে উড়ে গেল বিজেপি

রাজ্যের সরকারকে একদিন আগে ‘মোল্লাদের সরকার, মুসলিমদের সরকার’ বলে উল্লেখ করেন শুভেন্দু। সেই নিয়ে মমতার বক্তব্য, “আমি মুসলিম লিগ? বাংলায় কত শতাংশ মুসলিম থাকে? নতুন করে জনগণনা হয়নি। কিন্তু বাংলায় যে মুসলিমরা রয়েছে, তারা স্কুলে যাবে বা? শিক্ষা পাবে না? তাদের একঘরে করে দিতে হবে? তাদের মারতে হবে, খুন করতে হবে? আর আমি যদি বলি আমার হাতের পাঁচটা আঙুলের মতো হিন্দু, মুসলিম, শিখ, বৌদ্ধ সবাই সমান, সেটা অন্যায়! আমাকে মুসলিম লিগ বলছে! নির্বাচনের সময় তৃণমূলকে হারাতে আপনারাই তো মুসলিম লিগের সাহায্য নেন? অন্য দলকে হারাতে সাহায্য নেন। বেলুনটা ফাঁস করব! কিছু বলার আগে মনে রাখবেন। মানুষই থোঁতা মুখ ভোঁতা করে দেবেন, আমাকে করতে হবে না। এত অশ্লীল কথা বলছেন, একটা ধর্মের নামে এত কুৎসা, অপপ্রচার করছেন। আমরা সকলকে নিয়ে চলি। আসলে আমাকে ফেস করতে পারে না বলে এসব বলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিন্তু কোনও ভয় নেই। ভয়কে জয় করে এখানে দাঁড়িয়ে আছি। কত বুকের পাটা দেখি!”