SSC কাণ্ডে যোগ্য-অযোগ্য বাছাই সম্ভব বলে মত অভিজিতের, বিকাশ বললেন, ‘অবিবেচকের মতো কথা’

6795
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য

নিউজ ডেস্ক: দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট, ২০১৬ সালের এসএসসি’তে (SSC Recruitment Case Verdict) নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিল করেছে। এর ফলে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী। এই ভাবে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। গোটা দেশেই এই চাকরি বাতিলের রায় নিয়ে আলোচনা চলছে। যোগ্য-অযোগ্য বাছাই সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও আইনজীবি বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যবললেন, ‘এটা অবিবেচকের মতো কথা’।

পড়ুন:  UPSC Civil Services: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, আবেদন করুন

এই বিষয়ে বিকাশবাবু বলেন, “অত্যন্ত অবিবেচকের মতো কথা বলেছেন, প্রকৃতপক্ষে ভাবনা চিন্তা না করেই বলেছেন। এমন কথা বলা মানে হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের আদেশকে অমান্য করা, এবং এটা করা মানে হচ্ছে ক্রিমিনাল কনটেম্পট। ওঁর এই বক্তব্যকে আদৌ গ্রহণযোগ্য বলে মনে করি না।”

সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর সংসদে চত্বরে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, “যে সাড়ে পাঁচ বা ছ’হাজার চাকরিপ্রার্থী ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের আলাদা করা যেত। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীকে কিছু সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, প্রাক্তন বিচারপতি পরামর্শ দিয়েছিলেন, এই জট ছাড়াবেন না। তা হলে সুপ্রিম কোর্ট বাধ্য হবে সকলের চাকরি বহাল রাখতে। এই জন্যই এত ছেলে-মেয়ের সর্বনাশ হয়ে গেল। তবে এখনও যোগ্য এবং অযোগ্য আলাদা করা সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজনে কমিটি গঠন করতে হবে।”

পড়ুন:  PhD Admission: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ভর্তি আবার শুরু হয়েছে, এল বড় খবর

যদিও বিকাশবাবুর বক্তব্য, “গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াটাই দুর্নীতিগ্রস্ত। প্রক্রিয়া যখন জন্ম থেকেই দুর্নীতিগ্রস্ত হয়, তখন তার ফসল হিসেবে কে যোগ্য, কে অযোগ্য তা নির্ণয় করার কোনও দরকারই নেই। সাংবিধানিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সেই প্রয়োজনও পড়ে না। একমাত্র রাজ্য সরকার যদি প্রথমেই বলত যে তাদের ভুল হয়ে গেছে, আমরা স্বচ্ছভাবে নিয়োগ করব তাহলে এই সমস্যাই তৈরি হত না। আজকে যে মানবিকতা, দুঃখের কথা উঠছে, চাকরিহারাদের কেউ কেউ আত্মহত্যা করার চেষ্টা করছেন, এর জন্য সম্পূর্ণ দায়ী রাজ্য সরকার।”