ব্রেকিং: ব্রাত্য বসুকে তলব; SSC রায় মেনে নিতে পারছি না: মমতা, বড় খবর এল

3779
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্রাত্য বসু

নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই বহাল রেখে পুরো প্যানেলটাই বাতিল করে দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্ট। এ ব্যাপারে সরকারের পদক্ষেপ ঠিক করতে এবার শিক্ষামন্ত্রীকে নবান্নে ডেকে পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা যাচ্ছে, দুপুর ২টোর কিছু আগে নবান্নে পৌঁছন ব্রাত্য। রয়েছেন শিক্ষা দফতরের কয়েকজন কর্তাও। শীর্ষ আদালতের রায় নিয়ে রাজ্যের কী করণীয়, তা নিয়ে লিগ্যাল সেলের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। 

শিক্ষাসচিব বিনোদ কুমার বলেন, “আমরা দ্রুত বসছি সকলে, কোর্টের কী অর্ডার রয়েছে, সেটা গোটাটা ভালো করে দেখা হবে। এরপর পরবর্তী কী পদক্ষেপ করা হবে, তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হবে।” ‘ফ্রেশ সিকেকশন প্রসেস’ নিয়ে শিক্ষাসচিব বলেন, “এটা আমার পক্ষে এখনই বলাটা কঠিন। টিমের সঙ্গে বসতে হবে। নির্দেশনামা ভাল করে পড়তে হবে। তারপরই বলতে পারব।”

২৫ হাজার ৭৫২ জনের মধ্যে ‘যোগ্য’ কারা, তাঁদের চাকরি বাঁচানোর ক্ষেত্রে কোনও কৌশল বার করা যায় কিনা, সে নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। যাঁরা চাকরি হারালেন, তাঁদের নিয়ে কী হবে, তা নিয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

এদিন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিচারপতিকে সম্মান জানিয়েও রায় মেনে নিতে পারছি না।’ মমতা বলেন, “বিচারব্যবস্থার সমালোচনা করছি না,তবে এই রায়ও মেনে নিতে পারছি না। বিজেপির টার্গেট বাংলার শিক্ষাব্যবস্থা, বাংলাকে আর কত হেনস্থা করবেন। বিচার ব্যবস্থাকে সম্মান করি, মানবিক ভাবে এই রায় মেনে নিতে পারছি না তবে কোর্ট তিন মাসের সময় দিয়েছে, আমরা তিন মাসের মধ্যেই শেষ করবো। এই ব্যাপারে এসএসসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

পড়ুন:  আবাস যোজনার ঘরের লিস্টে আপনার নাম না থাকলে কি করবেন? নাম কেটে দিলে এই পদক্ষেপগুলি নিন

বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”বিকাশবাবু কেস করেছিলেন। তাঁর জন্যই আজ এতগুলো চাকরি গেল। উনি তো বিশ্বের বৃহত্তম আইনজীবী। কেন যে নোবেল প্রাইজ পাচ্ছেন না এখনও… আমি ভাবছি, একটা রেকমেন্ড করব।”

এদিন মমতার তোপ দাগলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতিকেও। বললেন, ”এই চাকরি বাতিলের পর সুকান্তবাবু বলছেন, অযোগ্য সরকার অযোগ্যদের চাকরি দিয়েছে। আমাকে টার্গেট করে বলছেন! কেন? আমরা কোন অযোগ্য কাজ করেছি? কে যোগ্য? উনি যোগ্য?”

পড়ুন:  SSC: ফের প্রকাশিত হবে শূন্যপদের তালিকা! ৮,৭৪৯ জনের কাউন্সেলিংয়ের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত, বাকি সাড়ে পাঁচ হাজারের নিয়োগ খবর?

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই তড়িঘড়ি জরুরি বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রীকে নির্দেশ দেওয়া হয়, দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনকে প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়ে বলা হোক। এরপর তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন কীভাবে নিয়োগ হবে।